কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিন ঘুরাঘুরির কিছু মুহূর্ত।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিন ঘুরাঘুরির কিছু মুহূর্ত। |
---|
টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। মূলত এর আগে আরো একটি পর্বে আমি কক্সবাজারের বিষয়বস্তু তুলে ধরেছি। তবে আজকে দ্বিতীয় দিনের আরো কিছু বিষয়বস্তু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো বলে এই পোস্টটি রেডি করতে যাচ্ছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক।
দ্বিতীয় দিন আমরা পানিতে নেমেছিলাম, তবে সেদিন হালকা মেঘ ছিল তাই পানি অনেকটা ঠান্ডা ছিল।যার কারণে বেশিক্ষণ পানিতে না থেকে উঠে গিয়েছি । এরপর বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আমরা দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। তারপর রুমে বেশিক্ষণ অপেক্ষা না করে বেরিয়ে পড়লাম ঘোরাঘুরি করার জন্য। যেহেতু কক্সবাজার এসেছি ঘোরার জন্য, রুমে বসে থেকে কি লাভ তাই বেরিয়ে পড়লাম।
যাই হোক বেরিয়ে প্রথমত আমরা লাবনী পয়েন্টের একটু পাশেই একটি মেলা হচ্ছিল সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমরা ভিতরে ঢোকার আগে এদিক ওদিক অনেকগুলো ফটো তুলে নিলাম। মেলাটি আয়োজন করেছিল বেশ বড় একটি এরিয়াজুড়ে।যাইহোক ভিতরে ঢোকার জন্য আমরা টিকেট কেটে নিলাম। যথারীতি আমাদের সবার জন্য টিকেট কাটার পরে এক এক করে ভিতরে ঢুকে গেলাম।
এরপর সেখানে কিছু কেনাকাটা করলাম এবং আমার ওয়াইফও বাকিরা আচার খেতে চেয়েছিল তাই তাদের উসিলায় বিভিন্ন আইটেমের আচার খাওয়া হলো সবার। তারপর অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করে আমরা চলে গেলাম আবার সুগন্ধা বীচে।সুগন্ধা বীচে যাওয়ার অনেক আগে থেকে @samhunnahar আপুকে ফোন করে রেখেছিলাম যে আমরা সুগন্ধা বীচে গিয়ে আপনাকে ফোন দিব। যথারীতি সুগন্ধা বীচে গিয়ে শামসুন্নাহার আপুকে ফোন দিয়ে দিলাম। তিনিও বলছিলেন যে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি এখানে এসে উপস্থিত হবেন।
![]() | ![]() |
---|
অল্প কিছুক্ষণ মধ্যেই তিনি তার দুটো কিউট মেয়েকে নিয়ে চলে এলেন সুগন্ধা পয়েন্টে। তখন আমরা সবাই মিলে একটি অটো ভাড়া করে লাবনী বীচের দিকে চলে গেলাম।এরপর বীচের পাড়ে গিয়ে আমরা সেখানে সিট ভাড়া করে সবাই বসে আড্ডা দিলাম অনেকক্ষণ। এদিকে শামসুন্নাহার আপুর হাজবেন্ডের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। তিনি আসলে কোথাও বসে নাস্তা করবো। পরবর্তীতে সেই ভদ্রলোক ওসমান ভাই অল্প কিছু সময়ের মধ্যে এসে পৌঁছে গেলেন।
এরপর আমরা একে অন্যের সাথে পরিচিত হলাম। তারপর সেখানে কিছুক্ষণ বসে বসে কথাবার্তা বললাম।পরে দেখি সেখানে অনেক মশা কামড়াচ্ছিল, তাই আমরা সেখান থেকে উঠে গেলাম এবং চলে গেলাম হোটেল ঊর্মিতে নাস্তা করার জন্য।শান্ত পরিবেশ ও খাবারের মানের দিক থেকে উর্মি হোটেল অনেক ভালো। উর্মি হোটেলটি যেহেতু বীচের পাশেই তাই হোটেল থেকে খুব সুন্দর বীচ দেখা যাচ্ছে।
তাই এখানে কাস্টমারও অনেক বেশি হয়ে থাকে।যাইহোক সেখানে বসে আমরা সবাই মিলে নাস্তাকরলাম করলাম।আর সেখানে নাস্তায় অর্ডার করা হয়েছিল চিকেন ফ্রাই, সাথে ফ্রেন্স ফ্রাই, আর কোক। মোটামুটি খুব ভালো একটি খাবার ছিলো। সবাই মিলে নাস্তা করতে লাগলাম এবং বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে লাগলাম। তবে বেশিরভাগই আমরা একটি মেয়ের প্লাটফর্ম নিয়ে কথা বলেছিলাম। কথার মধ্য দিয়ে কিভাবে যে সেই সময়টুকু চলে গেল বুঝতেই পারলাম না।
যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অবশেষে আমরা সেখান থেকে লাবনী পয়েন্টে গেলাম এবং সেখানে রাজা চা খেলাম। যদিও রাজাজির চায়ের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে সেটি অন্য একদিন পোস্টে তুলে ধরব। তবে আজকে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এখানে বিদায় নেব। আগামীতে বাকি বিষয়বস্ত আপনার মাঝে তুলে ধরব। কষ্ট করে ব্লগটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![steempro....gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTE3978V85byJ3jjoLdrAFUo5xUhDe7Hp6bDUeqi9sW7p/20230619_2116256.gif)
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
ভাইয়া আপনার পোস্ট দেখে বোঝায় যাচ্ছে যে আপনি কক্সবাজার ভ্রমন করে খুবই দারুণ একটা সময় অতিবাহিত করেছেন। আসলে ভাইয়া পরিবারের সাথে সময় কাটানো মুহূর্তগুলো খুবই আনন্দের হয়ে থাকে। তবে সেটা যদি হয় ভ্রমনে তাহলে আরো ভালো হয়। দেখলাম আপনারা সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে ও খাবার খেলেন বেশ সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন যেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।🗯️
কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিন ভালোই সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। আসলে কক্সবাজার গেলে এমনিতে ভালো লাগে। আর আমাদের প্রিয় শামসুন্নাহার আপু এবং তার পরিবারকে পেয়ে আরো ভালো সময় কাটিয়েছেন সবাই। আর ওখানে মেলা হওয়ার কারণে আপনারা ঘুরাঘুরি ভালোই করলেন মেলাতে। আসলে ভাই প্রিয় মুখগুলো একসাথে দেখে আমার নিজের কাছে ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ জামাল ভাই।
https://x.com/Nevlu123/status/1779461886972715070
হ্যাঁ ভাই এর আগের পর্বটি পড়া হয়েছিল আমার। যাইহোক পানি বেশি ঠান্ডা থাকলে, সমুদ্রে নেমে বেশিক্ষণ গোসল করা যায় না। এমনিতেই তো তখন ফেব্রুয়ারি মাস ছিলো। লাবণী পয়েন্টের পাশে আয়োজিত মেলায় গিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো। তাছাড়া শামসুন্নাহার আপুর পরিবারের সাথে খাওয়া দাওয়া করে এবং আড্ডা দিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
জি ঠিক ভাই পানি বেশি ঠান্ডা থাকলে, সমুদ্রে নেমে বেশিক্ষণ গোসল করা যায় না।