বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৫২
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে জ্যেঠুর বাড়িতে পৌঁছাতে আমাদের সেদিন একটু রাত হয়ে গিয়েছিল। কারণ রাস্তায় এত সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আমরা সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করছিলাম। আর এই ফটোগ্রাফি করতে করতে বেশ কিছুটা সময় আমরা ওই জায়গাতে দাঁড়িয়েছিলাম। আর এর ফলে চারিদিকে প্রায় অনেকটা অন্ধকার হয়ে এসেছিল। আসলে গ্রামের দিকে মনে হয় খুব দ্রুতই সন্ধ্যা হয়ে যায়। তাই আমরা ফটোগ্রাফি শেষ করে দ্রুত জ্যেঠুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
তো পরের দিন সকালে জানতে পারলাম যে আজ জ্যেঠুরা বাড়ির ধান বিক্রি করবেন। আসলে ওই গ্রামে জ্যেঠুদের নাকি অনেক জমি রয়েছে। প্রতিবছর এই জমি থেকে তারা প্রচুর ফসল উৎপাদন করেন। আসলে এই এলাকায় সব থেকে বেশি ভালো ধান হয়। আর পরের দিন সকালে বড়মা আমাকে বললেন যে, আজ ধান ক্রেতারা ধান কিনতে আসবেন। উনারা যখন এই ধান ওজন করবে তখন আমি যেন পাশে দাঁড়িয়ে থেকে সবকিছু দেখি। যাইহোক আমি মাথায় একটা গামছা নিয়ে যেখানে ধান মাপছিল সেখানে দাঁড়িয়ে রইলাম।
আসলে আমি ঘুম থেকে ওঠার অনেক আগে থেকেই ওই লোকেরা ঘর থেকে ধান বের করছিল। কারণ জ্যেঠুদের আপনারা যে ঘরটি দেখতে পাচ্ছেন সেই ঘরের পুরোটাই ধান ভর্তি ছিল। এছাড়াও দুপুরের রোদে আবহাওয়াটা তখন একটু গরমই ছিল। এরপর প্রথমে ওই লোকগুলো ঘর থেকে সব ধান বস্তার ভিতর ভর্তি করে রাখলেন এবং অন্য একজন লোক এক একটা বস্তা ওজন মেশিনে মাপতে লাগলেন। যে বস্তায় ধান কম থাকে সেখানে আরো ধান দিয়ে ওজন করা হয়। আর ধান বেশি থাকলে সেই বস্তা থেকে ধান তুলে নেওয়া হয়।
আসলে অনেক বেশি ধান থাকার কারণে লোকেরা প্রথমে ধানের বস্তায় ধান ভরে দুপুরের খাবার শেষ করে নিলেন। কারণ এত বেশি ধান বের করতে করতে তারা ক্ষুধার্ত হয়ে গিয়েছিল। যদিও বড়মা লোকেদের জন্য বাড়িতে খাবার তৈরি করেছিলেন। আসলে গ্রামের মানুষের মন মানসিকতা সত্যিই খুব ভালো। আর যারা ধান কিনতে এসেছিলেন তারাও মন ভরে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলেন। এরপর এক এক করে বস্তার ধান সব মাপা শুরু হয়ে গেল। আর এদিকে ধানের ধুলো আমার পায়ে লেগে পা চুলকাতে শুরু করল।
তৎক্ষণাৎ বড়মা আমার পায়ে সরিষার তেল মেখে দিলেন। কারণ পায়ে যদি সরিষার তেল মাখা থাকে তাহলে ধানের ধুলায় আর পা চুলকায় না। যাইহোক এক এক করে ঘরের প্রায় সব ধান বের করে নেয়া হলো। কিছু ধান খাওয়ার জন্য রেখে দেয়া হলো। এরপর লোকগুলো এক এক করে সব বস্তার মুখ খুব সুন্দর ভাবে বেঁধে নিলেন। দুজন লোক প্রতিটা ভ্যানের উপরে ধানের বস্তা গুলো বোঝাই দিতে শুরু করলেন। গ্রামের রাস্তা ভালো না থাকায় প্রথম অবস্থায় তারা ভ্যানে করে সেই ধান মেইন রোড অব্দি নিতে থাকলেন। এরপরে আমি দ্রুত স্নান করতে চলে গেলাম। কারণ ধানের ধুলোতে আমার শরীরও খুব চুলকাচ্ছিল।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 20/11/2022
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বাংলাদেশ ভ্রমণের সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে ধানের দৃশ্য ধান সংরক্ষণ করার বিশেষ বিশেষ মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এ যেন গ্রাম বাংলার এক অসাধারণ ঐতিহ্য।
আরে দাদা যে কারণে সরিষার তেল নিলেন কিন্তু শেষ পযর্ন্ত ঠিকই আপনার পা চুলকালো ধানের ধুলায়। আর এটা ঠিক বলেছেন দাদা গ্রামের দিকে সন্ধ্যা খুব দ্রুতই হয়ে যায়। গ্রামের সৌন্দর্য মুগ্ধ হওয়া একেবারে স্বাভাবিক। আপনার জেঠ্যুর বাড়িতে দেখছি একেবারে ধানের কারবার।