কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি নাটকের রিভিউ
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি নাটকের রিভিউ। |
---|
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি |
---|---|
পরিচালক | মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ |
অভিনয় | ইয়াশ রোহান, তানজিম সায়রা তটিনি সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ |
আজকে খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে আসলাম৷ নাটকের নাম দেখেই বুঝতে পেরে গিয়েছেন যে নাটকটি কেমন হবে৷ প্রথমে যখন নাটকটি শুরু হয় তখন এখানে দেখানো হয় যে নায়ক এবং তার একজন বন্ধু মিলে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল৷ তখন সেখানে তারা নায়িকাকে দেখতে পায়৷ নায়িকা সেখানে ছাতা নিয়ে যাচ্ছিল৷ নায়িকাকে দেখে যখনই তার বুকে ব্যথা শুরু হয়ে যায় তখন সে রাস্তার পাশে সেখানে দাঁড়ায় এবং সেখানে তার বন্ধুকে এই কথা বলতে থাকে৷ তখন তার বন্ধু বলে যে তাকে এখন হাসপাতালে নিয়ে যাবে৷ তবে নায়ক বলে যে এই ব্যথা হাসপাতালে যাওয়ার ব্যথা নয়৷ এই ব্যাথার ওষুধ হচ্ছে নায়িকা৷ তখনই নায়ক তার নাম্বার লিখে নায়িকার সামনে যায় এবং সেখানে নায়িকাকে নাম্বার দিয়ে আসে৷ বলে যে তার যদি কখনো মনে হয় যে নায়ককে তার কল দেওয়া উচিত৷ তখনই যেন সে কল দেয়৷ তা নাহলে কখনোই কল দেওয়ার প্রয়োজন নেই৷ তখন নায়িকাকে সে নাম্বার দেয় এবং সেখান থেকে সে চলে যায়৷ তবে নায়িকার সৎ মা যখন তার বিয়ে অন্য এক জায়গায় ঠিক করে দিচ্ছিলেন এবং সেখানে তিনি টাকার লোভে যখন নায়িকাকে সেখানে বিয়ে দেওয়ার কথাবার্তা বলছিলেন তখন নায়িকা নায়ককে কল দেয় এবং সেখানে তাকে আসতে বলে৷
এরপর নায়ক সেখানে আসে এবং নায়িকাকে যখন এরকম অবস্থায় দেখে তখন নায়ক কি করবে কিছু বুঝতে পারছিল না৷ তখন নায়কের বন্ধুকে বলার পরে সে বলে যে নায়িকার বাসায় যেন আবারও তাকে দিয়ে আসে৷ তখন নায়িকার বাসায় দিয়ে আসার সময় নায়িকার বাবা যখন তাকে সেখানে দেখতে পায় তখন তিনি নায়ক কে দেখে অনেকটা রাগান্বিত হন৷ তিনি তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন৷ তখন নায়ক নায়িকাকে নিয়ে তার বাসায় আসে৷ যখন নায়ক তার বাসায় গিয়েছিল তখন সেখানে নায়কের মা-বাবা কোন কথাই বলছিলেন না৷ অন্যদিকে নায়কের ভাই এবং ভাবী তাদেরকে অনেক ধরনের কথা বলেছিল৷ তাকে বাসায় থাকার জায়গা দিবে না বলে তাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল৷ তখন নায়ক তার সেই বন্ধুর বাসায় যায় এবং নায়িকাকে নিয়ে সেখানে থাকে৷ তখনই সেখানে ব্যাচেলর বাসায় যখন নায়িকা প্রবেশ করে তখন বাড়িওয়ালা আসে এবং সেখানে নায়িকাকে দেখে তিনি জিজ্ঞেস করতে থাকেন সেখানে সে কেন এসেছে৷ তখন নায়িকা বলে যে তার স্বামীসহ সে এখানে থাকে৷ তখন নায়কের কথা নায়িকা বলে৷ কারন নায়িকা ও বাড়িওয়ালা পূর্ব পরিচিত ছিল৷ যার ফলে নায়িকা তাকে সব কথা বলার পরে তিনি সব কিছু বুঝতে পারেন৷
বাড়িওয়ালা ছিল নায়িকার বাবার বন্ধু৷ যার ফলে তিনি নায়িকাকে অনেক আগে থেকে চিনতেন৷ নায়িকাকে চেনার ফলে তিনি সেখানে তিনি নায়িকার বাবাকে নিয়ে আসেন৷ সেখানে তাদের মধ্যে আবারো কথাবার্তা হয় এবং নায়িকার বাবা বলে যে তিনিও তার সৎ মায়ের কথা শুনে তার বিয়ে অন্য জায়গায় দিয়ে দিচ্ছিলেন৷ যা তার উপরে অনেকটাই জুলুম হয়ে যাচ্ছিল৷ বাড়িওয়ালা যখন নায়কের একদিনের ভালো কাজ দেখেছিলেন এবং তিনি যখন সেই কথাটি তার বন্ধুকে বললেন তখন তার বন্ধুও সেটি বিশ্বাস করে নিল৷ তার যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল তিনি সেটি বুঝতে পারলেন৷ কারণ তিনি মনে করেছিলেন যে নায়ক গুন্ডা ছিল এবং সে সন্ত্রাসী কাজকর্মের সাথে জড়িত৷ যার ফলে তিনি নায়ককে সহ্য করতে পারতেন না৷ তবে যখন তার বন্ধু এই কথাটি বলল তখন তিনি সবকিছু বুঝতে পারলেন৷ তিনি তাদেরকে মেনে নিলেন৷ এর পরবর্তীতে নায়ক চাকরি পায় এবং সেখানে যখন সে চাকরিতে জয়েন করে তখন সে তার বাবা মাকে তার কাছে নিয়ে আসে৷ তার বড় ভাই তার বাবা মাকে তার বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল টাকা চুরির অপরাধে৷ যার ফলে তারা অনেকটা অপমানিত হয়৷ তারা ছোট ছেলের কাছে চলে আসেন৷ তারা অনেক সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে থাকেন এবং নায়ক এবং নায়িকার বিয়ে দিয়ে দেন৷ এভাবেই তাদের সুন্দর সংসার চলতে থাকে এবং এভাবেই নাটকটি শেষ হয়৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুবই সুন্দর একটি নাটক এটি৷ এই নাটকের নামের মধ্যেই খুবই সুন্দর একটি বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ প্রথমে যখন নায়ক বেকার ছিল এবং সে কোন কিছু করতো না তখন তার ভাই এবং ভাবি তাকে অনেক অপমান অপদস্থ করত৷ তবে সে কোনভাবেই তার কোন চেষ্টার কমতি রাখেনি৷ সে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে এবং ভালো একটা রেজাল্ট করে৷ নায়িকাকে তার পছন্দ হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে নায়িকার সাথে তার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়৷ সেখানে নায়িকাকে যখন সে বাসায় নিয়ে আসে তখন তাকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়৷ তখন সে কি করবে কিছু বুঝতে পারছিল না৷ তখন সে তার বন্ধুর বাসায় থাকে৷ সেখান থেকে যখন সে চাকরি খুঁজে পায় এবং সে ভালো একটা পদে অবস্থান করে তখন সেখানে সে তার পিতা মাতাকেও নিয়ে আসে৷ সে তার পিতা-মাতাকে খুব ভালোভাবে রাখে৷ কারণ তার বড় ভাই টাকার লোভ এবং টাকার গরমের কারণে তার বাবা-মাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল৷ ফলে নায়কের বাবা-মা তার কাছেই থাকে৷ তার বড় ভাইয়ের কাছে আর কখনো যাবে না৷ যাওয়ার কোন আশাও তারা করে না৷ আসলে বাস্তব জীবনে আমরা এমন অনেক কিছুই দেখতে পাই৷ একটা সময় একটা ছেলে বেকার থাকার ফলে তাকে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়৷ অনেক অপমানের শিকার হতে হয়৷ তবে যখনই সে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তখন আবার সবকিছু ঠিক হয়ে যায়৷ এরকম একটি শিক্ষনীয় বিষয়কে নাটকের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৮/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
এই রকম সুন্দর সুন্দর নাটক রিভিউ যত পড়ি তত ভালো লাগে।আজ ভাইয়া আপনি কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। অনেক সুন্দরভাবে নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন ভাইয়া আপনি । তবে নাটকটি এখন পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি সময় করে অবশ্যই দেখবো নাটকটি।এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এরকম নাটকগুলি দেখতে সত্যিই খুবই ইন্টারেস্টিং হয়ে থাকে। ইচ্ছা এবং নিজের আত্মবিশ্বাস থাকলে খারাপ সময়ের মধ্যেও অবস্থান করে ভালো কিছু করা সম্ভব। কিছু কিছু সন্তান রয়েছে যারা মা-বাবাকে অবহেলা করে। আবার কিছু সন্তান মা-বাবাকে ভীষণ ভালোবাসি। সত্যিই আপনার নাটকের রিভিউ পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
🎉 Congratulations!
Your post has been manually upvoted by the SteemX Team! 🚀
SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem ecosystem.
🔗 Visit us: www.steemx.org
✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5
সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। নাটকটি কয়েকদিন আগে আমি দেখেছিলাম। নাটক দেখতে ভালই লাগে আমার কাছে। আজ আবার এই নাটকটির রিভিউ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখে ভালো লাগলো। এ ধরনের নাটক গুলো দেখতে আসলে একটু বেশিই ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।ইয়াশ রোহান ও তটীনির অভিনয় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আপনার শেয়ার করা নাটকটি আমি অনেক আগে দেখেছি।যাইহোক আজকেও আপনার নাটকের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।