"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৪ || আমার আর্ট করা প্রাকৃতিক দৃশ্য।
"আসসালামুআলাইকুম"
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
"আমার বাংলা ব্লগ"প্রতিযোগিতা-৪৪।শেয়ার করো তোমার সেরা প্রাকৃতিক দৃশ্য অংকন। |
---|
আমার এই প্রাকৃতিক দৃশ্য শেয়ার করার পূর্বে আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই আমাদের সকল এডমিন মডারেটরদের প্রতি। যারা এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। আমি আরো কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই আমাদের বড় দাদার প্রতি। যিনি সব সময় আমাদের পাশে থেকে সাপোর্ট করে যাচ্ছেন।
আসলে আমার বাংলা ব্লগ এর এবারের প্রতিযোগিতা প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে, তাই চিন্তা করলাম এবার মনে হয় এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা যাবে না। আর এটার একটাই কারণ, অনেক ব্যস্ততায় কাটছে সময়।নিজেকে টায়ার দুই-তিনে টিকিয়ে রাখতে কষ্ট হয়ে যায়,শুধু পোষ্ট গুলো ঠিক ঠাক করি।যাইহোক তবুও চিন্তা করলাম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার। আসলে আমার বাংলা ব্লগের প্রতিযোগিতা মানে জমজমাট ও চ্যালেঞ্জিং একটি পরিবেশ। আর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করতে পারলেও অনেক খারাপ লাগে।কোন স্থান অধিকার করতে পারি অথবা না পারি।
তাই চিন্তা করলাম ব্যস্ততার মাঝে হলেও অংশগ্রহণ করব।সেই হিসেবে মঙ্গলবার রাতে কিছু অংশ এঁকে রেখে দিলাম তারপর বুধবার বিকেল বেলায় এই প্রাকৃতিক দৃশ্যটি অঙ্কন করে শেষ করলাম।তবে এই দৃশ্যটি অঙ্কন করা আমার জন্য অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কারণ ব্যস্ততার কারণে গত ছয় মাসেও আমি রং তুলি ধরি নাই। হুট করে প্রতিযোগিতায় আর্ট করতে বসি, এজন্যই অনেকটা হিমশিম খেতে হয়েছে।তবে আমার ওয়াইফ সহযোগিতা না করলে হয়তো প্রতিযোগিতায় আংশগ্রহণ করতে পারতাম না।অনেক ক্ষেত্রে কোথায় কি দিতে হবে সেটা ও বলে দিয়েছিলো, আর আমিও চেষ্টা করেছি তার কথামতো ফুটিয়ে তুলতে।তবে কতটুকু ফুটে উঠেছে সেটা আপনারাই বলতে পারবেন।তাই তাকেও অনেক ধন্যবাদ।
যাই হোক আমার আর্টের মেইন কনসেপ্ট ছিল গোধূলি বিকেল সমুদ্রের মাঝখানে একটি দ্বীপ।আর সেই দ্বীপে একটি কুঁড়েঘর ও একটি বাঁকা নারিকেল গাছ।আর সমুদ্রের মধ্যে যাতায়াতের জন্য একটি নৌকা রয়েছে এবং চারপাশে পদ্মফুল। আর পাড় গুলোতে গাছপালা ও কাশফুল এবং একটি হাঁস পানিতে বিচরণ করবে। এরকম একটি পরিকল্পনা নিয়ে এই দৃশ্যটি অংকন করা চলুন শুরু করা যাক।
প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। |
---|
পোস্টার কালার
ড্রয়িং পেপার
মার্কার পেন
তুলি
স্কেল
ধাপ-১ |
---|
প্রথমে ড্রয়িং পেপারের চারদিকে মার্জিন করে নিলাম এবং দৃশ্য আঁকার জন্য গ্রাফ করে নিলাম। এরপর গোধূলি বিকেলের আকাশ তৈরি করার জন্য লাল, কমলা এবং হলুদ, এই তিনটি রং দিয়ে এগুলোকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ-২ |
---|
এরপর লাল কালার দিয়ে ধীরে ধীরে পাহাড়ের আকৃতি এঁকে নিলাম।এরপর হলুদ কালার দিয়ে পুরো পাহাড় গুলোকে সম্পূর্ণ করে নিলাম।
ধাপ-৩ |
---|
এরপর মেঘ আঁকার জন্য সাদা রং নিলাম এবং সাদা রং দিয়ে ছোট ছোট কিছু মেঘ পাহাড়ের উপরে এঁকে নিলাম।
ধাপ-৪ |
---|
এরপর সবুজ কালার দিয়ে পাড় এঁকে নিলাম এবং সেই পাড়ে অনেক গুলো ছোট ছোট গাছ একে নিলাম।আবার দুইটা নারিকেল গাছও এঁকে নিলাম।
ধাপ-৫ |
---|
এরপর নারিকেল গাছের পাতা এঁকে নিলাম এবং পাশাপাশি বাকি যে গাছ গুলো ছিল সেগুলোতেও পাতা এঁকে নিলাম।
ধাপ-৬ |
---|
এরপর দ্বীপের মাঝখানে একটি কুঁড়েঘর এঁকে নিলাম। কুঁড়েঘরের চারপাশে আবার সবুজ দ্বীপ এঁকে নিলাম।
ধাপ-৭ |
---|
এরপর কুঁড়েঘরের মধ্যে রং করে নিলাম।এরপর দরজা এঁকে দরজায় রং করে নিলাম।
ধাপ-৮ |
---|
এরপর কুঁড়েঘরের খুঁটি এঁকে নিলাম। এরপর কুঁড়েঘর থেকে নামার জন্য মই এঁকে নিলাম।
ধাপ-৯ |
---|
এরপর নীল কালার ও হালকা নীল কালার ভালোভাবে মিশিয়ে সমুদ্র এঁকে নিলাম।
ধাপ-১০ |
---|
এরপর দুই পাশে ছোট দুটি পাড় দিলাম। আর তাতে হলুদ কালার করে নিলাম। যাতে করে সেখানে গাছপালা বা ঘাস আঁকা যায়।
ধাপ-১১ |
---|
এরপর এক পাড়ে কিছু ফুল গাছের মতো করে একে নিলাম।আর অন্য পাড়ে কিছু ঘাস এঁকে নিলাম।
ধাপ-১২ |
---|
এরপর এক পাশে গোলাপি কালার দিয়ে সুন্দর কিছু ফুল এঁকে নিলাম।আর অপজিট পাশে সাদা কালার দিয়ে কিছু কাশফুল এঁকে নিলাম।
ধাপ-১৩ |
---|
এরপর কুঁড়েঘরের পেছনে বাঁকা করে বড় একটি নারিকেল গাছ একে নিলাম। এরপর দ্বীপের কিছু অংশে পাড় এঁকে নিলাম।
ধাপ-১৪ |
---|
এরপর সমুদ্রে বা দ্বীপের পাশে একটি নৌকা এঁকে নিলাম। আর সেই নৌকা দ্বীপে বাধা রয়েছে খুঁটিতে।
ধাপ-১৫ |
---|
এরপর সমুদ্র কিছু পদ্মফুল এঁকে নিলাম এবং সাদা রং দিয়ে পদ্মফুলে কিছুটা শেড এঁকে নিলাম।
ধাপ-১৬ |
---|
এরপর পদ্মফুল গুলোর পাতা এঁকে নিলাম। প্রথমে হালকা সবুজ দিয়ে এঁকে নিলাম, এরপর গাঢ় সবুজ দিয়ে পাতাগুলো পরিপূর্ণ করে নিলাম।
ফাইনাল আউটলুক |
---|
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনের সাথে নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি কারণ আমি বাংলা বলি তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
ফোনের ও কাজের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | আর্ট কন্টেস্ট। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
সম্পাদনা | রিসাইজ & সেচুরেশন |
https://x.com/Nevlu123/status/1704543616960708982?s=20
ভাই আপনার আর্টটি দেখতে পেয়ে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রকৃতি যেন অপরূপ সুন্দরভাবে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন। সত্যি এই দৃশ্যটি মন ছুয়ে গেছে। প্রকৃতির সৌন্দর্যময় দৃশ্যটি যেন আপনার এই আর্টের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকবেন। ্
চারপাশে এত পানির মধ্যবর্তী স্থানে যখন এই ঘরটি আপনি অঙ্কন করেছেন এর মধ্যে একটি আলাদা সৌন্দর্য যেন ফুটে উঠেছে৷ খুবই ভালোভাবে আপনি এই আর্টটি তৈরি করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটা আর্ট শেয়ার করার জন্য৷
অসংখ্য ধন্যবাদ তোমায়।।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমে আপনাকে জানাই আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি পোস্ট তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আসলে নদীর মাঝে ফুটে থাকা শাপলা ফুল গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। রাজহাঁস এবং নৌকা বাধা সব অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে স্টেপ বাই স্টেপ শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।।
এই চিত্রাংকনের দৃশ্যটি খুবই ইউনিক ছিল এবং দারুন হয়েছে চিত্রটি।তবে আমি যদি কিছু জায়গায় দেখিয়ে না দিতাম তাহলে গরমিল করে ফেলতে। যাইহোক সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছো ধন্যবাদ তোমাকে।
একদম ঠিক ধন্যবাদ তোমাকে।