ওমান থাকা কালীন মরুভূমিতে হাঁটতে গিয়ে কিছু গর্তের সন্ধান।
আসসালামুআলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
পোষ্টের ভেরিয়েশন ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
ওমান থাকা কালীন মরুভূমিতে হাঁটতে গিয়ে কিছু গর্তের সন্ধান। |
---|
![]() | ![]() |
---|
Location
#Device:S-G,M32
বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটি ঘটনা নিয়ে এসেছি এবং এই ঘটনাটি অনেকদিন আগের।আর সেটি হলো আমি যখন ওমান ছিলাম তখনকার ঘটনা।আমি যে কোম্পানিতে কাজ করতাম সে কোম্পানির পাশেই একটা মরুভূমি ছিল।একদিন বিকেলবেলা চিন্তা করলাম একটু হেঁটে আসি। তখন আমি এবং কোম্পানির আরো দুটি লোকসহ বের হলাম একটু ঘোরার জন্য।
তখন আমরা ঘুরতে ঘুরতে আমাদের কোম্পানির বাউন্ডারি ক্রস করে, চলে গেলাম মরুভূমির দিকে। চারদিকে অনেক বড় মরুভূমি থাকার কারণে মরীচিকার মতো দেখাচ্ছে। তবে মাঝে মাঝে কিছু জায়গাতে অনেক দূরে পাহাড় দেখা যাচ্ছে। তারপর কিছু দূর গিয়ে দেখতে পাই, মরুভূমিতে অনেক বড় বড় কিছু পাথরের সাজানো গর্ত রয়েছে।
![]() | ![]() |
---|
Location
#Device:S-G,M32
প্রথম যে গর্তটি দেখতে পাই ওই গর্তটি পাথরের অনেক বড় একটি স্তুপ এর মধ্যে রয়েছে। আমরা অনেক কষ্টে সেই পাথরের স্তুপ এর উপরে উঠে গেলাম। উঠার পরে দেখতে পাই মাঝখানে গোল আকৃতির অনেক বিশাল গর্ত। তখন সেই গর্তের দিকে আমরা এগিয়ে যাই, আর সেখানে দেখতে পাই অনেক গভীর গর্ত এবং পুরো গর্ত অন্ধকার দেখাচ্ছে।
Location
#Device:S-G,M32
নিচের দিকে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তখন এটার গভীরতা কতটুকু অনুমান করার জন্য, ছোট একটি পাথর ছুঁড়ে দিলাম ওই গর্তের মধ্যে।আমার মনে হলো প্রায় ১০ সেকেন্ড পরে গর্তের মধ্য থেকে এই পাথরটির আওয়াজ শোনা গেল। তার মানে বুঝতেই পারছেন ১০ সেকেন্ড মানে অনেক সময়ের বিষয়।
![]() | ![]() |
---|
Location
#Device:S-G,M32
এত বড় গর্ত কিসের, বা কে করেছে এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।এরপর সেই গর্ত দেখার পর সেখান থেকে নেমে, আর একটু সামনে গেলাম। সেখানে দেখতে পাই একদম নিচে একটি গর্ত রয়েছে। রাত্রিবেলা কেউ যদি মরুভূমিতে হাঁটতে যায়, আর হঠাৎ করে যদি এই গর্তে পড়ে। তাহলে সে আর এখান থেকে উঠতে পারবে না। এত বিশাল গর্ত ছিল।
তখন ওই গর্তেরও কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম অনেক কাছ থেকে। বেশি সামনে যাওয়া হয়নি, কারণ দুর্ভাগ্যজনকভাবে যদি গর্তের মধ্যে পড়ে যাই, তাহলে তো আবার সমস্যা। তাই মোটামুটি নিজের অনুকূলে থেকেই কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। এরপর সেই এরিয়াতে হাঁটতে হাঁটতে আমরা এই রকম চারটি গর্ত খুঁজে পাই। যেগুলো পাথর দিয়ে সাজানো এবং অনেক বিশাল গর্ত।তবে দুটি গর্ত খুবই বড় ছিল, কিন্তু বাকি দুটি গর্ত ছোট ছিল। ছোট গর্ত গুলোর উপর থেকে দেখা যাচ্ছে নিচে পাথর পড়ে রয়েছে।
তো বন্ধুরা আসলে এই গর্ত গুলো কিসের, কেনই বা করা হয়েছে,ও এটা করার পিছনে লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি, সেটা কিছুই জানিনা। তবে এতোটুকু দেখতে পেলাম যে হাঁটতে গিয়ে পাথরের গর্ত। আর গর্তগুলো বেশ বড় তাই কিছু ফটোগ্রাফি করে রাখলাম। আজকে ভাবলাম এ বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাই আপনাদের মাঝে এই বিষয়টি তুলে ধরলাম। কেমন লেগেছে অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
![]() | ![]() |
---|
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
ফোনের বিশদ বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
পোষ্ট | স্মৃতিময় মুহূর্ত |
মডেল | M32 |
ফটোগ্রাফার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | শুধু সেচুরেশন |
অবস্থান | বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
https://twitter.com/Nevlu123/status/1620305350271574016?s=20&t=xatK3GRa0QQHImwmmIGmsA
মরুভূমির দেশে কখনো যাওয়া হয়নি এই দৃশ্যগুলো কখনো দেখা হবে কিনা জানিনা। আপনার ফটোগ্রাফি করার সুবাদে সেই দৃশ্যগুলো দেখতে পেলাম আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই গর্তগুলো কিসের সেটাও জানিনা কিন্তু পাথরের খোদাই করা খুবই সুন্দর লাগছে।
জি ঠিক বলেছেন ভাই আসলে সেখানে না গেলে দৃশ্য গুলো দেখা কোনভাবে সম্ভব হবে না। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এর জন্য যে আপনার আজকের এই পোস্টের মধ্য দিয়ে নতুন কিছু বিষয়ে আমি জানতে পারলাম। আরো জানতে পেরেছি আপনি বিদেশে ছিলেন। আর অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন তাই আবারো জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাই এক সময় ছিলাম কিন্তু এখন দেশেই আছি।ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য, ভালো থাকবেন সর্বদায় এই কামনা করি।
পাথরের এই গর্তগুলো সত্যিই অনেক বিশাল এবং ভয়ঙ্কর লাগছে। মরুভূমিতে হাঁটার সময় যদি কেউ এই গর্তে পড়ে যায় তাহলে উঠে আসা খুবই কঠিন হয়ে যাবে। ভাইয়া আপনি দেশের বাহিরে থাকার সময় এই দৃশ্যগুলো দেখেছেন এবং ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলেন দেখে ভালো লাগলো। তবে যাই বলুন না কেন এই দৃশ্য গুলো দেখেই ভয় লাগছে।
একদম যথাযথ একটি মন্তব্য করেছেন আপু। আমি ও আপনার সাথে একমত। মরুভূমিতে হাঁটার সময় যদি কেউ এই গর্তে পড়ে যায় তাহলে উঠে আসা খুবই কঠিন হয়ে যাবে।
এই গর্ত গুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশি একটা গভীর নয় এবং এমন ধরনের গর্ত আমি আগে কখনো দেখিনি। কারণ মরুভূমির দেশে কখনও যাওয়া হয়নি আমার। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
এখানে টোটাল চারটি গর্ত পেয়েছিলাম, তার মধ্যে দুটি অনেক গভীর। একটা ছোট পাথর নিচে পৌঁছাতে ১০ সেকেন্ডের মত সময় লেগেছে তাহলে বুঝতেই পারতেছেন কতটা গভীর। তবে বাকি দুটো ছোট সেগুলো উপর থেকে পাথর দেখা যাচ্ছে নিচে।
১০ সেকেন্ড লেগেছে মানে তো বিশাল গর্ত ভাই। কেউ যদি পরে যায় তার অবস্থা কাহিল হয়ে যাবে। বেচে থাকবে কিনা কে জানে। আর থাকলেও হাত পা ভেংগে যাবে। যাক বেশ অবাক করা জিনিশ দেখলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাই কেউ যদি পড়ে যায় তার অবস্থা কাহিল হয়ে যাবে।ধন্যবাদ খুব চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।