অনু-কবিতা :- ৫৩
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার লেখা আর একটি অনু-কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে এই পৃথিবীতে গরিব হয়ে জন্মগ্রহণ করাটা মনে হয় একটা বড় ধরনের পাপ। কারণ এই গরিব শ্রেণীর লোকেদের কেউ কখনো কোনরকম সমাদর করে না। বরং সমাজ তাকে সবসময় ঘৃণা করে চলে। এছাড়াও কোন উন্নয়নমূলক কাজে তাদের কোন অংশগ্রহণ তারা কখনোই মেনে নেয় না। আসলেই পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকেই সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ের এই ভেদাভেদ তিনি কখনোই সৃষ্টি করেননি। আসলে এই ধনী গরিবের ভেদাভেদ সৃষ্টি করেছে মানুষ নিজে থেকেই। এই ভেদাভেদের জন্য আজ সমাজে সব সময় বিশৃঙ্খলাতার সৃষ্টি হয়। এই বিশৃঙ্খলাতার জন্য আজ পৃথিবীতে এত ধরনের অরাজকতার সৃষ্টি হচ্ছে।
আসলে মানুষ নিজে থেকেই এই ধনী গরিব পার্থক্যের সৃষ্টি করেছে। পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম থেকে কখনোই এই ধনী গরিব পার্থক্যটা কখনোই ছিল না। আসলে এই পৃথিবীতে যত ধরনের খারাপ কাজ রয়েছে সব কিছু মানুষেরই সৃষ্টি। আসলে সৃষ্টিকর্তা চায় যে তার সৃষ্টির সকল জীব মিলে মিশে থাকুক এবং সমান সমাদর পাক সমাজ থেকে। কিন্তু কিছু কিছু অসভ্য মানুষের জন্য আজ পৃথিবীতে এই ধনী-গরিব পার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে। আর ধনী শ্রেণীর লোকেরা সব সময় সমাজের উঁচু স্তরে অবস্থান করে এবং গরীব শ্রেণীর লোকেরা সব সময় সমাজের নিচুস্তরে অবস্থান করে।
এছাড়াও ধনীদের চিকিৎসার জন্য তারা সবসময় উন্নত ধরনের হসপিটালে যান এবং প্রচুর টাকা ব্যয় করেন তাদের নিজেদের চিকিৎসার জন্য। কিন্তু গরিব মানুষের পক্ষে চিকিৎসার জন্য এত টাকা কখনোই জোগাড় করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই তারা সমাজের ভালো চিকিৎসা থেকে সব সময় পিছিয়ে থাকে। এছাড়াও সমাজের কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায় না এই গরিব শ্রেণীর লোকেরা। আসলে আমরা বড়ই নিষ্ঠুর। এই নিষ্ঠুর সমাজে আমরা একে অপরকে কখনোই ভালবাসতে পারি না। এছাড়াও কে ভালো আর কে মন্দ এই বিচার বিবেচনা বোধ আমাদের সবার থাকে না। কারণ সবাই মুখোশ করে ঘুরে বেড়ায়।
এছাড়াও সমাজে যারা উঁচু স্তরের লোক রয়েছে তারা সবসময় এই নিচুস্ত গরিব শ্রেণীর লোকেদের কে সবসময় শাসন করে। তাদেরকে কখনোই তারা উচুস্থরে উঠতে দেয় না। এবং তারা সবসময় এই গরিব শ্রেণীর লোকেদের ঘৃণার চোখে দেখে। আসলে পৃথিবীতে ঈশ্বর সবাইকেই সৃষ্টি করেছেন। তাহলে আমাদের ভিতরে কেন এত অহংকার। আসলে এই পৃথিবীতে যারা অহংকার নিয়ে বড় হয়ে ওঠে তাদের জীবনের ধ্বংস অবসম্ভাবী। তারা টাকার দিক থেকে বড় হলেও তারা কখনো মনের দিক থেকে বড় হতে পারে না। এছাড়াও আমার কাছে মনে হয় যে তারা মৃত্যুর পর কখনোই স্বর্গ সুখ লাভ করতে পারে না।
✠ ০১ ✠
বেঁচে থাকা যে বড়ই কঠিন,
এই জগত সংসারের মাঝেতে।
কেউবা থাকে অট্টালিকায়,
কেউ থাকে খোলা আকাশের মাঝেতে।
খাবারের জন্য কেউবা মরে,
কেউবা খাবার নষ্ট করে দুনিয়াতে।
কেউ মারা যায় বিনা চিকিৎসায়,
কেউ থাকে হসপিটালের নরম বিছানাতে।
তেলে জলে যেমন এক হয় না,
তেমনি ধনী গরিবদের সম্মান দেয় না।
তারা থাকে সমাজের সবথেকে পিছিয়ে,
জন্ম কি তাহলে হল কি মিছে।
✠ ০২ ✠
সমাজের সকল উচু পর্যায়ে,
ধনীরা থাকে সবসময় বসে।
গরিবদের সেখানে প্রবেশ নিষেধ,
তারা সবসময় নিচুস্তরে থাকে।
এই পৃথিবীর সবাইকে ভাই,
একমাত্র বিধাতাই সৃষ্টি করেছেন।
তাহলে কেন ভেদাভেদ দিয়েছেন,
এই ধনী গরিবের মাঝেতে।
সবাইকে তাই সুযোগ দিতে হবে,
পৃথিবীর সকল স্তরের মাঝেতে ।
যোগ্যতার উপরে ভিত্তি করে,
কাজ পাবে এই দুনিয়ার মাঝেতে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আশা করি দাদা ভালো আছেন? প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও আপনি বেশ দারুন একটি অণু কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বাস্তব বিষয় গুলো কবিতার ছন্দে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন । সত্যিই জীবন খুবই অদ্ভুত কেউ থাকে বিশাল অট্টালিকায়। আর কেউ থাকে রাস্তার ফুটপাতে। এই সমাজে ধনী গরিবের ভেদাভেদ সবখানে। ধনীরা অনায়াসে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আর গরিবেরা চোখের অশ্রু জলে চেয়ে চেয়ে দেখে। এতো চমৎকার অণু কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
গরিব মানুষ নিয়ে অনেক সুন্দর কবিতা লিখেছেন ভাইয়া। আপনার লেখা প্রতিটি কবিতা আমি পড়ি পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। এত সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার লেখা অনু কবিতাগুলো বরাবরই আমার খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনার লেখা দুইটি অনু কবিতার মধ্যে দুই নাম্বার অনু কবিতাটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। আসলে আমাদের সমাজ থেকে ধনী গরিবের ভেদাভেদ দূর করে সকলকে সমান সুযোগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলেই সমাজ থেকে বৈষম্য দূর হবে। অনেক সুন্দর অনু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর সুন্দর কিছু অনু কবিতা শেয়ার করেছেন৷ সবগুলো অনু কবিতা আমার অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লেগেছে৷ এই অনু কবিতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ৷ সবগুলো অনু কবিতার মধ্যে আমার তিন নাম্বার অনু কবিতাটি অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ হয়েছে৷