ফিরে আসার গল্প-2, ২য় পর্ব
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
ফিরে আসার গল্প-2, ২য় পর্ব।
গত পর্বে যখন শিক্ষক তাকায় তাদের দিকে, তখন দেখতে পায় মিশু আর সুবর্ণা একে অন্যের হাতে হাত রাখা এবং দুজনের খাতার মধ্যেই একে অন্যের নাম লেখা, সাথে আই লাভ ইউ লেখা রয়েছে। সেটা দেখে শিক্ষক মশাইর বুঝতে বাকি নেই যে, এতদিন ধরে তারা ভালবাসায় হাবুডুবু খাচ্ছে ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে।
সেই থেকে তাদের শুরু হল ভালবাসার খারাপ দিন, এ বিষয়টি যথারীতি শ্রেণী শিক্ষক, প্রধান শিক্ষককে জানায় এবং প্রধান শিক্ষক এই বিষয়টি জানার পরে ছেলেটিকে অফিস কক্ষে ডেকে পাঠালেন,তারপর যথাযথভাবে বুঝালেন।
তিনি বলেন যে সমবয়সী প্রেম করলে সেই প্রেমে কখনো সফলতা অর্জন করা যায় না এবং মেডিকেল সাইন্স এর দিক থেকেও যথাযথ ব্যাখ্যা দিলেন, যে সমবয়সী মেয়ের সাথে প্রেম না করতে।
অবশেষে ভালোবাসা বলে কথা, কে শুনে কার কথা। ছেলেটি প্রধান শিক্ষকের কথা অমান্য করে পুনরায় ভালবাসায় কন্টিনিউ করতে লাগলো। হঠাৎ একদিন মেয়ে শিক্ষিকা তাদের রোমান্সকর আরেকটি দৃশ্য দেখে ফেলে।
তখন পুনরায় আবার প্রধান শিক্ষকের কাছে যখন মেয়ে শিক্ষিকা অভিযোগটি জানায়, তখন প্রধান শিক্ষক আবার দুজন কে অফিস কক্ষে নিয়ে মেয়ে এবং ছেলেকে বেত্রাঘাত করলো এবং ইচ্ছেমতো বকাঝকা করল।
ছেলেটি ছিল অনেক জিদ্দি, সে প্রধান শিক্ষক এর প্রথম দিনের বকা এবং আজকের বকা ভালো ভাবে নিতে পারেনি। সে রাগ করে বলে পেলে, যে আমি আপনার এই স্কুলে আর পড়বোই না। তখন ছেলেটি প্রধান শিক্ষক এর সামনে তর্ক করে সেখান থেকে বের হয়ে যায়। আর সে বেরিয়ে গিয়ে বাড়ি চলে যায়।
পরের দিন স্কুলের সামনে গিয়ে ছেলেটি দাঁড়ায় মেয়েটির সাথে দেখা করার জন্য। তখন মেয়েটি হঠাৎ আসে এবং তারা গেটে দাঁড়িয়ে কথা বলে। ছেলেটি মেয়েটিকে বলে তুমি এই স্কুল ছেড়ে দাও, মেয়েটি বলল না আমি এই স্কুল ছাড়তে পারবো না। তুমি এই স্কুল থেকে কোথাও যেও না।তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।
তখন ছেলেটি বলে যদি আমাকে ছাড়া থাকতে না পারো, তাহলে তুমি স্কুল ছেড়ে দাও। যেহেতু সবাই জেনে গিয়েছে আমাদের ভালোবাসার কথা এবং আমাদেরকে বকাঝকা করেছে, তাই স্কুলটি ছেড়ে দাও। মেয়েটি কোনভাবেই ছেলেটির কথা রাজি হলো না অবশেষে এক পর্যায়ে রাগারাগি করে ছেলেটি সেখান থেকে চলে গেল। আর সে যে গেল কোথায় গেল সে বিষয়ে কারো কিছু জানা নেই।
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু , আশা করি সামনে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
গত পর্ব গুলো এখানে👇
পর্ব | বিষয় | পোস্ট লিংক |
---|---|---|
১ | ফিরে আসার গল্প,১ম ও ২য় পর্ব | https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/3zdjnf |
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | গল্প |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
https://twitter.com/Nevlu123/status/1579373554688491522?s=20&t=7IzoZZq0XsNGU0-ezo0CYQ
দারুণ এগোচ্ছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।
খুব শীঘ্রই পরের পর্ব নিয়ে উপস্থিত হব ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।❤
আসলে স্কুলে পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা অনেক বেশি জেদি হয়ে থাকে। আমি মনে করি শিক্ষক প্রথমে ছেলেটিকে খুব ভালোভাবে কথাগুলো বুঝিয়েছেন। ভুলছিল ছেলেটির। কারণ ছেলেটি স্যারের কথা অমান্য করে আবার নিজেই স্কুল থেকে বেরিয়ে গেল। কিন্তু তারপরে আবার মেয়েটির সাথে ঝগড়া করে কোথায় চলে গেল। এটা জানার বেশ আগ্রহ রয়েছে।
আপনার আগ্রহটা আগামী পর্বে জানতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে মতামত প্রদানের জন্য।