সেদিন মুহুরী প্রজেক্ট এর পথে, দ্বিতীয় পর্ব।১০% লাজুক-খ্যঁকের জন্য।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমি আবার ফিরে এসেছি আপনাদের সাথে মুহুরী প্রজেক্ট এবং মস্তাননগর ভ্রমনের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে। এর আগে আমি প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজকে দ্বিতীয় পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে
প্রথম পর্বের এবং দ্বিতীয় পর্বের ফটোগ্রাফি সবগুলোই আমি ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি করেছি।আর সেই ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
প্রকৃতপক্ষে ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। কেননা একই দৃশ্য অনেক কিছু ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়। তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক আজকের পর্ব।
প্রথমেই মুহুরী প্রজেক্ট এর যে সেতু রয়েছে সেটার একটি কর্ণারে নদীর পাড়ে কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। বিশেষ করে চটপটি-ফুচকা ও হালিমের দোকান। সেখানে থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।
ফটোগ্রাফি করার সময় ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার দেখাচ্ছিল, তাই আমি বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে আরও কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।আর সবগুলো অ্যাঙ্গেল থেকে বাছাই করে কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পানির স্রোত অনেক দ্রুত যাচ্ছে। আসলে যখন ক্লোজারের ভিতর গেট খুলে দেওয়া হয়, তখন অনেক দ্রুত গতিতে পানি অতিবাহিত হয়। আর সেরকম একটি দৃশ্য আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম।
তারপর সেতু পার হয়ে আসার সময় রাস্তার উপরের দিকে তাকিয়ে দেখতে পাই, কিছু বাঁশ গাছ আর নীল আকাশ দেখা যাচ্ছে। তখন মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে ওই অবস্থায় উপরের দিকে একটি ফটোগ্রাফি করলাম। ওই ফটোটি পরে দেখি খুব চমৎকার এসেছে তাই সেটি আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম।
এখন দেখতে পাচ্ছেন জেলেরা একের পর এক জাল পেতে রেখেছে মাছ ধরার জন্য। সেই দৃশ্যটি চোখে পড়লো। তখন দুটি অ্যাঙ্গেল থেকে ফটোগ্রাফি করলাম এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
শান্ত নদীর বহমান একটি ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম। আর সেখানে নিরব ও নির্মল পরিবেশ দেখা যাচ্ছে।
এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন জোয়ার আসার পরে ভাটা নেমেছিল। আর ভাটা নামার পর পর এই পানি গুলো সরে গিয়েছে, তাই মাটি গুলো পাহাড় এর মত দেখা যাচ্ছে। আর একটি চর হিসেবে গড়ে উঠেছে।
এটি হলো মুহুরী প্রজেক্ট সেতু। এই সেতুর উপর দিয়ে মানুষ যাতায়াত করে। আর সেতুর নিচে বড় বড় গেট রয়েছে যেটি সময় মত খোলা এবং বন্ধ করা হয়।
তো বন্ধুরা আজকে এতোটুকুই আশা করি সামনে আরও ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি কারণ আমি বাংলা বলি তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ এর ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ & সেচুরেশন |
অবস্থান | https://maps.app.goo.gl/9A3i62x5pJ72sooH7 |
মুহুরী প্রজেক্ট এর প্রথম পর্বে ফটোগ্রাফি গুলো আমি দেখেছিলাম। এককথায় জাস্ট অসাধারণ লেগেছে। তাই আপনার দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় ছিলাম। দ্বিতীয় পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব দুটি পর্ব ভিজিট করার জন্য। আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেলে ভালো কাজের উৎসাহ পাই,আবারও ধন্যবাদ আপনাকে
ভাই এত সুন্দর জায়গায় আপনি ভ্রমণ করেছেন। বিশেষ করে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বারবার ওই জায়গাটা ভ্রমণ করার ইচ্ছা জাগল। সত্যিই অসাধারণ দেখতে এবং খুবই সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন, দেখে ভালো লাগবে।
যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই উপায় আছে। কখনও মন চাইলে চলে আসবেন ঘুরে দেখাবো ধন্যবাদ
ফুলটি দেখে যতদূর মনে হচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ফুল।
আপনি বরাবরই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন।ভালো ছিল
উপস্থাপনাটি।সরে যাওয়া মাটিগুলি দেখে মনে হচ্ছে
চোরাবালি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য প্রদানের জন্য। ভাল থাকবেন এবং প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করবেন এই কামনা করি।
প্রকৃতি যে এত সুন্দর হয় ভাই সেটা আবার যেন প্রমাণ পেলাম। এর আগের পোস্টে ও আপনার এই রকম ছবিগুলো মুগ্ধ হয়ে দেখেছি। আজকেও তাই দেখলাম। নিজেকে যেন নতুনভাবে অনুভব করলাম। সুন্দরের এই ধারা বজায় থাকুক। প্রকৃতির সাথে সাথে আমাদের মনটাও যেন এমনই সুন্দর এবং উদার হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রিয় ভাই আপনি যে প্রকৃতিকে অনেক বেশি পছন্দ করা সেটা আমার জানা রয়েছে এবং আমি জানি আপনি অনেক ভালো মনের মানুষ। আর যারা ভালো মনের মানুষ তারা অবশ্যই প্রকৃতিকে আপন করে নেয় ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
❤️❤️
দেখে অনেক ভালো লাগল। কী সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন জায়গা টা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। নদী তার উপর নীল আকাশ এককথায় অসাধারণ। এমন লোকেশনে অনেক দিন যাওয়া হয় না। যাইহোক ধন্যবাদ আমাদের সাথে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
এরকম জায়গায় গিয়ে নিজেকে হারাতে মন চায়, যদি কখনো সুযোগ পান ঘুরে আসবেন।
মুহুরী প্রজেক্ট খুবই সুন্দর একটি জায়গা ধন্যবাদ।
আপনি প্রাকৃতিক দৃশ্যের চিত্র গুলো আমাদের সামনে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ।বিশেষ করে বহুমুখী সেতুর প্রজেক্ট এর পাশে রেস্টুরেন্টের যে ফটোগ্রাফি ছিল সেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।এত সুন্দর ফটোগ্রাফি উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য, ভালো থাকবেন সবসময়।
মুহুরী প্রজেক্ট এর প্রথম পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো আমি দেখিনি কিন্তু দ্বিতীয় গুলো দেখলাম সত্যি অসাধারণ লাগছে। জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর। খুব সুন্দর করে এর প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য
তাহলে বলব ভাই প্রথম পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসুন, আশাকরি আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য
মুহুরী প্রজেক্ট এর প্রথম পর্ব আমার দেখা হয়নি। এবারের পর্বের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে মিস করেছি অনেক। সময় পেলে অবশ্যই দেখে নিব। সুন্দর এই আর্টিকেল টি গুছিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য প্রদানের জন্য। ভাল থাকবেন এবং প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করবেন এই কামনা করি।