অনু-কবিতা :- ০৪
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার লেখা চতুর্থ অনু-কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আমাদের জন্মের পর মায়ের পর সব থেকে আপন হলো আমাদের ঠাকুরমা। ঠাকুরমার কাছে আমাদের প্রাধান্য অনেক অনেক বেশি। তার কাছে আমাদের আবদারের কোনো শেষ নেই। তার কাছে আমাদের সব অন্যায় আবদার থাকে। মা-বাবা কখনো যদি আমাদের বকতে আসে তাহলে ঠাকুরমাই আমাদের তাদের বকার হাত থেকে রক্ষা করে।
আসলে আমার যদি কোন অন্যায় কাজও করি, তাহলে ঠাকুরমার কাছেই সবথেকে নিরাপদ জায়গা ছিল আমাদের। কারণ তার সামনে কেউই আমাদের বকার সাহস পেত না। মা-বাবার পরই ঠাকুরমা আমাদের শিক্ষা গুরু। কারণ আমরা ছোটো বেলার বেশিরভাগ সময়টাই ঠাকুরমার সাথে কাটাই।
এই ঠাকুরমাই ছোটো বেলায় আমাদের বিভিন্ন রাক্ষস-খোকসদের গল্প শুনিয়ে আমাদের ঘুম পারতেন। তার কাছে আমাদের আবদার কখনোই শেষ হতো না। একের পর এক আবদার ঠাকুরমা আমাদের পূরণ করে দিতেন। কোথাও ঘুরতে গেলে ঠাকুরমা লুকিয়ে আমাদের হতে টাকা দিতেন। টাকা দিয়ে আমাদের বলতেন, তোর মা-বাবাকে এই টাকার কথা বলবি না। আসলে আমাদের শৈশব সব স্মৃতিতেই ঠাকুরমা রয়েছে। আসলে যারা ছোটো বেলাতে ঠাকুরমাকে পাননি, তারা জীবনে এই ঠাকুরমার ভালোবাসার মর্ম কখনোই বুঝবেন না।
এই জগৎ সংসারে শুধু কাজ আর কাজ। কাজ ছাড়া আর কিছুই নেই। আবার কাজ ছাড়া বাঁচার উপায় নেই। কাজ ছাড়া আবার জীবন অচল। কাজই ধর্ম, কাজই কর্ম। আর আমাদের এই সংসারের প্রতি অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়। কারণ এই সংসার থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়ে থাকি।
০১
আকাশের ঐ একটি তারা,
আমি ডাকি দেয়না সারা।
সে শুধু চায় মিট মিট করে,
দূর থেকে দূর বহু দূরে।
আমায় দেখিয়েছে আমার ঠাকুরমা
সে চলে গেছে আজ বহু দূরে
তার স্মৃতি আজ বুকে নিয়ে
আমি আছি তার ছোট্ট কুটিরে।
কেটে গেলো অনেক বছর
সবাই গেছে তোমায় ভুলে।
ভুলিনি আজও ঠাকুরমা তোমায়
তোমার এই আদরের নিলয়।
০২
ঠাই নাই ঠাই নাই,
এ পৃথিবীতে ঠাই নাই।
কোথাও যে চলে যাবো,
তারও কোনো উপায় নাই।
জীবন সংসারের দায়িত্ব থেকে,
মনে হয় দূরে কোথাও পালিয়ে যাই।
গেলে কি আর শান্তি পাবো,
সেখানেও যে ঠাই নাই।
মানুষ বলে শান্তি শুধু,
মরণের পর আছে ভাই।
কি জানি আজ শুধু মনে হয়,
জগৎ সংসারে আমার শান্তি নাই।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আমার জন্মের আগেই দাদু ঠাকুমা স্বর্গবাসী হয়েছেন। তাই দাদু ঠাকুমার এই স্নেহ মাখা আদর ভালোবাসা কেমন হয় সেটা বোঝার সৌভাগ্য আমার হয়নি কখনো। তবে আপনার লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারছিলাম আপনি কতটা মিস করছিলেন ঠাকুমাকে এই লেখাটা লেখার সময় । কবিতা যে খুব বুঝি এমন না। ছন্দ মিলিয়ে পুরো লেখাটা পড়তে ভীষণ ভালো লাগছিল। আর শান্তি ! !! ওটা যে কোন হাটে বিক্রি হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি একদম। এখন শুধু মরীচিকার পেছনে ছুটছি।
আসলে ভাই শান্তির খুবই অভাব এই পৃথিবীতে