রিভার্স নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
রিভার্স নাটকের রিভিউ। |
---|
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | রিভার্স |
---|---|
পরিচালক | মেহেদী হাসান হৃদয় |
অভিনয় | মুশফিক আর ফারহান, কেয়া পায়েল সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ২২ মে ২০২৪ |
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
প্রথমে নাটকটি শুরু হয়ে যাবে এবং নাটকটি শুরু হওয়ার পরে নায়িকাকে দেখানো হয়৷ সে বাসায় রান্না করছিল এবং সেই রান্না শেষ করে যখনই একটু রেস্ট করার জন্য গেল তখনই নায়ক বাসায় আসে৷ বাসায় আসার পরে সে যখন খাবার চায় তখন নায়িকা বলে যে কিছুক্ষণ পরে সে খাবার দিবে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
তখন সে অনেক রাগারাগি করতে থাকে৷ সে বলে যে সে এতক্ষণ কাজ করে এসেছে এবং এখন তার সাথে এরকম ব্যবহার কেন করা হচ্ছে৷ তখন নায়িকা বলে , সে শুধু একাই অফিসে কাজ করে নাকি৷ নায়িকাও বাসায় অনেক কাজ করে৷ তার কাজগুলো নায়কের চোখে পড়ে না কেন৷ তখন তাদের মধ্যে অনেক কথাবার্তা হয় এবং অনেক ঝামেলা সৃষ্টি হয়ে যায়৷ এর পরবর্তীতে তারা সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সেখান থেকে চলে যায়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
তখন তারা দুজনে সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা একে অপরের কাজ করবে৷ নায়িকা এখন অফিসে যাবে, নায়ক বাসার সকল কাজ করবে৷ এরপর তারা দুজনেই সে বিষয়ে রাজি হয়ে যায় এবং এই থেকে নাটকের নামটি উঠে আসে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর নায়ক বাসায় রান্নাবান্না করতে থাকে৷ সে বাসার সকল কাজ করতে থাকে৷ যখন সে এই কাজগুলো করতে থাকে তখন সে বুঝতে পারে যে নায়িকা কত কষ্ট করে। এরপর নায়িকাও যখন অফিসে গিয়ে অনেক কাজ করতে থাকে তখন সেখানেও সে অনেক খারাপ ব্যবহারের শিকার হয়৷ কাজের চাপ বেশি হওয়ার কারণে সে একেবারে পাগল হয়ে যায়৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
তখন সে বুঝতে পারে যে নায়ক অফিসে এসে কি কষ্ট করে৷ তখন তারা দুজনে দুজনের কষ্ট বুঝতে থাকে৷ তবে তারা দুজনে বলে যে তারা এই কাজটি করে যেতে থাকবে। তারা কোনভাবে একে অপরের কাছে হার মানবে না। তারা দুজনেই কাজ করে যাচ্ছিল। নায়ক যখন বাসায় থাকে তখন সে একা একা অনেক ধরনের কাজ করে৷ সে মজা করার জন্য গান চালায় এবং বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
সেখানকার বাসার একজন ব্যক্তি যখন এই বিষয়টি দেখতে পায় তখন সে নায়িকাকে এই বিষয়টি বলে৷ তবে নায়িকা বিষয়টি কোনভাবে বিশ্বাস করতে পারেনা৷ এরপর ওই ব্যক্তি দুজন লোককে আনে নায়ককে মারার জন্য৷ তবে নায়ক তাদেরকে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে সেখান থেকে পাঠিয়ে দেয়৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এভাবেই অনেকদিন চলতে থাকে। নায়িকা প্রতিনিয়তই অফিসের কাজ করতে থাকে। অফিসের কাজ করতে করতে সে এতটাই খারাপ ব্যবহার এবং খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় সে ভাবে যে সে আজকেই বাসায় গিয়ে আর কখনো অফিসে আসবেনা৷ সে নিজের কাজেই করবে৷ নায়ক তার নিজের অফিস করবে। যখন নায়িকা বাসায় আসে তখন সে যখন এই কথাটি বলবে বলবে ভাবছিল তখন সে বলতে পারেনি৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এর পরবর্তী সময়ে যখন বাড়ির একজন ব্যক্তি সেখানে অবস্থান করছিল এবং নায়ক বিভিন্ন ধরনের অঙ্গভঙ্গি দেখাচ্ছিল তখন তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে নায়িকার কাছে আসে। নায়িকার কাছে বিচার দিতে থাকে৷ নায়ক এরকম কাজগুলো করছে৷ তখন নায়ক ইচ্ছে করেই এই কাজগুলো করছিল৷ তবে সেটি কেউই জানতো না৷ নায়িকা যখন তাকে জিজ্ঞাসা করে সে এরকম করেছে কিনা৷ তখন নায়ক বলে যে হ্যাঁ করেছে তো কি হয়েছে৷ নায়ক এমন একটা অঙ্গভঙ্গি নিয়ে কথা বলছিল যে সে বাড়ির কাজ করতে করতে একেবারে মেয়েদের মত হয়ে গিয়েছে৷ সে মেয়েদের মতোই অঙ্গভঙ্গি করছে৷ মেয়েদের মতোই কথা বলার চেষ্টা করছে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নায়িকা যখন এই বিষয়টি দেখে তখন সে অনেক হতবাক হয়ে যায়। সে বলে যে তাকে আর বাড়ির কাজ করতে হবে না৷ সে অফিসের কাজই করবে৷ তখন নায়ক অনেকটাই খুশি হয়ে যায়৷ সে বলে যে এতদিন ধরে সে এই প্ল্যান করার পরে আজকে সেই প্ল্যান সাকসেস হয়েছে৷ আজকের এই প্ল্যান সাকসেস হওয়ার মাধ্যমে নায়িকা আবারো তার নিজের কাজের দিকে ফিরে এসেছে৷ নায়কের কাজের যে কষ্ট সেটিও সে বুঝতে পেরেছে৷ এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
**খুবই সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি। আসলে এই নাটকের মধ্যে একেবারে বাস্তবিক একটি ঘটনাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি৷ তবে কারো কাজের মূল্য আমরা কেউই বুঝতে পারি না৷ কোন কাজে বেশি কষ্ট বা কম কষ্ট সেটি আমরা কোনোভাবেই বুঝতে পারি না৷ নাটকের মধ্যেও সেরকমই হচ্ছিল৷ তবে যখন নায়িকা নায়কের কাজ নিয়ে নেয় এবং নায়ক নায়িকার কাজ নিয়ে তারা রিভার্স হয়ে যায় তখনই তারা বুঝতে পারে আসল কষ্ট।
তাদের দুজনের কাজেই কষ্ট রয়েছে৷ কেউই কোন ধরনের কষ্ট ছাড়া কাজ করেনি৷ হয়তো কারো কাজে একটু বেশি অথবা কারো কাজে একটু কম৷ তবে কাজ ছোট হোক কিংবা বড় হোক কাজ মানে কাজই৷ কাজের মধ্যে কোন লজ্জা নেই এবং কাজের ক্ষেত্রে কোন ভাবে কোন ধরনের অবহেলা অথবা অসম্মান করা উচিত নয়৷ আমাদের বাস্তবিক জীবনে আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখতে পাই যেখানে যারা একটু নিম্ন পর্যায়ের কাজ করে তাদেরকে মানুষ বলে মনে করাও যেন অপরাধ হয়ে যায়৷
কারণ কিছু উঁচু পর্যায়ের মানুষজন ছোট কাজকে অপছন্দ করেন। তারা মানুষগুলোকে কোনভাবেই কোন ধরনের কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্ব তো দেয়ই না, তাদেরকে কোনভাবেই কোন ধরনের সম্মান প্রদর্শন করে না । এভাবেই আমাদের এই সমাজে উঁচু পর্যায়ের মানুষ নিচু পর্যায়ের মানুষদের অনেক ধরনেরই মনোভাব তৈরি হয়ে থাকে৷ যাই হোক এই নাটকের মধ্যে বাস্তব ঘটনাকে খুবই ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।**
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৮/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
আমাদের সবার ক্ষেত্রে এমন হয় অন্যের কষ্টকে খুব সহজ মনে হয়। আর নিজের কষ্টকেই সবথেকে বড় মনে হয়। এজন্য নায়ক নায়িকা একজন আরেকজনের কাজ করতে গিয়ে অন্যের কষ্টটা টের পেয়েছে। নাটকটি বাস্তবসম্মত লেগেছে আমার কাছে। সময় পেলে দেখতে হবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/Nevlu123/status/1839847121115328587
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপনি। আপনার নাটক রিভিউ দেখে ভালো লেগেছে। বেশ চমৎকারভাবে নাটক রিভিউ করে দেখিয়েছেন আপনি। অনেক অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করতে দেখে। নাটকটা বেশ দারুন ছিল।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নাটক রিভিউ। আসলে ভাইয়া আর যে ফারহান এর নাটক আমি বেশ কয়েকটা দেখেছি। তাছাড়া এই অভিনায়কের নাটক গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই নাটকের কিছু অংশ দেখতে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আসলে এটা একেবারে ঠিক, কেউ কারো কাজের কষ্টটা ভালোভাবে বুঝে না। নায়ক-নায়িকা ও একে অপরের কষ্ট বুঝেনি, কিন্তু রিভার্স নেওয়ার পর বুঝতে পেরেছে ভালোভাবে। কষ্ট ছাড়া কোনো কাজ করা যায় না। প্রত্যেকটা কাজে অনেক কষ্ট রয়েছে। বাস্তবতাকে তুলে ধরা হয়েছে এই নাটকের মধ্যে। সময় পেলে আমি নাটকটা দেখার চেষ্টা করবো।
আসলে মুশফিক আমার অন্যতম একজন প্রিয় অভিনেতা। তার প্রায় সকল নাটকগুলো আমার খুব ভালো লাগে। ঠিক তেমন একটি নাটক আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এই নাটকটি পড়ে কিন্তু আর দ্বিতীয়বার দেখার প্রয়োজন নেই কারণ আপনি খুব সুন্দর ভাবে নাটকটির সারসংক্ষেপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ করেছেন আপনি। আসলে নাটকের রিভিউ পোস্ট দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যে নাটকটি আমি দেখি নাই সে নাটক দেখার সুযোগ হয়। কারণ সব সময় আপনারা সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ করে থাকেন। চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ।
নাটক দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।ফারহান এর নাটক আমার খুব ভালো লাগে। আসলে কোন কাজ কষ্ট ছাড়া নেই। কারো কাজ কম বা বেশি হতে পারে। তবে আপনি নাটকটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন। নাটকের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো সময় পেলেই নাটকটি দেখার চেষ্টা করব।