লাইফ স্টাইল :-ব্যস্ততার মাঝেও মামাশ্বশুরের বিয়েতে কিছুটা সময়।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে।

ব্যস্ততার মাঝেও মামাশ্বশুরের বিয়েতে কিছুটা সময়।

20231215_150556.jpg

বর্তমানে সবারই ব্যস্ততম দিন যাচ্ছে। শুধু যে আমি ব্যস্ত তা কিন্তু নয়,প্রত্যেকেই যার যার প্রেক্ষাপট থেকে অনেক ব্যস্ত। তারপরেও সংগ্রামী জীবন তো আর থেমে নেই। যার যার মত করে সেই সংগ্রাম করেই যাচ্ছে।ওই রকমই একটি ব্যস্ততম দিনের মাঝে মামা শশুরের বিয়ের অনুষ্ঠান করা। মূলত সেখানে এটেন্ড করার আমার কোন ইচ্ছে ছিল না।
20231215_143914.jpg
প্রথমত নানী শাশুড়ি ফোন দিয়ে দাওয়াত দিল যাওয়ার জন্য। বলেছিলাম আমার কাজ আছে তবে আমি আসতে পারলে দেখা হবে। তারপর তারা অনেক বেশি চাপ দিচ্ছিল যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি দ্বিমত পোষণ করলাম। এরপর আমার মামাশ্বশুর কল দিল।সে একই কথা সেখানে থাকতে হবে। তাকে বললাম মামা আমি শিওর না তবে চেষ্টা করব।
20231215_143654.jpg
পরবর্তীতে আমার ওয়াইফ কে বললাম তোমরা যাও আমি যাবনা। সেও অনেক করে বলতেছে নানু মামা সবাই বলতেছে যাওয়ার জন্য না গেলে খারাপ দেখায়। যাই হোক তার কথা মতো রাজি হলাম। আর চিন্তা করলাম আমার কাজ সেরে সেখানে অ্যাটেন্ড করব। তবে তার আগেই বলে রাখলাম ঠিক আছে আমি যাব, তবে তুমি আর আমি কাপল ড্রেস যেটা সেটা পরে যাব। তখন আমি আমার কাজে চলে গেলাম এবং সময়মতো সেখানে অ্যাটেন্ড করলাম।

20231215_143647.jpg
20231215_143657.jpg

আমার ওয়াইফ তার ফ্যামিলিসহ একসাথে এসেছিল। আর মূলত অনুষ্ঠানটি হয়েছিল ফুড ক্লাব নামে একটি রেস্টুরেন্টে। যদিও এ রেস্টুরেন্টে তেমন একটা আসা হত না। কারণ আমার এক ইন্টারনাল শত্রুর প্রতিষ্ঠান এই ফুড ক্লাব। তবে এখন আসার একটি মাত্রই কারণ সেটা হচ্ছে, আমার শত্রুটা এখান থেকে তার শেয়ার উইথড্র করে নিয়েছে। তার মানে তার কর্তৃত্ব এখানে আর নেই। তাই সেখানে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করলাম।

20231215_143929.jpg
জায়গাটা খুবই চমৎকার এবং বিকেলবেলা হলে পাখির শব্দে খুব ভালো লাগে।সেখানে বিভিন্ন রকমের চাইনিজ আইটেম এবং চিকেন এর বিভিন্ন খাবার সহ, সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়। যাইহোক যেহেতু বিয়ের এরেঞ্জমেন্ট করা হচ্ছে তখন মেনু একটু ব্যতিক্রমই ছিল। যাক বরাবরই সেখানে গিয়ে আমরা কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। এরপরে খাওয়া দাওয়া করলাম। এদিকে আমি যখন খেয়েছিলাম তখন বাবুকে রেখেছিল তারা মা।পরবর্তীতে তারা আম্মু খেতে গেলে আমি তাকে রাখি।
20231215_145246.jpg
এভাবে করতে করতে সময়টা পার হয়ে গেল। তবে এ সময়ের মাঝেও আমরা সেলফি নিতে বা কিছু ফটোশুট করতে ভুলিনি।যাক এরই মাঝে মামা শশুর ভিতরে প্রবেশের সময় এসে গেল। তখন গেটে গিয়ে দেখি শুরু হয়ে গেল মামাশ্বশুরের শালিকাদের হাঙ্গামা।যাইহোক আমাকে ডাকল সেখানে হ্যান্ডেল করার জন্য। আমিও গেলাম মামা মামাশ্বশুরের পক্ষপাতিত্ব করতে। আর সেখানে গিয়ে মোটামুটি পরমালেটি শেষ করে মামাকে সিস্টেম করেই ভিতরে নিয়ে আসলাম।

20231215_153655.jpg

সেখানে বাকি কি হয়েছে মজার ঘটনা সেটা আজকে নাই বললাম। অবশেষে মামা শশুরকে একটা জায়গাতে রেখে আমরা আরো কিছু ফটো শুট করে নিলাম। সর্বপরি নিজেদের ব্যস্ততা থাকার কারণে বেশিক্ষণ সময় দিতে পারেনি। পরবর্তীতে আবার একটি সিএনজি করে আমরা আমাদের গন্তব্যে ফিরে এলাম। এই ছিল মোটামুটি ব্যস্ত সময়ের মাঝেও মামাশ্বশুরের বিয়ের অনুষ্ঠানে এটেন্ড করা ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণলাইফ স্টাইল
ক্যামেরা.মডেলএম ৩২
ক্যাপচার@nevlu123
সম্পাদনারিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থানবাংলাদেশ

images (2).png

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

images (2).png

IMG-20231214-WA0050.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
images (2).png

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

gifeditor_20181225_230443.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 6 months ago 

ফুড ক্লাবে আমি আরও একবার গিয়েছিলাম,প্রায় ২বছর আগে। মানে আমাদের বিয়ের পরপরই। যাইহোক সেদিন তো আমাদের পরিবারের সবাই ছিল,আর সাথে মামনিদের পরিবারের লোকজনও ছিল।সেই হিসেবে খুব আনন্দ করেছি।

 6 months ago 

২বছর আগে আমার এক ইন্টারনাল শত্রুর প্রতিষ্ঠান ছিলো তাই যাওয়া হয় নাই।

 6 months ago 

সবাই এখন ব্যস্ততাময় দিন পার করছে। তবুও শত ব্যস্ততার মাঝ থেকেই সময় বের করে নিতে হয়। বেশ মজা পেলাম আপনার ইন্টারন্যাশনাল শত্রুর কথা শুনে। যাক ভালই হল সে ফুড ক্লাবে আর নেই। আপুকে আর বাবুকে না হয় অনুষ্ঠানে রেখে যেতেন। তারা আরো কিছুটা সময় অতিক্রম করতো।

 6 months ago 

ঠিক আপু শত ব্যস্ততার মাঝ থেকেই সময় বের করে নিতে হয়।

 6 months ago 

আসলেই আপনি যথার্থ বলেছেন ভাইয়া আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবাই কোন না কোন ভাবে ব্যস্ততার সময় পার করছি। কিন্তু এ ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের সময় বের করে আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় যেতে হয়। ঠিক তারই একটি সুন্দর উদাহরণ আপনি আজকের পোস্টে তুলে ধরেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি আপনি খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত সেখানে পার করেছেন আশা করছি আপনার পরবর্তী পর্বে বিয়ের বাকি কার্যপ্রণালী সম্বন্ধে জানতে পারবো।

 6 months ago 

জি ভাই আসলেই খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত সেখানে পার করেছি।

 6 months ago 

আসলে শত ব্যস্ততা থাকলেও নিজের কাছের মানুষদের কোন অনুষ্ঠান হলে সেখানে যেতেই হয় ।তাদেরকে না বলার উপায় নেই। তবে যেয়ে বেশ ভালই করেছেন বেশ উপভোগ করতে পারলেন বিয়ের অনুষ্ঠানটি। আর আপনার ইন্টারন্যাশনাল শত্রুর কথাটি শুনে সত্যিই ভীষণ মজা পেয়েছি ।ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

সুন্দর মন্তব্য ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

 6 months ago 

ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে বিয়ের অনুষ্ঠানে অ্যাটেন্ড করেছিলেন ভাইয়া।আসলে যতই ব্যস্ততা থাক কাছের মানুষদের বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোতে যেতেই হয়।ইন্টারন্যাশনাল শত্রুর কথা শুনে বেশ হাসি পেল।ভালো লাগলো পোস্টটি অনেক।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

আসলেই আপু যতই ব্যস্ততা থাক কাছের মানুষদের অনুষ্ঠান গুলোতে যেতেই হয়।

 6 months ago 

আসলে সব জামাইয়েরা এমন ভাব দেখায় শ্বশুর বাড়ির দাওয়াতে। তাই প্রথমে যাবো না যাবো না বলে 😄মজা করলাম মনে কিছু করিয়েন না আবার।আসলে একবার কারো কাছে নির্মম ভাবে ঠকলে সারাজিবন সে ব্যাক্তিটি শত্রুর খাতায় উঠে যায়।তবে খুব সুন্দর আনন্দ উপভোগ করেছেন আপনারা।কাপল ড্রেসে দারুন লাগছে দুজনকেই।ছোট বাচ্চা থাকলে এমনি হয় এক সাথে আনন্দ করে খাওয়া হয় না।পরবর্তীতে মজার ঘটনাটি শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তুু।

 6 months ago (edited)

হাহাহা তাই বুঝি?ভাইয়াও এমন নাকি?🤣🤣 তবে তেমন কিছু না এমনিতেই একটু লজ্জা লাগছিলো তাই যেতে ইচ্ছে করেনাই।

 6 months ago 

আসলে শত ব্যস্ততার মাঝেও কাছের মানুষদের অনুষ্ঠানে এটেন্ড করতেই হয়। যাইহোক সবার অনুরোধে শেষ পর্যন্ত বিয়েতে এটেন্ড করেছেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। তবে আপনার ইন্টারনাল শত্রুর যদি শেয়ার থাকতো সেই রেস্টুরেন্টে,তাহলে আপনাকে শত অনুরোধ করলেও যেতেন না মনে হয়। যাইহোক মামাশ্বশুরের বিয়েতে এটেন্ড করে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

জি ভাই ইন্টারনাল শত্রুর যদি শেয়ার থাকতো, সেই রেস্টুরেন্টে শত অনুরোধ করলেও যেতাম না।

 6 months ago 

বাহ! বেশ সুন্দর সময় কাটালেন দেখে মনে হচ্ছে। যেহেতু মামাশ্বশুরের বিয়ে বলে কথা। আসলে শত ব্যস্ততা থাকলেও কিছু কিছু সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলা যায় না। যেগুলোতে ব্যস্ততা ফেলে রেখেও যেতে হয়। বেশ ভালোই করলেন অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর ছিল এবং বর্ণনা খুব ভালো লাগলো পড়ে।

 6 months ago 

ঠিক আপু শত ব্যস্ততা থাকলেও কিছু কিছু সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলা যায় না।

Coin Marketplace

STEEM 0.23
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 66548.53
ETH 3594.05
USDT 1.00
SBD 2.91