সিকিম ভ্রমণ। পর্ব : ১০
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি সিকিম ভ্রমণের দশম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে। আর এই পোস্টে রয়েছে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি। তো দেরি না করে শুরু করা যাক।
মন চলে যায় সুদূর পানে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 09/01/2021
তো আমরা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কিছু খেয়ে আবার পুনরায় বেরিয়ে পড়লাম নতুন আর একটা জায়গায়। জায়গাটির নাম হলো কালিংপং।
বমি শেষে একটু ভাব নিয়ে ছবি তুললাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : M2007J20CI
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 09/01/2021
ঐদিন আমার শরীরটা খুব খারাপ ছিল। কারণ আমরা হঠাৎ করে বরফ অঞ্চল থেকে নরমাল ওয়েদারের অঞ্চলে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় দুই তিন বার বমি হয়েছিল। আর সবথেকে বড়ো সমস্যা হচ্ছিলো শ্বাসকষ্ট। পাহাড়ি অঞ্চলে শ্বাস নিতে একটু অসুবিধা হয়। যাইহোক ঐদিন আমি আর বেশি ফটো তুলতে পারি নি।
হোটেলের বারান্দা হতে বাইরের দৃশ্য।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 09/01/2021
আমাদের নতুন হোটেলে যাওয়া মাত্রই আমি ড্রেস চেঞ্জ করে শুয়ে পড়লাম। আমরা দুপুরের পরে ওই হোটেলে পৌঁছেছিলাম। যাই হোক সন্ধ্যায় আমার ঘুম ভাঙলো। ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে একটু নিচে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। নীচে গিয়ে দেখি সবাই আগুন পোহাচ্ছে।
হোটেলের ছবি।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 09/01/2021
পাহাড়ি অঞ্চলে রাতে একটু বেশি ঠান্ডা পরে। যাই হোক সময় নষ্ট না করে আমিও ওদের সাথে যোগ দিলাম।
আগুন পোহাতে খুব ভালো লাগছিলো।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 09/01/2021
পরমুহূর্তে ওই হোটেলের মালিক আমাদের জন্য মাংস নিয়ে আসলো কাবাব করার জন্য।
কাবাব কিন্তু খুব টেস্টি ছিলো।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 09/01/2021
কাবাব খেতে খেতে আমরা ওই বাড়ির মালিকের সাথে গল্প করতে লাগলাম। তিনি একজন এক্স আর্মি। ওনার চাকরি জীবনের বহু সাহসিকতার গল্প শুনতে লাগলাম।
তো বাইরের ঠান্ডা আরো বাড়তে লাগলো। তাই আমরা আর বাইরে দেরি না করে নিজেদের রুমে চলে গেলাম।
আমি কালিংপং কে ভালোবাসি।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 09/01/2021
তো পরের দিন সকালে আমাদের গন্তব্য স্থান হলো কালিংপং পাহাড়ের একদম শীর্ষে যাওয়া। যেতে আমাদের প্রায় দুই ঘন্টা লেগেছিলো।
কি হাঁসি।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : M2007J20CI
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 09/01/2021
পাহাড়টির চূড়া একদম সবুজে ঘেরা। পাহাড়ের উপর থেকে যতদূর চোখ যায় শুধু পাহাড়ের চূড়া দেখা যায়।
পাহাড়ি বাঁশের বাগান।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 09/01/2021
চারিদিকের এই মনোরম দৃশ্য মন উজাড় করে দেয়। মনে হয় এক পাহাড় হতে আরেক পাহাড়ে পাখির মতো ডানা মেলে উড়ে যাই।
আনমনে হারিয়ে যাই আমি।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : M2007J20CI
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 09/01/2021
তো চারিদিকে ঘুরে ঘুরে প্রকৃতির ছবি ক্যামেরা বন্দি করতে শুরু করলাম।
পাহাড়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ওই বাড়িগুলোতে হয়।
অপরূপ সাজে সজ্জিত এই পাহাড়।
অতন্দ্র প্রহরীর মতো গাছগুলো দাঁড়িয়ে আছে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : Redmi Note 8 Pro
ক্যামেরা লেংথ : 5 mm
তারিখ : 09/01/2021
এরপর ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা পুনরায় আবার হোটেলের দিকে রওনা দিলাম।
আজ এই পর্যন্ত। তো আশাকরি আপনাদের সবাইকে আমার এই সিকিম ভ্রমণ লেখনীর মাধ্যমে উপভোগ করাতে পারছি। তো আবার ফিরে আসবো সিকিম ভ্রমণের শেষ পর্বে। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সিকিম ভ্রমণের এ পর্বে এসে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর আলোকচিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগলো দেখে।। বিশেষ করে প্রথম ফটোগ্রাফি আগুন পোহানো এবং বারবিকিউ বানানোর দৃশ্য অসাধারণ ছিল।।
ধন্যবাদ দাদা।
আসলেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ট্রাভেল করতে শরীরটা খারাপ হয়ে যায়। আপনি তো দেখছি কয়েকবার বমিও করেছেন। আমি তো গাড়িতে উঠতেই পারি না। আমার শরীর খারাপ হয়ে যায়। কালিংপং জায়গাটার নাম শুনেছিলাম। কিন্তু আপনার মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। জায়গাটা ভীষণ সুন্দর। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক বেশি উপভোগ করতে পেরেছি। আবার মজা করে কাবাব ও খেয়েছেন। সব মিলিয়ে দারুন লাগলো।
সিকিম ভ্রমণ পর্ব ১০ পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি।সিকিম জায়গাটাও অসাধারণ মনে হচ্ছে।ঘোরাঘুরির সময় বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেকের মুখে শুনেছি পাহাড়ি অঞ্চলে অনেকের শ্বাসকষ্ঠ হয়ে যায়।আসলে অক্সিজেন লেভেল কমে যায় তাই হয়ত।যাই হোক তোলা প্রতিটি ছবিই বেশ সুন্দর। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু পাহাড়ে শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়।
এই জায়গাটার নাম কেমন যেন শোনা শোনা লাগছে।
আর সমতল এলাকায় থেকে পাহাড়ি এলাকায় গেলে বা বরফ অঞ্চলে গেলে একটু অস্বস্তি ফিল হয়। সেটা সবার ক্ষেত্রেই হয়, আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে কিছুদিন আগে ঘুরতে গিয়ে। খুব ভালো লাগছে তোমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। বিশেষ করে সবাই একসাথে বসে আগুন পোহানো এবং সাথে তান্দুরি চিকেন খাওয়া, এর থেকে আনন্দের কিছু হয় না।
ধন্যবাদ।
কালিংপং জায়গাটার নাম শুনেছি দাদা। আপনার সিকিম ট্যুরে কালিংপং ভ্রমণটা ভালো খারাপ অস্বস্তি সব মিলিয়ে বেশ দারুণ ছিল। অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। দারুণ ছিল আপনার ভ্রমণের গল্পটা।।
ধন্যবাদ দাদা।
আপনি সিকিমের ভ্রমণ করতে গিয়ে বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে এনেছেন এবং তা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে আমার। অজানা একটি স্থান সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম আপনার পোষ্টের মধ্য দিয়ে।