দুর্নীতি ও ঠকবাজিতে আমরা ই সেরা।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
দুর্নীতি ও ঠকবাজিতে আমরা ই সেরা। |
---|
মাঝে মাঝে বাজারে যেতে হয় পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য। আর বাজারে গেলে আমরা কত ভাবে ঠকি সেটা আসলে বলার বাকি থাকে না। কখনো কখনো আমরা বুঝে ঠকি। কখনো কখনো অবুঝের মত ঠকি।মানে কিছু ক্ষেত্রে আপনি যদি বুঝেন যে আপনি ঠকছেন,তবে সেখানেও কিছুই করার নেই।আবার কিছু সময় আমরা বুঝিই না যে তারা ছলায় কলায় আমাদেরকে ঠকিয়ে দিচ্ছে। তবে এভাবে আমরা প্রতিনিয়ত ঠকছি। চলুন সে বিষয়ে আজকের এই ব্লগটি তৈরি করতে যাচ্ছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
Location
বাজারে গেলাম মাছ কেনার জন্য। মাছ বাজারে ঢুকতে প্রথমেই দেখতে পাই মাছ গুলো ডাকে উঠানো হয়েছে। মানে পাইকারদাররা এই মাছগুলো নিবে এবং তারা তাদের সুবিধামতো এগুলো বিক্রি করবে। যাক প্রথমত পুরো বাজারটা একটু ঘুরে নিলাম। এটার কারণ হলো পুরো বাজারে কি কি মাছ আছে, সেগুলো দেখার জন্য। পাশাপাশি মাছগুলোর দামও জিজ্ঞেস করে নিলাম। কোন দোকানে কোন মাছ কত করে বিক্রি করছে।
মূলত বাজার করার প্রক্রিয়া এমনই। আপনি যদি পুরো বাজার ঘুরে ঘুরে মাছ কেনেন তাহলে আপনি ভালই মাছ কিনতে পারবেন। কারণ ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন মাছ কত দামে বিক্রি করতেছে। আর কোন মাছের কোয়ালিটি কেমন। যাই হোক আমি একটা ঘুরপাক দিয়ে আসলাম পুরো মাছ বাজার থেকে। হঠাৎ করে দেখতে পাই এক ব্যক্তি ছোট একটি টুকরিতে অল্প কিছু মাছ নিয়ে বসে আছে।যদিও সেই একই মাছগুলো পাইকারদাররা যেখান থেকে কিনে নিচ্ছে সেখানে আমি দেখেছিলাম।এখন বিষয় হচ্ছে যে ব্যক্তিটি অল্প কিছু মাছ টুকরিতে নিয়ে বসে আছে সে একটি ফাঁদ পেতেছে। মাছগুলো ভালো দামে বিক্রি করার জন্য হোক সেটা মানুষকে ঠকিয়ে । আর সেই ফাঁদ টি হল মাছের ভিতরে কিছু পচা পাতা ও কাদা রেখে দিল। যাতে করে সবাই ভাবে এগুলো কোন পুকুর বা খাল থেকে ধরে এনেছে।
Location
মূলত আমরা সবাই চাই মাছগুলো যাতে ফ্রেশ হয় এবং পুকুর বা খালের মাছ হলে সেটা সবার আগেই আমরা কেনার চেষ্টা করি। কারণ অন্যথায় মাছগুলো চাষের বা হাইব্রিডের হয়ে থাকে। যাই হোক তখন লোকটির এই বিষয়টি আমার জন্য নতুন ছিল না। কারণ এরকম আমি নিজে নিয়েও ঠকেছিলাম, তাই তাকে এই অবস্থায় দেখে আমি আর এগুলো নিলাম না। তবে একটা ব্যক্তি ঠিকই এসে জিজ্ঞাসা করল মাছগুলোর দাম।তখন ব্যক্তিটি চড়া দাম চাইলো।
Location
তখন ব্যক্তিটি বলল যে এত দাম তো নয় এই মাছের। তখন সে ব্যক্তিটি বলল এগুলো পুকুরের মাছ তাই একটু দাম বাড়তি। আর আছেই এই কয়টি মাছ বাকি সব বিক্রি হয়ে গেছে। তখন কি আর করার বেচারা নিয়ে গেল দাম দিয়েই। আচ্ছা যাক পরবর্তীতে আমি সেটা দেখলাম এরপর আমি আমার মাছ কেনার কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলাম।মাছ কেনার পরে যখন আবার ঘুরে যাচ্ছিলাম তখন দেখতেছি সেই একই ব্যক্তি আবার একই টুকরিতে মাছগুলো নিয়ে আবারো কিছু পচা পাতা ও কাদা মাখা মাছের মধ্যে আবারো দিয়ে রেখেছে। তখন তো আর বুঝার বাকি রইল না, যে লোকটি এভাবেই ফাঁদ পেতেছে। আর সাধারণ মানুষ পুকুরের মাছ ভেবে নিয়ে যাচ্ছে। মূলত এভাবেই আমরা ঠকছি।
মাংসের বাজারে যান সেখানেও একই অবস্থা। সেখানে আপনি ঠকছেন এটা জানার পরেও আপনাকে ঠকা অবস্থায় নিতে হবে মাংস। না হলে সে সেল করবে না। আপনি যতই বলেন যে এখানে হাড্ডি দিতে পারবেন না, আমি দাম বাড়িয়ে দেব। তিনি বলবে না হাড্ডি দিব না অল্প একটু চর্বি দিচ্ছি শুধু। তখন দেখবেন চর্বি চলে আসলো অনেক।এরপরে যখন দেখবেন যে দুই একটা হাড দিয়েছে তখন আপনি যদি বলেন যে হাড কেন দিলেন। বলবে এগুলো কুড় মুড়ে খেয়ে ফেলতে পারবেন এগুলো কিছু না। তখন আপনি যদি বলেন যে না এভাবে আমি নিব না তখন তিনিও আপনাকে রিপ্লাই করবে ঠিক আছে না নিলে কিছু করার নেই আমরা তো এভাবেই কিনে নিয়েছি।
কি আর করার নিজের প্রয়োজন মেটাতে অবশ্যই তখন নিতে হয়। তবে এক্ষেত্রে একটা জিনিস বামের মতো কাজ করবে, সেটা হচ্ছে তাকে যত পাম দিয়ে তার যত প্রশংসা করে একটু ভালো কেনা যায়। আপনি যদি তার সাথে এরকম ওটা দিবেন না সেটা দিবেন না এটা কম দেন সেটা কম দিন এগুলো করলে সে আরো ৯/৬ করে আপনাকে ঠকাবে। আর এটার প্রমাণ আমি। কারণ আমার এক ফ্রেন্ডের দোকান ছিল মাংস বাজারের পাশে। তখন আমরা দোকানের পাশে বসে সেখানে আড্ডা দিতাম।তখন একজন দোকানদার কিভাবে কাস্টমারকে ঠকাচ্ছে সেটা আমাদের চোখে একদম পরিষ্কার ছিল।যাইহোক এরকম ঠকা যে আমি আপনি হচ্ছি তা কিন্তু না। আসলে সবাই কোন না কোন ভাবে ঠকতেছে।
Location
একদিন একটা জায়গাতে যাওয়ার সময় ফল কিনতে গেলাম। অপরিচিত একজন ফল ব্যবসায়ীর কাছে।তাকে বললাম পেয়ারা দেন ২ কেজি কিলো, ভালো দেখে দিয়েন। সে কি করলো দু কিলো তে ছয়টার মতই পেয়ারা নষ্ট বা খাওয়ার অযোগ্য দিয়ে দিল। একই রকম ভাবে আমের দিক থেকেও একই কাজ করল। মূলত তারা আপনাকে ভালো সাইট দেখিয়ে পলিথিনে ঢুকিয়ে দেবে। বাড়িতে গিয়ে দেখবেন এগুলো খারাপ।আর কোন আত্মীয়ের বাড়িতে নিলে তখন তারা ভাববে যে লোকটাকে ঠকিয়েছে কিন্তু তারা তো আর এসে বলবে না আর আপনিও জাস্টিফাই করার সুযোগ থাকবে না অনেক সময়।তাই ভাবতেও পারবেন না যে আপনার সাথে ধোঁকা হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে নিজে দেখে কিনলে এক হিসাব,আর তখন ভালো ভালো ফল নেওয়া যায়। আর অনেক সময় কিছু কিছু লোক বা ব্যবসায়ী আছে,তারা বলে যে আমি এভাবে বিক্রি করব না ভালো খারাপ একসাথে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আমার সাজেশন হল যদি কেউ ফল কেনে তখন পরিচিত লোক থেকে ফল কেনা ভালো। অপরিচিত লোক থেকে ফল কিনতে গেলে এরকম ঘটনা অহরহর হয়ে থাকে।এরকম প্রত্যেকটা সেক্টরে কোন না কোন ভাবে আমরা ঠকছি। এজন্যই আসলে আমরা দুর্নীতির দিক থেকে সেরা। কারণ এরকম দুর্নীতি বাংলাদেশ ছাড়া আর খুব কম জায়গাতেই রয়েছে।যাইহোক এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বা এরকম ঠকবাজ যারা রয়েছে তাদের সু-বুদ্ধি হোক এটা কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![steempro....gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTE3978V85byJ3jjoLdrAFUo5xUhDe7Hp6bDUeqi9sW7p/20230619_2116256.gif)
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাইটিং |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
বর্তমান বাজারে এইসব ধোকাবাজি চলচেই। কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে, মাছ মাংস, ফলমুল সবকিছুতেই এরকম ভেজাল। ঠকানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ওজন মাপে ঠিক নেই,তাছাড়া যেকোনো কিছু তারা ঠকিয়েই দেবে।ব্যবসায়িক কার্যকলাপে এখন দূর্নীতি ছাড়া সততা নেই।
জি একদম ঠিক কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে, মাছ মাংস, ফলমুল সবকিছুতেই এরকম ভেজাল। ঠকানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
ভাই আমাদের মদনপুরে ফুটওভার এর উপরে প্রায়ই দেখা যায় কিছু কৈ মাছ এবং শিং মাছ ছোট টুকরিতে নিয়ে বসে থাকে। কিছু কচুরিপানা থাকে এবং কাঁদা মাখানো থাকে মাছের মধ্যে। আমি একদিন নিতে চেয়েছিলাম,পরে সামনে গিয়ে মাছের সাইজগুলো দেখলাম বেশ বড় বড়। মাছের কালার দেখে মনে হয়েছিল চাষের মাছ। তারপর আর নেইনি। আমাদের এদিকে কিছুদিন আগেও ফ্রোজেন মাংসের উপর তাজা রক্ত ছিটিয়ে বিক্রি করেছিল। তারপর ধরা পরেছিল। আমাদেরকে আসলেই বিভিন্ন ভাবে ঠকাচ্ছে। তাই বাজারে গেলে বুঝে শুনে কিনতে হয় সবকিছু। যাইহোক এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক ভাই তাই বাজারে গেলে বুঝে শুনে কিনতে হয় সবকিছু।
https://x.com/Nevlu123/status/1738038124700483936?s=20