তথ্যপ্রযুক্তির অত্যাধিক ব্যবহার ও অপব্যবহার মানুষের জন্য কুফল বয়ে আনবে।
আসসালামুআলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
পোষ্টের ভেরিয়েশন ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
তথ্যপ্রযুক্তির অত্যাধিক ব্যবহার ও অপব্যবহার মানুষের জন্য কুফল বয়ে আনবে। |
---|
দিন দিন মানুষ তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভর হচ্ছে।তবে তথ্য প্রযুক্তিও যেন মানুষের পিছু ছাড়ছে না। একের পর এক নিত্য নতুন তথ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন ঘটছে। এতে করে সুবিধা-অসুবিধা এবং সুফল-কুফল দুটোই বয়ে আনছে। তথ্য প্রযুক্তি যেমন মানুষের জন্য অনেক বেশি সুফল বয়ে আনে, তেমনি তার অত্যাধিক ব্যবহার ও অপব্যবহার মানুষের জন্য কুফল বয়ে আনবে।
উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় মোবাইলের কথা। একটা সময় মোবাইল কি জিনিস এটা চিন্তাও করা যেত না। কিন্তু এখন মোবাইল চেনে না এমন কেউ নেই। আবার মোবাইল কারো হাতে নেই, এই রকম খুব কম সংখ্যক লোক রয়েছে। মোবাইল যেমন অত্যাধিক প্রয়োজনীয় কিন্তু এটার অপব্যবহার বা অধিক ব্যবহার তেমনি অত্যাধিক বর্জনীয় বা ক্ষতিকর।
বিশেষ করে মোবাইলের যে রেডিয়েশন, সেটি আসলে মানুষের অনেক বেশি ক্ষতি করে। এদিক থেকে মোবাইল কোম্পানিরা ২জি থেকে শুরু করে ৪জি ৫জি পর্যন্ত চলে এসেছে। এতে করে মানব সভ্যতার উপরে মোবাইলের রেডিয়েশন অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে।
মোবাইলের রেডিয়েশন বা নেটওয়ার্কের প্রভাব শুধু যে মানুষের উপরে প্রভাব ফেলেছে তা কিন্তু নয়, বরং পশুপাখি গাছপালার উপরেও এ প্রভাবটি পড়ছে। যার কারণে পশু পাখি কমে যাচ্ছে, গাছপালা বিনষ্ট হচ্ছে এবং ফসল কম হচ্ছে। আর এই সব কিছুই মানব সভ্যতার উপরে এক সংকটময় প্রভাব ফেলবে।
বর্তমানে আমরা দেখতে পাই ছোট ছোট বাচ্চাদেরকেও মোবাইল দিয়ে খাওয়াতে হয়। বাচ্চাদেরকে গেমস খেলতে দিতে হয়, না হলে সে খাবেনা। অথবা তাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য মোবাইল দিয়ে ঘুম পাড়াতে হয়। এটি আসলে নিতান্তই অপব্যবহার ছাড়া কিছুই নয়। এতে করে সুফল তো কখনোই আসবে না,বরং তার সন্তানের কুফলই বয়ে আনবে।
আমি আপনাদের মাঝে এই বিষয়গুলো তুলে ধরছি। এমনও হতে পারে আমার বাচ্চাকেও সে মোবাইল দিয়ে খাওয়াতে হবে,সেই মোবাইল দিয়েই ঘুম পাড়াতে হবে,তবে এখনো পর্যন্ত ন্যাচারেলি খাচ্ছে।কি আর করার বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি মানুষের সাথে, আর মানুষ তথ্য প্রযুক্তির সাথে,ওতঃপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে। কেউ কেউ কম্পিউটার ইউজ করে কিন্তু কম্পিউটার অধিক ইউজ করলে তার চোখে এবং মস্তিষ্কের সমস্যা হতে পারে।
এরকম অন্যান্য অনেক ধরনের টেকনোলজি রয়েছে, যেটি সুবিধা অসুবিধা দুটোই বহন করে। তবে এটি সতর্কতার সহিত ইউজ করা দরকার। যেমন মোবাইলের ক্ষেত্রে ফোনে কথা বলতে গেলে তখন হেডফোন দিয়ে কথা বলাটা সর্বোত্তম। কথা বলা শেষ হলে মোবাইলটি নির্দিষ্ট একটি স্থানে রেখে দেওয়া যাতে করে ফোনের রেডিয়েশন অন্তত নিজেকে এবং নিজের ব্রেইনকে সংস্পর্শ না করতে পারে। সেজন্য দুই থেকে তিন ফিট দূরে রাখতে হবে।
আসলে সতর্কতা অবলম্বন করে যদি আমরা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করি, তাহলে সুফল বয়ে আনবে।তবে অসুবিধাও রয়েছে সেটি একান্তই নিজেদের অপব্যবহারের ফল।তাই অত্যাধিক ও অপব্যবহার না করে যথাযথ ব্যবহার করলে, তাহলে অন্তত কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যাবে এই টেকনোলজির কুফল থেকে।
তো বন্ধুরা আসলে আজকে আপনাদের মাঝে ব্লগটা শেয়ার করার মেইন উদ্দেশ্য হচ্ছে, একটি বাচ্চাকে দেখছি খাওয়ানোর জন্য মোবাইল দিয়ে জোর করছে। তখন সেটি দেখে মাথায় আসলো আজকের এই ব্লগটি। ভাবলাম অপনাদের মাঝে শেয়ার করি। তো বন্ধুরা কেমন লেগেছে সেটা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
ফোনের বিশদ বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
পোষ্ট | রাইটিং |
মডেল | M32 |
ফটোগ্রাফার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | শুধু সেচুরেশন |
অবস্থান | বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
https://twitter.com/Nevlu123/status/1620725320956661760?s=20&t=035OH2JuMHrqv1dfCXID3w
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সুফল এবং কুফল দুইটাই বয়ে আনছে। আসলে এখন সিস্টেমটা যেন এরকম হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মোবাইল চেনে না কিংবা কারো হাতে মোবাইল নেই এটা তো দেখাই যায় না। যদিও মোবাইল আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু তার সাথে সাথে অপকারমূলক কাজেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর বাচ্চাদের কথা কি বলবো আমরা এরকম বয়সে থাকতে কখনো মোবাইল দেখিওনি। আর এখন ওদেরকে মোবাইল না দিলেই ওদের খাওয়া ঘুম কিছুই হয় না। আসলে আমাদের এখন অনেকটা সতর্ক হয়ে চলা উচিত।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন সর্বদায় এই কামনা করি।।
বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির যুগ বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া এক মুহুর্ত চলা সম্ভব নয়। তবে এর কিছু অপব্যবহার রয়েছে। এই অপব্যবহার এড়িয়ে চললে আমাদের সকলের জন্য খুবই মঙ্গল হবে। বিশেষ করে ছোট ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে মোবাইলের প্রতি খুবই আসক্ত হয়ে পড়েছে এটা আমাদের জন্য অমঙ্গলের কারণ।
ঠিক বলেছেন এই অপব্যবহার এড়িয়ে চললে আমাদের সকলের জন্য খুবই মঙ্গল হবে।
ভাইয়া আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সময় উপযোগী এরটি পোস্ট করেছেন আজ।পড়ে অনেক ভালো লাগলোএই তথ্য প্রযুক্তি যেমন উপকার করে আমাদের ব্যাবহারে তেমনি অপব্যবহারে অনেক ক্ষতি করে ফেলে ।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য, ভালো থাকবেন সর্বদায় এই কামনা করি।।
ভাইয়া সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজকে ব্লগটা সাজিয়েছেন। ব্লগটা পড়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। মোবাইলের রেডিয়েশন আমাদের জীবনে খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে। হেড ফোন দিয়ে কথা বললে মোবাইলের রেডিয়েশনে আমাদের ক্ষতিটা শূণ্যের কোটায় চলে যাবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি ভাই একদম ঠিক হেড ফোন দিয়ে কথা বললে মোবাইলের রেডিয়েশনে আমাদের ক্ষতিটা শূণ্যের কোটায় চলে যাবে।