এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -৫২
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আজকের ফটোগ্রাফিটা হল পুরোটাই একটা মাছরাঙ্গা পাখিকে নিয়ে। আসলে আমি যেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম। গ্রামাঞ্চলের দিকে ছবির কোন শেষ থাকেনা। যেখানেই বসে থাকি সেখানেই এক একটা নতুন নতুন দৃশ্য আমরা দেখতে পাই। আসলে একটা দৃশ্যকে যদি আমরা বিভিন্ন দিক থেকে দেখি তাহলে আমাদের কাছে সেই দৃশ্যটা বিভিন্ন রকম মনে হয়। যদিও আমাদের সময়টা খুব ভালোই কাটছিল। কারণ আমরা একসাথে অনেকজন মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম।
আসলে গ্রামের দিকে এমন একটা জায়গায় যেখানে মনে হয় আধুনিক সভ্যতা থেকে অনেকটা দূরে। আসলে আধুনিক সভ্যতা থেকে বেরিয়ে আমরা যখন গ্রামের দিকে ঘুরে বেড়াতে থাকি তখন আমাদের কাছে পৃথিবী এক অন্যরকম রূপ ধারণ করে। কারণ এখনকার সময়ে আমরা আমাদের বেশিরভাগ সময়টাই মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি ইলেকট্রিক জিনিসের পিছনে ব্যয় করে থাকে। আসলে সেই আগেরকার সময়ের সেই প্রকৃতি আজ দিন দিন বিলুপ্ত হচ্ছে। যদিও গ্রামের দিকে এখনো অনেক প্রাকৃতিক দৃশ্য আমরা সবসময় দেখতে পাই।
বসেছিলাম আমরা প্রায় সন্ধ্যা অবধি। বসে বসে সন্ধ্যার দিকে দেখছিলাম যে একটা মাছরাঙ্গা পাখি চুপচাপ একটা পুকুরের পাড়ে বসে মাছ শিকার করছিল। আসলে তার মাছ শিকারের পদ্ধতিগুলো দেখার মত। যাইহোক আজকের এই সময়টাতে আমি মাছরাঙ্গা পাখির মাছ শিকার নিয়ে পিএইচডি করতে শুরু করে দিলাম। এদিকে আমরা গল্প করছিলাম আর মাছরাঙ্গা দিকে এক নজরে তাকিয়ে ছিলাম। কারণ আমি মাছরাঙ্গাটির একটা পুরো শিকারের বিবরণ আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আসলে এই মাছরাঙ্গা পাখিটির প্রায় আমি একশোর মত ছবি তুলেছিলাম। কিন্তু বাইরের আলো কমে আসায় আমার বেশিরভাগ ছবি ভালো হচ্ছিল না অর্থাৎ ছবিতে ফোকাস ঠিকঠাক হচ্ছিল না। কারণ আলো কমে গেলে ক্যামেরার এই একটা সমস্যা। কম আলোতে ক্যামেরার ঠিকঠাক ফোকাস করা যায় না। তাই আমাকে একই ধরনের ছবি বারবার তুলতে হচ্ছিল। যাইহোক এদিকে বসে বসে গল্প করছিলাম আর ওদিকে সেই মাছরাঙ্গা পাখিটির বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির দৃশ্যের ছবি তুলছিলাম।
আসলে ওখানে অনেকগুলো মাছরাঙ্গা পাখি ছিল। যদিও যেসব পাখিগুলো একবার মাছ শিকার করতে পেরেছে তারা কিন্তু সেদিনের মতো সেই মাছ নিয়ে আবার তাদের বাসায় ফিরে গেছে। আর যে পাখিগুলো একটাও মাছ সেদিনের মতো শিকার করতে পারিনি, তারা অধীর আগ্রহে চুপচাপ একটা বাঁশের কঞ্চির উপরে বসে ছিল। আসলে এই সময়ে একটু ঠান্ডা পড়েছিল। কারণ শীতকাল আসার আগেই এইসব গ্রামাঞ্চলে ঠান্ডা চলে আসে।
এই এতগুলো ছবির ভিতরে আমার এই কটা ছবি মাত্র ভাল এসেছিল। কারণ অন্যান্য ছবিগুলো ফোকাস ঠিকঠাক হয়েছিল না। যাইহোক পাখিগুলো এত দ্রুতই মাছ শিকার করছিল যে চোখের নিমিষেই তারা মাছ শিকার করে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছিল। আর এজন্য আমাকে ক্যামেরার লেন্সে চোখ দিয়ে পাখির দিকে নজর রাখতে হচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর চারিদিকটা প্রায় অনেকটা বেশি অন্ধকার হয়ে এলো। যাইহোক সেদিনের মত আমার ফটোগ্রাফি করা শেষ হয়ে গেল
ক্যামেরা পরিচিতি : Nikon
ক্যামেরা মডেল : Nikon 5200D
ক্যামেরা লেংথ : 50 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
অসাধারণ কিছু মাছরাঙ্গা ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন যা এর সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। খাবারের জন্য মাছরাঙ্গাটি অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছে। আসলেই সময়টা খুবই উপভোগ করার মত। আমার কাছে এমন ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
আসলেই গ্রামের প্রকৃতি সম্পূর্ণই আলাদা ৷ গ্রামের দিকে গেলে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য দেখা যায় ৷ আপনি সন্ধ্যা উব্দি বসে থেকে মাছরাঙা পাখির চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ যদিও ঠিক বলেছেন আলোর অভাবে ছবির ফোকাস ঠিকঠাক ভাবে নেয় না ৷ তবুও আপনার তোলা ছবি গুলো বেশ ভালোই হয়েছে ৷ শেষের ফটোগ্রাফিটা আরো দারুণ হয়েছে ৷ ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য
এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন।দেখতে খুবই চমৎকার ও অসাধারণ। দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমারও ফটোগ্রাফির খুব শখ।আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
দেখতে দেখতে এলোমেলো ফটোগ্রাফির ৫২ তম পর্ব আজকে আপনি আমাদের মাঝে সম্পন্ন করেছেন। আর এ পর্বের মধ্যে বেশ বিভিন্ন পর্যায়ের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি বিদ্যমান ছিল। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভালো লেগেছে এবং অনেক সুন্দর ভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। আশা করি পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে তুলে ধরবেন।
খুবই ভালো লাগলো দাদা আপনার ফটোগ্রাফির পোস্টটি পড়ে। আসলে চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। বিশেষ করে মাছরাঙ্গা পাখির মাছ শিকারের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনার লেখাগুলো পড়ে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছবি গুলো সত্যি দারুণ ছিলো দাদা। প্রফেশনালি তুলেছেন ফটোগ্রাফি গুলো। পুরোটা সময় ছবির দিকে চেয়েছিলাম। যেনো আমি এই ছবির প্রেমে পরে গিয়েছি। সত্যি অমায়িক ছবি হয়েছে এটি। ভালো লাগলো খুবই।
আপনার ফটোগ্রাফির তুলনা নেই দাদা। প্রতিটা ছবি এতটাই চমৎকার লাগছিল এটা বলে বোঝাতে পারবো না। আমার মনে হয় এই পোস্টটা যেই দেখবে সেই মুগ্ধ হয়ে যাবে। প্রতিটা ছবি যেন আলাদা করে কথা বলছিল।
দাদা আপনার করা ফটোগ্রাফির কথা আজকে আর নতুন করে কি বলবো। কারণ আপনার ফটোগ্রাফি সবসময়ই অনেক বেশি সুন্দর হয়। আর আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই মনটা একেবারে ভালো হয়ে যায়। আজকে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আজকে আপনি আপনার ফটোগ্রাফি পর্ব আমাদের মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে ভালো লাগলো। সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন এবং বর্ণনাও তুলে ধরেছেন। সব মিলিয়ে পুরোটা ভালো লাগলো দাদা।
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি আমার কাছে সবসময়ই অনেক ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো নিখুঁত হয় বলে দেখতে এত সুন্দর লাগে। আজকে আপনি মাছরাঙা পাখির খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনি ঘুরতে গিয়ে ভালো লাভ হয়েছে। আমরা এত সুন্দর মাছরাঙা পাখির ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।