সোর্স


আসলে এই পৃথিবীতে পুরুষ মানুষের কষ্ট কেউ কখনো বুঝতে পারে না। কেননা কোন পুরুষ মানুষ যদি কোন কাজে হেরে গিয়ে বসে থাকে তাহলে সবাই তাকে নিয়ে উপহাস করে। আসলে একটা পুরুষ জন্মগ্রহণ করার পর থেকে সে যখন এই পৃথিবীর বাস্তবতা সম্পর্কে বুঝতে পারে তখন দেখে তার সংগ্রাম শুরু হয়। এছাড়াও কোন কারণে যদি পুরুষ মানুষ ব্যথা পেয়ে কাঁদতে থাকে তখন লোকজন তাদের দেখে বলে যে পুরুষ মানুষের কখনো কাঁদতে নেই। আসলে এই পুরুষ মানুষের কষ্ট এই পৃথিবীতে কেউ কখনো বোঝেনি, কেউ কখনো বুঝছে না, আর হয়তোবা ভবিষ্যতে কেউ কখনো বুঝবে না। আসলে একটা পুরুষ মানুষ যখন বড় হয় তখন তার উপর পুরো সংসারের ভারটা এসে পড়ে। কেননা পরিবারের সকল সদস্য সেই পুরুষ মানুষের উপরে নির্ভর করে থাকে।


আসলে সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করতে করতে তার নিজের দিকে কখনো খেয়াল দেওয়ার সময় থাকে না। এছাড়াও তার উপার্জনের জীবনে সে কখনো তার নিজের চাহিদা কখনো পূরণ করতে পারে না। কেননা পরিবারের সকল লোক গুলো তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং তাদের সকল ধরনের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য তাদের নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা গুলোকে জলাঞ্জলি দিতে হয়। আসলে একটা পুরুষ মানুষ সারা জীবন তার পরিবারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে। আর এভাবে কাজ করতে করতে সে যখন অচল হয়ে যায় তখন সবাই তাকে দূরে ঠেলে দেয়। আসলে এই জীবনটা বড় কষ্টের। কেননা আপনি যতক্ষণ না পর্যন্ত সবার জন্য করতে পারবেন ততক্ষণ সবাই আপনাকে ভালো বাসবে এবং যখন আপনি অচল হয়ে যাবেন তখন আপনাকে কেউ ভালোবাসবে না।


আসলে এই পৃথিবীতে মানুষের জন্য কোন কিছু না করলে আমরা তাদের কাছ থেকে কখনো ভালোবাসা পাবো না। আসলে একটা পুরুষ মানুষকে বাইরে কাজ করার জন্য তাকে সব সময় ঝড়-বৃষ্টি, খরা, বন্যাকে উপেক্ষা করে সব সময় কাজে বের হতে হয়। কেননা তারা যদি ঘরে বসে থাকে তাহলে ঘরের পরিবারের লোক গুলো অনাহারে দিন কাটাবে। আসলে দিনশেষে এই পুরুষ মানুষের কষ্টের খবর কেউ কখনো নিতে আসে না। আসলে এই পৃথিবীতে যাদের জন্মের পর থেকে বাবা থাকেনা তারা বোঝে এই পৃথিবীটা কত বেশি কঠিন। কেননা একটা পুরুষ মানুষ যখন জন্মগ্রহণ করে তখন তার পরিবারের সদস্য গুলো যদি না থাকে তাহলে তাকে সেই ছোট বয়স থেকেই বাইরের কঠিন পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয় এবং এই কঠিন পরিবেশের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাকে বেঁচে থাকতে হয়।


আসলে তারা যদি যুদ্ধ না করে বসে থাকে তাহলে তাদের অস্তিত্ব কখনোই পৃথিবীতে থাকবে না। আসলে একজন পুরুষ মানুষ যখন শিক্ষা জীবন শেষ করে কোন কাজ না করে তখন সবাই তাকে অলস বলে মনে করে। আসলে বেকার পুরুষের জ্বালা এই পৃথিবীতে সব থেকে বেশি। কেননা সে যেমন তার সংসারের উপর একটা বোঝা হয়ে যায় তেমনি সমাজের লোকজন তাকে সব সময় অকর্মণ্য বলে মনে করে। আসলে একজন পুরুষ মানুষ যদি সঠিকভাবে ইনকাম করতে না পারে তাহলে সমাজের কোন লোক তাকে কোনরকম দাম দেয় না। আর এভাবে তারা অন অনাদরের মাঝে জীবন যাপন করে এবং সব সময় তারা কাজ খোঁজার জন্য চারিদিকে ঘোরাফেরা করে। আসলে এই বেকার জীবনটা একটা কঠিন জীবন।


আর এজন্য একজন পুরুষ মানুষকে কখনো বসে থাকতে নেই। তাকে সারা জীবন সবসময় কর্মের ভিতর থাকতে হয়। আসলে কোন পুরুষ মানুষ যদি তার শেষ বয়স অবধি কাজ করে যেতে পারে তাহলে সে সবার কাছে ভালো। আসলে সবার চাহিদা মেটাতে পারলে সে সবার কাছে ভালো এবং সে যদি সবার চাহিদা মেটাতে না পারে তাহলে সে সবার কাছে খারাপ। আসলে এই কঠোর জীবনে আমাদের অবশ্যই সকল বাঁধা-বিপত্তিতে থেকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কেননা তারা যদি সংগ্রাম না করে এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে চায় তাহলে তারা কখনোই পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারবে না। তাইতো জীবনের শুরু থেকে তাদের সংগ্রাম করতে হবে এবং শেষ অব্দি সংগ্রাম করে যেতে হবে। আর এভাবে সংগ্রাম করতে করতে একটা পুরুষ মানুষের জীবন শেষ হয়ে যাবে।


আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

ধন্যবাদ সবাইকে।