এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -৫১
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আজকের ফটোগ্রাফিটা শুধু মাত্র পাখিদের নিয়ে তোলা বিভিন্ন ধরনের ছবি। আসলে এই পাখিদের ফটোগ্রাফি করতে হলে আপনাকে যে কোন একটা বিল অঞ্চল বেছে নিতে হবে। আসলে এইসব অঞ্চলে একদিকে যেমন প্রচুর মাছ থাকে। আর এই মাছের সন্ধানে পাখিরা সেইসব অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। তো আমি আবার বেরিয়ে পড়লাম আমার ক্যামেরা নিয়ে কোন এক অজানা উদ্দেশ্যের দিকে। আসলে একটা জিনিস যে আমাদের এই অঞ্চলের আশেপাশে একটু দূরে গেলেই আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য, বিল ইত্যাদি দেখতে পাই। যদিও এইসব অঞ্চলে প্রচুর ধরনের পাখি দেখা যায়। আসলে এই ছবিটিতে মাছরাঙ্গা পাখিটি জল থেকে মাছ শিকার করে উড়ে পালাচ্ছিল। ছবিটি আমি আমার ক্যামেরায় বন্দি করতে চেষ্টা করলাম।
আসলে মাছরাঙ্গা পাখির ছবি তোলা যে এতটাই কঠিন আপনারা কখনো কল্পনা করতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনি এই পাখিটিকে কোথাও চুপচাপ করে বসে থাকতে দেখতে পারবেন না। যেই আমি ক্যামেরার লেন্সটি যেই পাখির দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করি তখনই পাখিটি ক্যামেরাটি দেখে আবার উড়ে পালায়। আসলে এই মাছরাঙ্গা পাখির ছবি তুলতে কিন্তু খুবই ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও এইসব অঞ্চলে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের মাছরাঙ্গা দেখা যায়। আমার কাছে মনে হয় যে সকল মাছরাঙ্গার ভিতরে এই ধরনের মাছরাঙ্গা খুবই চালাক হয়।
আসলে বিভিন্ন প্রকারের অর্থাৎ বিভিন্ন সাইজের মাছরাঙ্গা আমরা সচরাচর দেখতে পাই। আমার কাছে মনে হয় যে মাছরাঙ্গা পাখিদের ভিতরে এই প্রজাতির মাছরাঙ্গা পাখিটি একটু ছোট হয়। এছাড়াও এই মাছরাঙ্গা পাখি তার সুনিপুণ চোখ দিয়ে প্রায় নিখুঁতভাবে শিকার করে। যদিও দু এক সময় দুই একটা শিকার মিস হয়ে যায়। পাখিটি একটু মাছ শিকার করে আমার এই ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে সে মাছটি খাচ্ছিল। আসলে মাছরাঙ্গা পাখি এক জায়গায় বেশিক্ষণ শিকার করে না। তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে মাছ শিকার করে।
এরপর আমি একটা দূরে দেখতে পেলাম যে হলুদ রঙের একটা পাখি। প্রথম অবস্থা আমি ভাবলাম যে পাখিটি মনে হয় হলদে পাখি। আসলে পাখিটি একটা জায়গায় স্থির হয়ে বসে ছিল অনেকক্ষণ ধরে। প্রথম অবস্থায় হলদে পাখি ভেবে আমি পাখিটির ছবি করে যখন সেই ছবিটি জুম করে দেখছিলাম। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে পাখিটি হলদে পাখি নয়। আসলে এই পাখিদের যে কি নাম তা আমার জানা নেই।
আসলে এই ধরনের পাখি কিন্তু মাছ শিকার খুব কম করে। এই পাখিগুলোর প্রধান খাদ্য হলো বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়। আসলে পোকামাকড় খেয়ে এই পাখি জীবনধারণ করে। এই ধরনের পাখি আমাদের এসব অঞ্চলে খুব কম দেখা যায়। এছাড়াও এসব পাখি কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত থেকে ফলমূল খেয়ে বাঁচে। আসলেই পাখিটির কি নাম আপনারা যদি জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। কিছুক্ষণ পর পাখিটা আমায় দেখে আবার উড়ে পালিয়ে গেল।
এরপর আমি আবার বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে যখন ট্রেন স্টেশনের দিকে যেতে লাগলাম তখন আমি রেল লাইনের উপরে একটি ফিঙে পাখিকে দেখতে পেলাম। আসলে এই শীতকালে এই ফিঙ্গে পাখিটি দেখে মনে হচ্ছিল যে লাইনের উপরে বসে রোদ পোহাচ্ছিল। কারণ রেললাইনের আশেপাশে খুব অল্প গাছ থাকায় এখানে রোদ খুব প্রখর হয়। আর এই জন্যই ফিঙে পাখিটি এই লাইনের উপরে দাঁড়িয়ে রোদ পোহাচ্ছিল।
আর ফিঙে পাখি কিন্তু খুবই চালাক হয়। এছাড়াও এদের সবথেকে অপছন্দের রং হলো কালো। কারণ এরা কালো জিনিস দেখলে ছো মেরে সেই জিনিসটাকে আক্রমণ করে। এটা আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি শিখতে পেরেছিলাম। কারণ ছোটবেলা যখন আমি একা একা একটা মাঠের ভিতর দিয়ে স্কুলে যেতাম তখন এই ফিঙে পাখি ছো করে আমার মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করত। কারণ এরা কালো জিনিস পছন্দ করে। আর আমাদের মাথার চুল কালো এজন্য তারা এই জিনিসটা কখনো দেখতে পায় না। যদিও এ বিষয়টি আমি আমার আগে অন্য একটি পোস্টে আপনাদের সাথে এই অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করেছিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Nikon
ক্যামেরা মডেল : Nikon 5200D
ক্যামেরা লেংথ : 50 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
কথাটা ঠিক ভাই বিল অঞ্চলে পাখির সংখ্যা বেশি থাকে। এর একটা কারণ মাছ এবং অন্য একটা কারণ খোলামেলা পরিবেশ। মাছরাঙা বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে ছোট বড়। ওদের গঠন এবং কাজ সত্যি বেশ চমকপ্রদ। রেললাইনের উপর বসে থাকা পাখির ফটোগ্রাফি টাও বেশ সুন্দর করেছেন ভাই। এককথায় দারুণ ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য
আপনাকে।
খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। এই এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ফটোগ্রাফি মানে অন্যরকম কিছু সৌন্দর্য ঘুরে দেখা।
আজকের পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে বিশেষ করে মাছরাঙ্গা মাছ ধরার দৃশ্য অসাধারণ।
নতুন একটি আইডিয়া ও সংগ্রহ করলাম ভালো ফটোগ্রাফি করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
দাদা আপনার মতো আমিও ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়ার সময় ফিঙ্গে পাখির ঠোক খেতাম। আমার কাছেও মনে হয় এই পাখিটার অপছন্দের রঙ কালো। অনেক সুন্দর সুন্দর পাখির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছেন। তবে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম আপনার প্রতিটি ছবি একই রকম দুই বার দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি ফটোগ্রাফি পোস্ট করার জন্য অবশ্যই সাতটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করা প্রয়োজন। পরবর্তীতে অবশ্যই বিষয়টি মাথায় রাখবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনার তোলা বিভিন্ন দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। মাছরাঙ্গা পাখির ফটোগ্রাফিটি খুবই চমৎকার দেখাচ্ছে। সুন্দর ফটোগ্রাফির সাথে চমৎকার বর্ণনা উপস্থাপন করে একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। পাখিদের ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি কষ্ট হয় কখন উড়ে যায় বুঝতে পারা যায় না। তবে আপনি খুব সুন্দর ভাবে পাখির ছবিগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার এই ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যদিও বর্তমান সময়ে সকলেই অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে তবে আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলোর ক্যাপচার করার দৃশ্যগুলো অসাধারণ ছিল। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি বিভিন্ন পাখির দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। পাখিদের ফটোগ্রাফি করা খুবই কষ্টকর। আমি হলে তো একটাও তুলতে পারতাম না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি খুব সুন্দর বর্ণনা ও দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।