বাদাম বিক্রি করা একটি ছেলের গল্প।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
বাদাম বিক্রি করা একটি ছেলের গল্প।
প্রোগ্রামে থাকাকালীন
https://maps.app.goo.gl/x5As5wxcBx8KYUVPALocation
কিছুদিন অনেক বড়সড় একটা প্রোগ্রাম এ গিয়েছিলাম। অনেক বেশি মানুষের ভিড়ে সামনের দিকে চেয়ার পাইনি, পিছনে বসতে হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে প্রোগ্রাম একের পর এক পর্বগুলো চলতেই লাগলো।এই অবস্থায় একটি ছেলে বাদাম বিক্রি করতেছে দেখতে পেলাম।
তখন ছেলেটিকে ডেকে বললাম এদিকে আসো এবং ছেলেটি আসলো এবং আমাদের সামনের চেয়ারে বসলো। তারপর আমরা তিনজনে ৩০ টাকা করে ৬০ টাকার বাদাম নিলাম এবং তাকে দুষ্টুমি ছলে বলে ফেললাম, বাদাম বিক্রি করতে করতে তো অনেক বড় ধনী হয়ে যাবে তুমি। তোমার এই বাদামের ঝুড়িতে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন কেজি বাদাম হবে। কিন্তু তুমি এগুলোকে যে দামে বিক্রি করতেছো তাহলে তো তুমি কোটিপতি হয়ে যাবে।
সত্যি বলতে ছেলেটার সাথে মজা করেই এ কথাটি বললাম। তখন ছেলেটি বলল ভাইয়া আসলে আপনারা যেভাবে বিষয়টা ভাবেন এভাবে মোটেই নয়। তখন একথা বলে ছেলেটা কিছুক্ষণের জন্য চুপ থাকে। এদিক থেকে আমরা জিজ্ঞেস করি তাহলে বিষয়টা এরকম না হলে কি রকম বলতো দেখি।
তখন ছেলেটি বলে আমার এই বাদাম বিক্রি করার পিছনের গল্প, আপনারা শুনলে অবাক হবেন। তখন ছেলেটি শুরু করল তার গল্প বলা। আর আমরাও হা করে তার গল্পের কথা গুলো শুনতে ছিলাম। বাবা মারা যাওয়া ছেলেটি কোন চাকরি না পেয়ে এক চাচার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে বাদাম বিক্রি করতে শুরু করে।
ছেলেটি প্রতিটি রোডের মোড়ে, স্কুলের পাশে, মেলার পাশে, বাজারে বাজারে, বিভিন্ন প্রোগ্রামে, ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করি, কিন্তু কেন? কারণ একটাই তার চার বছর ও ছয় বছরের একটি ভাই ও বোন রয়েছে। আর তারা তিন ভাই বোন একটা বস্তিতে থাকে। তবে তাদের মা এবং বাপ কেউই নেই।এ অবস্থায় সে বাদাম বিক্রি করে তার বোন এবং ভাইয়ের খরচ চালায়,আর নিজেদের পেটের দায়ে ভাই বোন দুজনকে বাসায় রেখে সে এই কর্ম করে।
আবার এটা শুনে অবাক হলাম যে তার একটা ভাইকে সে একটি মাদ্রাসায় পড়াচ্ছে । আর তাও এই বাদাম বিক্রি করে। তখন ছেলেটি বলল ভাইয়া দেখেন কোটিপতি হওয়া তো দূরের কথা, যে টাকা পাই সে টাকা দিয়ে ভাই বোনের খরচ ও চালাতে কষ্ট হয়।
সত্যি বলতে গল্পটি খুবই সংক্ষেপে আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম। তবে এমন শত শত ছেলে রয়েছে, যারা এভাবে প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদের রুজি রুটি জোগাড় করছে। আর তাদের এইসব বাদাম বিক্রির পিছনে রয়েছে অনেক বড় বড় ঘটনা যেটা হয়তো আমরা উপর থেকে দেখতে পাই না। যাই হোক বন্ধুরা গল্পটি কেমন লেগেছে সেটা জানাবেন ধন্যবাদ।
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আশা করি আগামিতে ভিন্ন রকম গল্প নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | গল্প |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | |
অবস্থান | https://maps.app.goo.gl/x5As5wxcBx8KYUVPA |
https://twitter.com/Nevlu123/status/1582385591127134209?s=20&t=qx1LRhLcfBeAmhAY6cyCmA
আসলে ভাইয়া এই ধরনের ঘটনাগুলো শুনলে সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। কিন্তু একটা জিনিস খুবই ভালো লাগলো এত কষ্ট করে বাদাম বিক্রি করে সে তার ভাই বোনের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। একটা ভাইকে সে মাদ্রাসাতে পড়াচ্ছে। আসলে বাবা মারা যাবার পরে প্রতিটি মানুষের জীবনই যেন এলোমেলো হয়ে যায়।
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই খুশি হলাম। খুব সুন্দর ভাবে মন্তব্যের আনসার দিয়েছেন, সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া বাবা মা সব সময় সন্তানদের উপর বট গাছে মতো থাকে ৷ বাবা মা না থাকলে জীবন এমনি ৷ আর চাকরি তো সোনার হরিণ ৷ ছেলেটি বাদাম বিক্রি করে ভাই বোনের ছোট সংসার চালাচ্ছেন সাথে একটি ভাইকে সে মাদ্রাসাতে পড়াচ্ছে জেনে ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তব জীবনের গল্পটি শেয়ার করার জন্য ৷
একদম ঠিক বলেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য। মন্তব্যটি খুবই ভালো লাগলো।
আশা করি ভাইয়া, ভালো আছেন। আসলে পৃথিবীতে কোন কাজই ছোট নয়। সৎ ভাবে লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কাজ করে যাওয়া উত্তম । তার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। তার কর্মের উপর পরিবারের অনেক সদস্যের নির্ভরশীল। ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আমাদের মাঝে
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য,।
We support quality posts anywhere and any tags.
Curated by : @adeljose
Thanks for the support, also big thanks to my dear friend @adeljose for supporting me,Stay safe
এ ধরনের আসলে অনেক শিশু রয়েছে যারা এভাবে শ্রম দিয়ে নিজের ফ্যামিলি মেম্বারদেরকে চালায়।আর সেরকম একটি সত্য ঘটনা আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই গল্পটি পড়ে, খুব চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।