বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর এই সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে বর্তমান সময়ে আমরা আধুনিক যুগে বসবাস করছি। আর এই আধুনিক যুগের আধুনিক যন্ত্রপাতির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। মানুষ এখন আর একে অন্যকে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা সব সময় আধুনিক যুগের মত উন্নত চিন্তাধারা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আসলে তাদের সাথে যদি আমরা বিশ্বাস নিয়ে কোন ধরনের কোন আলোচনায় বসে থাকি তাহলে তারা সেখানে তর্ক দিয়ে সেই বিশ্বাসকে দূর করে দিতে পারবে। আসলে আমরা যদি কোন কিছুর উপরে বিশ্বাস না আনতে পারি তাহলে আমরা কি কখনো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো। আর আমরা যে বর্তমান সময়ে আধুনিক যুগের গর্ব করছি সেই আধুনিক যুগের উপর যদি আমরা বিশ্বাস না আনতে পারতাম তাহলে আমরা কিন্তু আবার সেই প্রাচীনকালের মত সেই সাধারণ জীবন যাপন করতাম।
অর্থাৎ আপনার আধুনিক যুগের উপর বিশ্বাস হয়েছে কিন্তু আপনি অন্য দিক থেকে বলছেন যে আপনি এই জীবনে কোন কিছু বিশ্বাস করেন না এটা কি করে আমরা মেনে নেব। আসলে এই পৃথিবীতে কিন্তু বিশ্বাসের উপরে নির্ভর করে আমরা অনেক কিছু পেয়ে থাকি। আপনি একটা সাধারন বিষয়ে লক্ষ্য করে দেখুন। সমাজের একজন ভালো লোক সে জীবনে অনেক কিছু কঠোর পরিশ্রম করে। আর লোকজন তার প্রতি সবসময় বিশ্বাস রাখে যে সেই ব্যক্তিটা যদি জীবনে বড় হতে পারে তাহলে সে কিন্তু তাদের সবার উপকারে আসবে এবং তাদের এই দুর্দিন থেকে এসে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে। আসলে লোকটির প্রতি বিশ্বাস করে সবাই কিন্তু বেঁচে থাকে এবং লোকটিও মনে করে যে যেহেতু সবাই আমার প্রতি বিশ্বাস করে বেঁচে আছে এবং আমারও নিজের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে যে আমি জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারব।
আসলে নিজের প্রতি যদি নিজের বিশ্বাসই না থাকে তাহলে সে কখনো জীবনে বড় হতে পারে না। আর এজন্য আমাদের সর্বপ্রথম নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস আনতে হবে। আসলে আমরা যদি কোন কিছুকে মন প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করতে পারি তাহলে সেই জিনিসটা অবাস্তব হলেও কিন্তু মাঝে মাঝে আমরা সেই জিনিসটাকে আমাদের নিজেদের জীবনে করে পেতে পারি। আসলে এখানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের আধ্যাত্মিক মনে হলেও কিন্তু সেই জিনিসগুলো বাস্তব জীবনে আমরা ঘটতে দেখি। আসলে এই অবস্থা জিনিসগুলো যখন জীবনে বাস্তবে পরিণত হয় তখন আমরা সব সময় বিশ্বাসের প্রতি ভরসা রেখে আমরাও সেই সব অবাস্তব জিনিসগুলো বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য বিশ্বাস রাখি। এক্ষেত্রে আপনাদের অনেকের দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকতে পারে।
আসলে আমরা এখানে কখনো তর্ক করতে যাব না। কেননা এই পৃথিবীতে আধুনিকতার বাইরেও এমন এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা মানুষ কখনো অস্বীকার করতে পারে না। আর এজন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করব যাতে করে আমরা জীবনে বিশ্বাস থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এবং কখনো না বুঝে শুনে কোন বিষয়ে তর্ক না করা। আসলে বিজ্ঞানের উপরে তো আমাদের সর্বোচ্চ ভরসা রয়েছে কিন্তু বিজ্ঞানের বাইরেও আমাদের এমন এমন জায়গা রয়েছে যেখানে অল্প কিছু ভরসা রাখতে হয়। কেননা সব জিনিসের ব্যাখ্যা কিন্তু বিজ্ঞান কখনো দিতে পারে না। আসলে তারা যদি মনে করে যে এই পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা নেই তাহলে আপনি কি করবেন। আসলে সৃষ্টিকর্তা হল আমাদের মনের বিশ্বাস এবং আমরা মনে করি সৃষ্টিকর্তাই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদেরকে পরিচালনা করছেন। তাইতো আমরা সবসময় বিশ্বাসের উপর ভরসা রাখবো।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আমরা যখন কোন কাজ করি তখন সর্ব প্রথম প্রয়োজন বিশ্বাস। আর এই বিশ্বাসটা আমাদের নিজেদের প্রতি আগে করতে হবে। সব সময় যদি নিজের প্রতি একটা বড় আত্মবিশ্বাস থাকে যে আমি এই কাজটি পারবই তাহলে সবকিছুই সম্ভব। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার লেখা গুলো পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দাদা আপনি আজকের এই পোস্ট অনেক সুন্দর একটা টপিক নিয়ে লিখেছেন। আপনার লেখা পোস্টটা সম্পূর্ণ পড়তে আমার অনেক ভালো লেগেছে। বিশ্বাস শব্দটা এমন যে করলে মানুষ ঠকে যায় আবার না করলে পস্তায়। তবে কোনো কিছু করার ক্ষেত্রে বিশ্বাস থাকাটা অনেক জরুরী। কারণ বিশ্বাস আমাদেরকে অনেক শক্তি যোগায়। যেটা আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আসলেই বিশ্বাসের উপর ভরসা রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সুন্দর করে লিখেছেন পুরোটা। অনেক কিছু আপনি তুলে ধরেছেন লেখাটার মধ্যে।
কথাটা বেশ চমৎকার বলেছেন ভাই। যেকোনো কাজের ক্ষেএে নিজের বিশ্বাস টা অনেক বড় ব্যাপার। নিজের উপর বিশ্বাস না থাকলে সত্যি কেউ এগিয়ে যেতে পারে না। কেউ কখনও ভালো কিছু করতে পারে না। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস থাকলে আমরা যেকোনো কাজ করতে সক্ষম হতে পারি। সুন্দর লিখেছেন আপনি।