দিনের দিন হলো আমার দিন আখেরি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে।

দিনের দিন হলো আমার দিন আখেরি।

20231029_202332.jpg

দিনের দিন হলো আমার দিন আখেরি। কি ভাবছেন গান এর কথা? না এটা হৃদয়ের কথা, এটা উপলব্ধির কথা। যদিও এই কথাটি ছিল আমাদের সবার প্রিয় লালন ফকির এর। তবে এই কথাটার মর্মার্থ অনেক বিশাল,তবে আমি আমার মত করে কিছু আলোচনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।যাই হোক বন্ধুরা ভূমিকায় না গিয়ে আজকে এ লাইন কে কেন্দ্র করে বাস্তবিক কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি, চলুন শুরু করা যাক।

একটা সময় ছোট ছিলাম তখন খুব মনে হতো কবে বড় হব। কবে ছোটবেলার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাব। ছোটবেলায় কতই না দুষ্টামি করতাম। আবার দুষ্টামি শেষে অনেক বকাঝকাও শুনতে হতো। পড়াশোনা না করলে মার খেতে হতো মা বাবার কথার বাইরে গিয়ে কোথাও দুষ্টামি করলে সেটার জন্য পানিশমেন্ট পেতে হতো। স্কুলে যখন পড়া না পারতাম তখনও মার খেতে হতো শিক্ষকদের হাতে।

আবার স্কুলে না গেলে মা বাবার হাতে অথবা শিক্ষকদের হাতে দুই দিক থেকেই মার খাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। ছোট থাকতে অনেক ইচ্ছে পূরণ হতো না। কারণ ইচ্ছের কোন লিমিটেশন ছিল না। ছোটবেলায় সবার ইচ্ছে থাকে ব্যতিক্রম এবং অনেকগুলো চাহিদা থাকে যেটা ছোটবেলায় পূরণ করা কখনো সম্ভব নয়। এরকম অগোছালো ছোট্ট জীবনে থাকাকালীন চিন্তা করতাম কবে বড় হবে এবং এইসব ঝামেলা থেকে কবে মুক্তি পাবো।কারণ বড় হলে তো আর পড়ার ঝামেলা নেই।

যাইহোক ধীরে ধীরে প্রাইমারি স্কুল শেষে হাই স্কুলে উঠে গেলাম। তখন শুরু হল আবার ভিন্ন রকম প্যারা। বিভিন্ন রকম বন্ধুবান্ধব জুটে যায় তখন। এক এক বন্ধু-বান্ধবের স্বভাব এক এক ধরনের। ভালো-মন্দ মিলে সবাই একসাথে থাকতে হয়।ছোটবেলায় প্রাইমারিতে থাকাকালীন যদিও মানুষকে তেমন একটা উপলব্ধি করা যেত না কে ভালো কে খারাপ। কিন্তু হাইস্কুলে যাওয়ার পরে কিছুটা মেধা বিকাশ হয় এবং বুঝতে পারা যায় কারা ভালো কারা খারাপ। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ।

যাইহোক শুরু হতে থাকে পড়াশোনার আরো চাপ। তখনো শুধু মনে মনে ভাবতাম কখন আরো বড় হবো। কখন এই ঝামেলা থেকে চিরতরে মুক্তি পাব। এভাবে করতে করতে যখন এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে এইচএসসির দিকে ধাবিত হই তখন আবার ভিন্ন রকম প্যারা শুরু হয়। এভাবেই জীবনের সময় ও দিন গুলো কেটে যায়। আমি শুধু একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে আপনাদের মাঝে এই বিষয়টি তুলে ধরলাম।তবে অনেকের অনেকভাবেই জীবন যাপন কাটছে।

যাইহোক এরপরে শুরু হয় সংগ্রামী জীবন। রুটি রুজির জন্য অনেক সংগ্রাম করতে হয়। বর্তমান সমাজে বা আমাদের দেশের চাকরি পাওয়াটাও এত সহজ কথা নয়।সেজন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে অনেক শ্রম গাম দিতে হয়।আবার অনেক সময় মামা খালুর জোরে ঘুষ দিয়ে ঢুকতে হয়। এটাও কিন্তু কম প্যারার বিষয় নয়।ওই যে ছোটবেলায় যেমন চিন্তা করতাম কবে বড় হবে। কবে ভেজাল মুক্ত হবে বা প্যারা দায়ক বিষয়টি নিজের মধ্যে আর থাকবে না।

কিন্তু কই সেটা তো হলো না। বড় হয়েও সে প্যারা রয়েই গেল।এভাবে করতে করতে জীবন চলছে জীবনের গতিতে। এভাবেই দিনের পর দিন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আর এভাবেই দিন যেতে যেতে আখেরি দিনের দিকে আমরা ঘনিয়ে আসছি। সময়ের সাথে সাথে নিজের বয়স শক্তি সমর্থ্য সবই শেষ হতে যাচ্ছে। পৃথিবীটাও ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ আমরা ভালো করেই জানি একটা সময় পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।

আমরা এটাও জানি যে প্রত্যেক প্রাণীরই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।তেমনি পৃথিবীও ধ্বংস হবে এটি আমরা সবাই মানি এবং জানি। এভাবেই সবাই হামাগড়ি দিয়ে আখেরী দিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কেউ হয়তো বুঝতে পারছি, কেউ হয়তো বুঝতে পারছি না।আবার কেউ উপলব্ধিও করতে পারছি না। একটা সময় এসে নিজের কাছে মনে হয় কবে যেন মারা যাই,এই চিন্তা ঘুরপাক খায় মাথায়।যাইহোক এভাবেই মাঝে মাঝে চিন্তা করে দিনের সমাপ্তি ঘটে। আর এভাবে দিনের সমাপ্তি ঘটতে ঘটতেই আখেরী দিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণজেনারেল রাইটিং।
ক্যামেরা.মডেলএম ৩২
ক্যাপচার@nevlu123
সম্পাদনারিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থানবাংলাদেশ

images (2).png

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

images (2).png

20211126_191305.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
images (2).png

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

gifeditor_20181225_230443.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

🙏💐💐💥💐

 last year 

অসাধারন লেখেছেন তো ভাই। এক সময়ে যখন ছোট ছিলাম তখন বার বার মনে হতো যে কখন বড় হবো? আর এখন আবার মনে হয় ইস্ যদি ছোট হতে পারতাম! এ যেন এক গোলাক ধাধাঁ। সত্যি কিন্তু দিনে দিনে আমাদের দেহের শক্তি হারিয়ে যাচেছ। আর আমরাও এগিয়ে যাচিছ এক অজানা পথের দিকে। সব মিলিয়ে দারুন ছিল আপনার আজকের লেখা।

 last year 

ঠিক আপু এক সময়ে যখন ছোট ছিলাম তখন বার বার মনে হতো যে কখন বড় হবো।

 last year 

আসলেই এটাই বাস্তবতা। যতই দিন যাচ্ছে ততই আমরা মৃত্যুর দিকে ঘনিয়ে আসছি। আর মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া মানেই আখেরি দিন চলে আসা। যতই চিন্তা করি বড় হবো ততই যেন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছি। খুব ভালো ছিল ব্লগটি ধন্যবাদ।

 last year 

ঠিক যতই চিন্তা করি বড় হবো ততই যেন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছি।

 last year 

প্রত্যেক প্রাণীকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। পৃথিবীর প্রতিনিয়ত ধ্বংসের মুখোমুখি হচ্ছে। আর চারিদিকে যে অবস্থা তা বোঝাই যাচ্ছে কেয়ামতের আলামত সব প্রকাশ পাচ্ছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.17
JST 0.029
BTC 69432.76
ETH 2492.61
USDT 1.00
SBD 2.53