^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

প্রথমে নাটকের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় নায়িকা বিদেশ থেকে বাড়িতে ফিরছে একটি ভেংগাড়ি করে৷ সেখানে সে বিদেশ থেকে অনেক কিছুই এনেছে এবং সে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা যায় ৷ যখন সে বাড়িতে প্রবেশ করে তখন সে তার স্বামীর পাশে তার চাচাতো বোনকে দেখতে পায়। তখন সে খুবই রাগান্বিত হয়ে যায়।

তখন সে জিজ্ঞাসা করে তার স্বামীর সাথে তার চাচাতো বোন কি করছে৷ তখন তার স্বামী অস্বীকার করে যে তার চাচাতো বোন তার সাথে এসে বসে পড়েছে৷ তখন নায়িকার মাও সেখানে চলে আসে৷ নায়িকার মা তখন তাকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে৷ তখন নায়িকা এবং নায়িকার মা তাদের দুজনকে অনেক বকাবকি করতে থাকে৷

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

এবার নায়িকা এবং নায়িকার মা পরদিন রাতেই নায়ককে সেখানে জিজ্ঞাসা করে নায়িকা এত বছর ধরে যে সকল টাকা গুলো তাকে পাঠিয়েছে সে টাকাগুলো সে কি করেছে৷ তখন নায়ক ঠিকমতো সকল টাকা হিসাব দিতে পারেনা৷ তখন বলে নায়িকার মায়ের পিঠে খরচ করতেই সবগুলো টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে৷ তখন তারা দুজনেই হতবাক হয়ে যায়৷

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

পরদিন নায়কের সাথে নায়িকা হাটতে বের হয়৷ তখন সেখানে নায়িকার চাচাতো বোনের সাথে আবার তার দেখা হয়ে যায়৷ সেখানে নায়িকার চাচতো বোন এর হাতে যে মোবাইলটি সে দেখতে পায়, দেখার সাথে সাথে চিনে ফেলে। কারণ এই মোবাইল নায়িকা তার মায়ের জন্য পাঠিয়েছিল৷ যখন নায়িকা মোবাইলটি তার চাচাতো বোনের হাতে দেখতে পায় তখন নায়িকা জোর করে তার চাচাতো বোনের হাত থেকে মোবাইলটি নিয়ে চলে যায়৷

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

পরদিন নায়িকার বাড়িতে নায়কের বাবা আসে তাদেরকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য৷ তখন নায়কের অনেক জোরাজুরি করতে থাকে তাদের বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত খেয়ে আসার জন্য৷ তখন নায়িকা এবং নায়িকার মা প্রথমে রাজি না হলেও পরে নায়কের বাড়িতে বেড়াতে যায়৷ যখন তারা নায়কের বাড়িতে বেড়াতে যায় তখন দেখতে পায় যে নায়কের বাবা মার বাড়ি অনেকটাই বড় আকারের পাকা দালান এবং অনেক সুন্দরভাবেই করা হয়েছে । এর আগে তাদের বাড়ি কিছুই ছিল না৷ যখন নায়িকা তাকে জিজ্ঞেস করে তারা এই বাড়ি কিভাবে দিয়েছে তখন নায়ক বলে নায়িকার পাঠানো টাকা দিয়ে তারা এই ঘরটি দিয়েছে৷

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

এবার নায়িকা এবং নায়িকার মা একদিন বাজারে গিয়েছিল৷ তখন নায়কের প্রেমিকা তাদের বাড়িতে আসে৷ তখন সেই নায়ককে বলে তাকে বিয়ে করার জন্য৷ তবে নায়ক তাকে বিয়ে করতে রাজি ছিল না৷ যখন নায়কের বউ এবং নায়কের মা সেখানে চলে আসে৷ তখন ওই মেয়ের সাথে নায়ককে তারা দেখতে পায়। তখন নায়িকা ও নায়িকার মা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে কেন এই মেয়ে এখানে এসেছে৷ তখন ওই মেয়ে সব কথা তাদেরকে বলে দেয়৷ তখন সেই মেয়ে নায়ককে অনেক মারতে থাকে এবং সে সেখান থেকে চলে যায়৷

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

এবার নায়ককে শিক্ষা দেওয়ার জন্য নায়িকাও প্রেম করতে থাকে তার খালাতো ভাইয়ের সাথে৷ হাঁটাচলা করত, কথাবার্তা বলত আর সে সবকিছু নায়ক দেখে অনেক কষ্ট পেতো৷ আর সব সময় নায়িকা নায়কের কষ্ট দেওয়ার জন্যই এরকম করতে থাকে৷ তখন নায়ক অনেকটাই অনুতপ্ত হয়৷

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

এবার শেষ দিকে নায়িকা বলে নায়কের পাসপোর্ট এবং কাগজপত্র তৈরি করার জন্য৷ নায়ককে সে বিদেশে পাঠিয়ে দিবে এবং নায়ক এবং নায়িকার মা বাড়িতে বসে বসে খাবে৷ তখন নায়ক বলে সে যাবে না৷ তারপর নায়িকা বলতে থাকে তাহলে আমি চলে যাব৷ আর কোনদিনও এই দেশে আসবো না৷ তখন নায়ক তার ভুল বুঝতে পারে৷

নায়িকা বলে নায়ক যখন অন্য মেয়েদের সাথে প্রেম করছিল নায়িকার অনেক কষ্ট হচ্ছে৷ তাই নায়িকা তাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য এরকম করেছিল৷ তখন তারা দেশে চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং দুজনেই একসাথে মিলে যায়৷ আর এভাবে এই নাটকটি শেষ হয়ে যায়৷

আমার ব্যক্তিগত মতামত।

এই নাটকটি একদমই অসাধারণ হয়েছে৷ এরকম সুন্দর একটি নাটক দেখতে পেরে আমি অনেক খুশি হয়েছি৷ বাংলাদেশের পরিচালকরা খুবই সুন্দর নাটক শেয়ার করে আসছে৷ আজকের এই অসাধারণ নাটকের মধ্যেও বাস্তবিক অনেকগুলো বিষয় তুলে ধরা হয়েছে৷ যখন নায়িকা নায়ককে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তার খালাতো ভাইয়ের সাথে প্রেম করতে থাকে তখন নায়ক অনেক কষ্ট পায় এবং সেই কষ্ট থেকে সে অনেক অনুতপ্ত হয়ে যায়৷ অনুতপ্ত হওয়ার পর নায়িকা নায়ককে বলে ভালো হয়ে যাওয়ার জন্য৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে নায়ক ভালো হয়ে যায় এবং দুজনেই দেশে যদি থাকার সিদ্ধান্ত নেয়৷ এই নাটকের মধ্যে যে সকল বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে আজকালকার সমাজে এই বিষয়গুলো অহরহ দেখা যাচ্ছে।

৯/১০