গত পর্বে হলুদের কার্যক্রম শেষ করার পরে পরের দিন আমরা মেয়েদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম এবং বিয়ের জন্য বরপক্ষের সাজানো কার এসে পৌঁছে গিয়েছে এবং আমাদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।এ অবস্থায় একটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

সেই দিন শুক্রবার ছিল তাই আমি পাঞ্জাবি পড়েছিলাম এবং প্রাইভেট কার এর মধ্যে আমি জুয়েল ও তার ভাবি সহ প্রাইভেট কার ট উঠে পড়লাম মেয়েদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য।শত হলেও বেস্ট ফ্রেন্ড, তার সাথে তো যেতেই হবে। তাই জোর করে আমাকে প্রাইভেট কার এ বসিয়ে দিল। আমি ভেবেছিলাম হাইসে করে চলে যাব, কিন্তু সে এটা মানতে রাজি নয়। সে আমাকে জোর করে ডেকে প্রাইভেট কার এ বসিয়ে দিল, যাতে করে তার সাথে আমি যাই।

তখন ফোটা পোট বৃষ্টি পড়েছে এবং বৃষ্টির কারণে গ্লাসে অনেকগুলো ফোটা দেখা যাচ্ছিল এবং আমি ম্যাক্রো অপশন চালু করে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম সেই বৃষ্টির ফোটার।

অবশেষে আমরা রওনা হয়ে গেলাম মেয়েদের বাড়ির উদ্দেশ্যে এবং তাদের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছাই। তখন আমরা সবাই প্রাইভেট কার থেকে নেমে গেলাম শুধু জুয়েল গাড়িতে বসা ছিল। তখন বাইরে থেকে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

তারপর যখন জুয়েলকে গাড়ি থেকে নামানো হলো তখন হঠাৎ দেখতে পাই আমাদের স্কুল লাইফের একজন বন্ধু সেখানে উপস্থিত। আর সে নাকি সম্পর্কে জুয়েলের চাচা শ্বশুর হতে যাচ্ছে। সেটা শুনে তো আমরা অবাক, কারণ আমাদের ক্লাসমেট /বন্ধু সে আবার এখন চাচা শ্বশুর হয়ে গেল বিয়ের সম্পর্কের কারণে। যাই হোক অনেক মজা করলাম তখন এবং একটি সেলফি নিলাম।

মেয়েদের বাড়ির মধ্যে ঢোকার আগে গেট প্রবেশের যে ব্যাপারগুলো থাকে তার মধ্যে অন্যতম প্রধান একটি ব্যাপার হল একটা টেবিল নিয়ে মালা এবং মিষ্টি এবং শরবতের সমন্বয়ে রিসিভ করতে আসা ও কিছুক্ষণ মজা করা। তখন গেটে আমরা সেখানে যাব এর আগেই মেয়েরা এসে উপস্থিত আমাদেরকে রিসিভ করার জন্য এবং সেখানকার কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম।

গেটে তাদের সাথে মজা করে তাদেরকে কিছু আচার চকলেট এর জন্য ৫০০০টাকা দিয়ে আমরা ভিতরে ঢুকলাম, এবং সেখানে জুয়েল স্টেইজে বসে গিয়েছে এবং সে বিয়ের রেজিস্ট্রি খাতায় সাইন করছে, আর আমি স্টেজের নিচে থেকে তার ফটো উঠালাম।

অবশেষে মেয়ের বাবা আসলো এবং মেয়ের বাবার সামনে যেসব রীতি নীতি সেগুলা শেষ করে বিয়ে পড়ানোর কাজ শেষ করা হয়।

তারপর আমার কাজ থাকাতে আমি আসার সময় হাইছে করে চলে এসেছি। তবে তারা এসেছে আরেকটু পরে প্রাইভেট কার এ করে।যে ফটোটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা হচ্ছে ফুলশয্যার রাতের সজ্জিত ফুলের আসর। যখন সজ্জিত করছিলো রুমটি তখন কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম আর আমি সেখান থেকে চলে আসলাম।

তো বন্ধুরা এখানেই ছিল বন্ধুর বিয়ের শেষ পর্ব এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। যদিও আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা জানতে পারবো আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে।ধন্যবাদ সবাইকে ধৈর্য ধরে আমার এই ব্লগটি পড়ার জন্য।সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু , আশা করি সামনে আরও ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।