আমার বাংলা ব্লগের প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোস্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
মানুষের জীবনের সব থেকে বড় শুক্র কে, জানো?"টেনশন"এই টেনশন আসলে কি,কোথা থেকে আসে?কিভাবে এই টেনশনকে কম করা যায়, প্রচুর মানুষের প্রশ্ন এটা।
আজকে আমি এই বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলবো, কি করে টেনশন কমানো যায়,আসলে কি টেনশন কম করা যায়?
একটু যদি গভীরে যাই তাহলে প্রথমে মাথায় যেটা আসে সেটা হলো, টেনশনটা আসে কোথা থেকে?
টেনশনটা আসলে আসে আমাদের ভাবনা চিন্তা থেকে,আমাদের ভাবনা চিন্তা টা যখন অতিরিক্ত ল্যাভেলের হয় যাকে বলি, ওভার থিংকিং এই ওভার থিংকিং এ যখন আমরা চলে যাই তখন আমাদের টেনশনের জন্ম হয়।মানে হচ্ছে এমন কিছু ভাবা যেটা হয় তো ঘটে নি,বা ঘটছে না।
উদাহরণ স্বরূপঃ
কোনো একটা জিনিস নিয়ে তুৃমি ভাবছো এটা হচ্ছে তোমার প্রথম ভাবনা,সেটা একটু বেড়ে গেলো সেটা ২য় ভাবনা,আরো একটু বাড়লো সেটা ৩য় ভাবনা।
এই ভাবে ভাবনারা অনেক গুলো হয়ে গেলো,একটা জিনিস নিয়ে অনেক গুলো ভাবনা,এই রকম ভাবে ভাবনার পাহাড় তৈরি করে মনের মধ্যে।
এই ভাবনার পাহাড় ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে টেনশনের জন্ম দেয়।একটা বিষয় নিয়ে আমরা ওভার থিংকিং করেই যাচ্ছি, এতে করে মাথার উপর প্রচুর চাপ পড়ছে।
মনে হচ্ছে কত কিছু হয়ে যাচ্ছে বা যাবে,কিন্তু কিছুই হচ্ছে না।শুধু শুধু ভাবনার পাহাড়টা তৈরি হচ্ছে।এই ভাবে আমরা টেনশনে ফেসে যাই,আমরা বুঝতে পারি না আমরা কি করবো, কিভাবে বের হবো এই টেনশন থেকে?
কখনো কখনো কারো সাথে শেয়ার করি,কখনো তো করিই না,নিজের মনের সাথে নিজেই যুদ্ধ করি প্রতিনিয়ত। নিজেকে গুটিয়ে রাখি,তার পরে সে টেনশনটা আমাদের শরিরের উপর প্রভাব ফেলে।এই টেনশনের কারনের মানুষের হৃৎপিন্ডে হঠাৎ আক্রমণ হয়,কখনো কখনো মাথার চুল পড়ে যায়।
তার মানে আমরা বুঝতে পারছি যে, এই যে আমাদের টেনশনটা হচ্ছে এটার উপর আমাদের নিজেদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম তাহলে আমাদের চিন্তার কোনো কারণ ই ছিলো না।
কারণ আমরা বিষয়টাকে আমাদের মত করে সাজিয়ে নিতে পারতাম,যেহেতু বিষয়টা আমাদের অন্য করোর উপর নির্ভরশীল তাই আমাদের টেনশন হয়।
পরিক্ষা দিয়ে দিয়েছো,তোমার কাজ এই টুকু আর তোমার হাতে কিছু নেই।এই বার তুমি পাশ করবে না কি ফেইল করবে সেটা যে খাতা দেখবে তার কাজ,তুমি কেনো টেনশন করছো?
ইন্টারভিউ দিয়েছো চাকরি ভাগ্যে থাকলে হবে,সেটা নিয়ে ও টেনশন?আরে এতো টেনশন কেনো করছো,কেউকি চাকরি না পেলে তোমাকে মেরে পেলবে?
হয় তো পরিবারে একটু প্রবলেম চলছে, মরে তো যাচ্ছো না,তুমি বেচে তো আছো।পরিক্ষায় ফেল করলে কি হয়েছে? আবার দেবে,টেনশনে তো পাস করাবে না,এমন ভাবে পড়ো যাতে ফেল করতে না হয়, টেনশন না করতে হয়।
সবটা হচ্ছে তোমার ভাবনার উপরে,তুমি যেমনটা ভাববে তেমনটাই হবে,তুমি পজেটিভ ভাবলে ভালো কিছু হবে,নেগেটিভ ভাবলে খারাপ কিছু হবে।
সব সময় ভাবনাটা ঠিক রাখবে,যদি তোমার সাথে খারাপ কিছু হয়ে ও যায়,বুক ফুলিয়ে বলবে ব্যাস যা হওয়ার হয়ে গেছে,পরের বারে সবটা ঠিক হবে।
টেনশন করলে তো আর সবটা ঠিক হবে না।যারা ভাবে আমার সাথে এটা খারাপ হয়ে গেলো এখন আমি কি করবো,তারা জীবনে ও কিছু করতে পারে না।
তারা সব সময় ডাউন হয়ে থাকে।কিছু খারাপ হয়ে যাওয়ার পরে সব সময় চেষ্টা করবে কি করে সেটাকে রিকোভারি করা যায়,পজেটিভ কোনো সমাধান বের করা যায় কি না।
যদি না যায়,তাহলে জীবনের এই অধ্যায়টা বাদ দিয়ে নতুন কিছু করো।তবু টেনশন করো না।
তো বন্ধুরা আমি চেষ্টা করেছি কিছু মোটিভেশনাল কথাবার্তা যেগুলা দিয়ে নিজের টেনশন দূর করা যায়। এরকম কিছু কথাবার্তা এখানে উপস্থাপন করেছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনের সাথে নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নেভলু। আমার Steemit আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশে আমার সময় কাটাই। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ nevlu123 এবং একই নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি কারণ আমি বাংলা বলি তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি.
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
ধরণ | মোটিবেশন |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩১ |
ক্যাপচার | @নিভলু১২৩ |
সম্পাদনা | শুধু সেসুরেশন |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।