এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -৩৫
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আমার একটু রাগ হয়ে যাচ্ছিল। আমি কিন্তু কাউকে কখনো সময় দিলে সে সময়ের ভিতরে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। যদিও কোন কোন সময় আমার ২-৫ মিনিট দেরি হতে পারে। কিন্তু আমাকে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছিল ওই বন্ধুটির জন্য। এদিকে আমি আমার জিনিস ওকে দেবো আর আমি আবার ওর জন্য অপেক্ষা করব আমি কিছুতেই আর মেনে নিতে পারছিলাম না। আর এদিকে তো কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির ভিতর ক্যামেরা নিয়ে আমি খুব টেনশনে ছিলাম।
আমি বন্ধুটিকে বারবার কল করতে লাগলাম। কোন এক সময় ভাবতে লাগলাম যে আমি এবার হয়তো চলে যাব। তখন পর মুহুর্তে ও আবার আমাকে বলে আর মাত্র ১০ মিনিট দেরি হবে ওর আসতে। আসলে এই পাঁচ দশ মিনিট করতে করতে ও প্রায় এক ঘন্টা সময় কাটিয়ে দিয়েছে। যাই হোক আমি আর বসে বসে কি করব তখন আমি আবারো ফটোগ্রাফি করতে শুরু করলাম। আসলে বৃষ্টির পরে ফুলগুলো যেন রঙিন হয়ে উঠেছে।
আসলে নয়নতারা ফুলটির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। এমন কোন বাগান বাড়ি নেই যেখানে এই নয়নতারা ফুল দেখা যায় না। আসলে এই নয়নতারা ফুল একটা কমন ফুল। আসলে এই ফুল কিন্তু বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। ওই পার্কের ভিতরে আমি সাধারণত তিন প্রকারের নয়ন তারা ফুল দেখতে পেলাম। একটি রং হল লাল অন্যটি চারিদিকে সাদা এবং মাঝের দিকে লাল আর অন্যটি একদম পুরো সাদা।
আর প্রায় সব নয়নতারা ফুলের কিন্তু তিনটে পাপড়ি হয়। সাধারণত যতই ফুল দেখতে পাই না কেন কোন নয়ন তারা ফুলের পাঁচটির বেশি পাপড়ি হয় না। এই নয়নতারা ফুলকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। আমরা হিন্দু পরিবার আমাদের বাড়িতে ঠাকুরের পূজায় এই ফুল ব্যবহার করে থাকি। আসলে এই ফুলের বাগান করতে বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। আপনি যদি এই নয়নতারা ফুল একবার লাগান তাহলে ওই ফুল থেকে পুনরায় বীজ হয়ে সেই বীজ মাটিতে পড়ে আবার ফুল গাছে পরিণত হয়।
আসলে এই ফুলটির যে কি নাম সেটা আমার জানা নেই। আপনাদের কারো জানা থাকলে এই পোষ্টের কমেন্টে অবশ্যই ফুলটির নাম জানাবেন। আসলে এই ফুলেরও বিভিন্ন ধরনের রংয়ের হয়ে থাকে। আমি সাধারণত লাল, গোলাপি এবং হলুদ রংয়ের এই ফুল দেখেছি। এটাও একটি কমন ফুল। বিভিন্ন পার্ক গুলোতে এই ফুলেরও সমারো দেখা যায়। আসলে একদিকে যেমন আমার ফটোগ্রাফি হয়ে যাচ্ছিল তেমনি আবার অন্যদিকে রাগও হয়ে যাচ্ছিল বন্ধুর জন্য।
হঠাৎ করে কিছুক্ষণ পর পুনরায় বৃষ্টি শুরু হল। এবার কিন্তু আর সেই আগের বারের মতো আস্তে আস্তে বৃষ্টি শুরু হল না। একদম ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হল। তাই আমি দেরি না করে একটা শেডের নিচে গিয়ে আশ্রয় নিলাম। কারণ আমি ভিজলে কোন সমস্যা নেই কিন্তু আমার ক্যামেরাটি যদি ভিজে যায় তাহলে ক্যামেরাটি নষ্ট হয়ে যাবে। প্রায় ৩০ মিনিট একটানা বৃষ্টি হলো। এদিকে এই সময়ের ভিতরে আমার বন্ধুও চলে এলো। প্রথমদিকে আমি আমার মনের মত করে ওকে বকে নিলাম।
এরপর যখন বৃষ্টি শেষ হলো তখন আমি আমার ক্যামেরাটি ব্যাগে ঢোকানোর জন্য একটা জায়গা দেখছিলাম। হঠাৎ দেখি পাথরের উপরে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো একত্রিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের আকার আকৃতি ধারণ করেছে। তখন আমি আমার ক্যামেরাটি ব্যাগের ভিতর না ঢুকিয়ে পুনরায় আবার একটা ছবি তুলে নিলাম। আসলে আমার মনে হয় এটা একটা এবস্ট্রাকট ছবি। এর কারণ হলো একেক জন মানুষ এই ছবিটিতে এক এক ধরনের চিত্র খুঁজে পাবে।
ক্যামেরা পরিচিতি : CANON
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 6D Mark II
ক্যামেরা লেংথ : 42 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
সত্যি বলতে আমি নিজেও যখন কারো জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করি তখন আমিও বিরক্ত হই। আবার বেশি দেরি হলে এই বিরক্তি সকল সীমা অতিক্রম করে ফেলে হা হা। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল দাদা। ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অনবদ্য। কিন্তু বৃষ্টির পানির ঐ দুইটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
কারো জন্য অপেক্ষা করা সত্যিই অনেক বিরক্তিকর কাজ। আপনি আপনার বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করেছেন আর সেই ফাঁকে ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো দাদা। বৃষ্টির ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে আর নয়নতারা ফুল গুলো দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল দাদা।
বন্ধুর জন্য তো বেশ সময় ধরে অপেক্ষা করলেন দাদা। আর এদিকে দিয়ে চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। আমার কাছে সাদা নয়নতারা ফুল গুলো ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি সব সময়ই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারন লাগতেছে ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
আপনি দারুণ দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করেছেন।নয়নতারা ফুল কম বেশি সবাই চিনে।আপনার তোলা প্রতিটা ছবি দারুণ হয়েছে। আপনি ফটোগ্রাফির সাথে সাথে সুন্দর ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার।জন্য।
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। নয়ন তারা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগছে।তবে হলুদ রঙের ফুলটির নাম আমার ও জানা নেই।
ফুলের এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। আপনি অনেক গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ভাই আপনি কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনার তোলা নয়নতারা ফুল গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একদম দেখার মত ছিল আপনার প্রত্যেকটা রেনডম ফটোগ্রাফি। যেখানে আমি খুঁজে পেয়েছি বৈচিত্র্যময় রূপ গ্রাম বাংলার ফুলের। এই ফুলটা আমাদের এখানে নয়ন তারা অথবা বোতাম ফুল বলে সম্বোধন করে।
অপেক্ষা করাটা বরাবরই অনেক বেশি কষ্টের একটি কাজ আপনার বন্ধু আপনাকে অনেকটা সময় অপেক্ষা করিয়েছে দেখছি। যদিও আপনি পুরো সময়টা একদম বিফলে যেতে দেননি কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন যে ফটোগ্রাফি গুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে। বিশেষ করে নয়নতারা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল দারুণভাবে আপনি ক্যাপচার করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য