ভ্রমণ করতে গিয়ে দেখতে পাওয়া মাছ ধরার কিছু দৃশ্য।১০% লাজুক-খ্যঁকের জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে।

আজকে আমি ভ্রমণ ভিত্তিক একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে,আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

SquareBlend_202232221958557.jpg
লোকেশন:https://maps.app.goo.gl/9ibfWEfv5rzpZc42A

হ্যালো বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের সাথে ভ্রমণের কিছু অনুভূতি, এবং কিছু ভ্রমণ করতে গিয়ে দেখতে পাওয়া মাছ ধরার কিছু দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আমার এক বন্ধু বিদেশ থেকে এসেছে, তো তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। আমরা এক মোটর সাইকেলে তিনজন গেলাম। আর আমি ড্রাইভ করে অনেক দূরে একটি জায়গাতে গেলাম। আর সে জায়গাটার নাম হলো মুছাপুর।







প্রথমেই বলে রাখি মুছাপুর এটি বঙ্গোপসাগরের পাশাপাশি একটি এলাকা। এটি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ এ অবস্থিত।এই মুছাপুর ক্লোজার টি অনেক জনপ্রিয় একটি ভ্রমণ স্পট হিসেবে পরিচিত নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায়।






সেখানে অনেক লোক ঘুরাঘুরি করতে যায়, যদিও সেখানে রয়েছে শুধু নদ-নদী এবং কিছু সারি সারি গাছের বাগান।আর সেই জায়গাতে ঘুরতে গিয়েছিলাম আমি এবং আমার দুই বন্ধু।







তখন আমরা রওনা হলাম বাড়ি থেকে এবং আমরা অনেকক্ষণ ড্রাইভিং করার পর আমরা সেই জায়গাতে পৌঁছাই,এবং সেখানে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করলাম।






সেখানে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করলাম। তবে যখন আমরা চলে আসতেছি তখন দেখতে পাই মাছ ধরার জন্য জেলেরা কিছু ফাঁদ পেতে রেখেছে নদীতে।আমরা সেখানে বাইকটি রেখে আমরা অপেক্ষা করি কেমন মাছ ধরে, বা কতটুকু মাছ পায় সেটা দেখার জন্য।







আমরা প্রায় বিশ মিনিটের মত অপেক্ষা করেছি, তাদের জাল উঠানোর পর্যন্ত। তখন আমরা দেখতে পেলাম তারা মিটি মিটি করে নৌকাতে নয় জন মানুষ উঠে আস্তে আস্তে জালকে উপর দিকে টেনে টেনে এক কর্নারে নিয়ে আসছে।






তারপর যখন তারা একদম শেষ কর্ণারে নিয়ে আসলো জালটি, এবং সেখানে দেখতে পাই অনেকগুলা কাঁকড়া যেখানে মাছ থাকার কথা। কিন্তু মাছ তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না শুধু দেখা যাচ্ছে কাঁকড়া আর কিছু চিংড়ি মাছ।






তখন আমরা আসলে একটু বিরক্ত বোধ করলাম যে এতক্ষণ বসে রইলাম আর দেখি মাছ নেই শুধু কাঁকড়া। এরপর আমি সেখানেও কিছু ফটোগ্রাফি করি কাকড়ার।







জেলেরা মাছ ধরতে ছিল তারা কাঁকড়া গুলোকে একটা ক্যারাটে করে সেটা তারা এক জায়গাতে রাখে। এবং সেখান থেকে তারা মাছ গুলো বেছে নিল একটা আলাদা পাত্রে।







সেখানে কিছু বেলে মাছ এবং ভিন্ন রকম কিছু মাছ হয়তোবা চাপিলা এবং চিংড়ি মাছ এগুলো সমন্বয়ে প্রায় দুই কেজির মত হবে সেগুলো দুইটা ক্যারাটে রাখল।

আমি সেখানকারও কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। আবার দেখতে পেলাম কিছু কাঁকড়া একটা লোক একটা বালতি করে নিয়ে যাচ্ছে এবং হাতে একটা কাঁকড়া নিলো, সেখানকার কিছু ফটোগ্রাফি করি, এবং আপনার সাথে শেয়ার করলাম।





তারপর শুনতে পাই ওই মাছগুলো দাম ১৭০০টাকা। যদিও এগুলোর দাম বা ন্যায্যমূল্য যদি বাজারে করা হয় তখন সেখানে পাওয়া যাবে মাত্র ১২০০ টাকাতে।আর সেই জায়গাতে তারা ১৭০০টাকা চাওয়াতে কেউ নেয় নাই,এবং আমরাও মাছগুলো রেখে চলে গিয়েছে সেখান থেকে।



আসলে পিকনিক স্পটে গেলে এরকম মাছ যদি দেখা যায় তখন সেগুলো কিনতে গেলে সেখানকার লোকেরা এগুলোকে চড়া দামে বিক্রি করতে চায়।

কেননা তারা ভাবে এরা তো পিকনিকে এসেছে এদেরকে একটু দাম বাড়িয়ে বলি নিয়ে যাবে, এ কারণে তারা চেষ্টা করে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য।

আমরাও তাদেরকে ১২০০ টাকা বলে বিক্রি করার জন্য অপার করলাম। তারা আমাদের কাছে সেল করলোনা ১৭০০টাকার জন্য। আমরা সেটা না নিয়ে চলে গিয়েছি।

তো বন্ধুরা এরপর আমরা সেখান থেকে আমাদের গন্তব্যের জন্য আবার রওনা হলাম। আর কোথাও না দাঁড়িয়ে একটানে আমরা গিয়ে আমাদের যে গন্তব্য সেখানে পৌঁছায়।

সেখানে গিয়ে নাস্তা করে আমরা যার যার বাড়িতে সবাই ফিরে যায়।আর এটাই ছিল আজকের মত ছোট্ট করে ঘুরে আসার ভ্রমণ কাহিনী অনেক ধন্যবাদ সবাইকে।

আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনের সাথে নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক

images (2).png

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

images (2).png

20211126_191305.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি কারণ আমি বাংলা বলি তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
images (2).png

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণফটোগ্রাফি
ক্যামেরা.মডেলএম ৩১
ক্যাপচার@নিভলু১২৩
সম্পাদনাশুধু সেসুরেশন
অবস্থানMusapur

https://maps.app.goo.gl/9ibfWEfv5rzpZc42A

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

Sort:  
 2 years ago 

সত্যি বলতে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি ঘুরতে গিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে কালেকশন করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। অনেক ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

আরে বাবা এখানে তো দেখছি মাছের থেকে কাকড়ার সংখ্যাই বেশি আর নদীতে কিন্তু এভাবে মাছ ধরতে বেশ দারুণ লাগে।আর আপনার ও কিন্তু দারুন একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে দেখে বোঝাই যাচ্ছে।

 2 years ago 

জি ভাই আমরাও ভেবেছিলাম অনেকগুলো মাছ পাবে। কারণ অনেক বিশাল এলাকাজুড়ে তারা মাছ ধরার ফাঁদ পেতেছিল, কিন্তু দেখতে পাই সবগুলাই কাঁকড়া। মাছের সংখ্যা খুবই কম

 2 years ago 

মাছ ধরার দৃশ্য গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগলো আমিও মাছ ধরতে খুবই ভালোবাসি তাইতো মাঝেমধ্যেই জাল নিয়ে ছুটে যাই পদ্মার পাড়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে এবং মাছ ধরতে দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপনা করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য

 2 years ago 

সত্যিই জাল দিয়ে মাছ ধরতে অনেক বেশি মজা হয় আর বন্ধু-বান্ধব হলেতো কোন কথাই নেই, বেশ মজার জোয়ার উঠে সেখানে।

 2 years ago 

এরকম মাছ ধরা আগে কখনো দেখিনি । তবে আপনার ভ্রমণ যাওয়ার জন্য এইরকম কিছু ফটোগ্রাফি আপনার কাছ থেকে দেখলাম । সুন্দর সময় পার করার পাশাপাশি অনেক সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল

 2 years ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে গুছিয়ে একটি মন্তব্য করে আমাদের উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

আপনি ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত ব্যয় করেছেন বিশেষ করে মাছ ধরা দেখার মুহূর্তটি আমার কাছে বেশ চমৎকার লেগেছে এমন বড় একটি জায়গায় মাছ ধরার দৃশ্য টি দেখে। আমি আগে কখনো এমন দৃশ্য দেখিনি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এমন চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে এটি একটি বড় জায়গা ছিল। অনেকটা বৃস্তিত এরিয়া জুড়ে তারা মাছ ধরার ফাঁদ পেতেছিল, এবং পরে দেখতে পায় মাছের চাইতে কাকড়ার সংখ্যা বেশি।

 2 years ago 

আমার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ব্রহ্মপুত্র নদ পেরিয়ে যেতে হয়। আমি গ্রামে যাওয়ার সময় এরকম মাছ ধরার দৃশ্য অনেক দেখেছি। মাছ ধরার দৃশ্য ফটোগ্রফি গুলো দেখে আমার পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। আপনি ঘুরতে গিয়ে অনেক মজার মজার দৃশ্য ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

সত্যিই আগে অনেক ভাবে মাছ ধরতো মানুষ, কিন্তু এখন বর্তমান পরিস্থিতির কারণে অনেকে মাছ ধরা ছেড়ে দিয়েছে। যাইহোক আমার এই ফটোগ্রাফি পোষ্টের মাধ্যমে আপনার পুরনো স্মৃতি জাগ্রত হয়েছে, এটা জেনে অনেক খুশী হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনি আপনার বিদেশ থেকে আসা বন্ধু কে ঘুরতে গিয়ে বেশ আনন্দ করেছেন। ভাইয়া মাছ ধরার দৃশ্য কখনো এইভাবে দেখা হয়নি। আমি প্রথমে কাঁকড়া গুলো দেখে মনে করেছি সব গুলো কাঁকড়া অনেক ছোট পরে দেখছি না।অনেক বড় বড় কাঁকড়া। ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর করে সন গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।

 2 years ago 

এখানে কিছু কাঁকড়া ছিল ছোট আবার কিছু কাঁকড়া ছিল বড় আকারের।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপনাদের মুছাপুর গ্রাম অনেক সুন্দর দেখতে । এভাবে জাল দিয়ে মাছ ধরতে দৃশ্য অনেক দেখেছি । এভাবে গ্রামে মাছ ধরার দৃশ্য দেখা যায় বেশি । আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া এবং আপনি মুছাপুর গ্রামে খুব ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন বন্ধুদের সাথে । মাছের দাম একটু বেশি হলে আপনারা নিয়ে নিতে পারতেন ১৩০০ থেকে ১৫০০ শ টাকা হলে । এই হোক আপনার কাটানো মুহূর্ত আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো পড়ে ভাইয়া । ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ।

 2 years ago 

অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন, আসলে আপনাদের মন্তব্য কাজের সফলতা হিসেবে গণ্য হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপনি খুবই সুন্দর একটি স্থানে ঘুরতে গেছেন ভাই। এতগুলো কাঁকড়া কখনো একসঙ্গে দেখিনি। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি ও করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে আমি নিজেও এত কাঁকড়া একসাথে কখনো দেখিনি। এই প্রথমবার দেখেছি তাই তো ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম।ধন্যবাদ আপনাকে

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68125.63
ETH 3308.80
USDT 1.00
SBD 2.74