পাঁচ মিশালী মাছ কেনার অভিজ্ঞতা পর্ব-২
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
সেখানে একটি ছোট রং চায়ের দোকান ছিল, তাকে জিজ্ঞাসা করলাম ভাই আজকে কোন মাছ পাওয়া যাবে না। তখন তিনি বলে আচ্ছা আমি আমার ভাইকে ফোন করে দেখি। কারন তার ভাইও মাছ ধরে অন্য সাইডে। তখন সে তার ভাইকে কল দিল তখন তার ভাই বলল তারা অনেক দূরে আসতে আসতে সন্ধ্যা হবে।
যাই হোক কি আর করার ওই ভাইটার জন্য অপেক্ষায় রইলাম, কখন সন্ধ্যা হবে কখন মাছ আনবে, কখন কিনব। তারপর আমরা আবার পুনরায় চা খেতে খেতে ওই ভাইটাকে বললাম আপনার ভাইকে আরেকটি কল দেন কতটুকু এসেছে, আমরা চলে যেতে হবে।তখন তিনি আবার কল দেন এবং তার ভাই বলে তারা এখনো নদীতে, এখনো মাছ নিয়ে ওঠেনি নদী থেকে।
এরপর আমাদেরকে লোকেশন দিয়েছে একটা জায়গাতে, সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে আমাদের কাছে মাছগুলো বিক্রি করবে। তখন আমরা সেখানে গেলাম যাওয়ার পরে দেখি তাদেরকে সেখানে দেখা যাচ্ছে না। এরপর হঠাৎ দেখতে পাই নদী দিয়ে একটি নৌকা এবং কয়েকটি জেলে যাচ্ছিল, চিৎকার করে তাদেরকে বললাম ভাই মাছ আছে? তখন তারা বলল না ভাই, মাছ নেই। মাছ বিক্রি করে ফেলেছে তারা আরো আগে।
Location
#Device:S.G-M32
তারপর আমি এবং আমার ছোট ভাই সেখান থেকে আবার পুনরায় ফিরে গেলাম মিয়াজির ঘাটে, সেখানে দোকানদারকে বললাম উনি তো এখনো আসে নাই, আর কোন জেলে ওখানে নাই।তখন দোকানদার আবার ফোন করে তার ভাইকে, তার ভাই বলে তারা রওনা হচ্ছে, মাত্র সিএনজিতে উঠেছে মাছ নিয়ে। আমরা যেন আরেকটি বাজারে গিয়ে দাঁড়াই।
তারপর আমরা সেখান থেকে আবার পুনরায় আরেকটি বাজারে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম।অপেক্ষা করতে করতে হঠাৎ করে যখন চিন্তা করলাম আজকে আর কেনা হবে না। কারণ অনেক লেট হয়ে গেছে, কিন্তু তার আসতেছে না। নাকি অন্য কারো কাছে বিক্রি করে ফেলছে। এই রকম চিন্তা করতে করতে হঠাৎ দেখি একটি সিএনজি থেকে দুই-তিনটি লোক বাইরে নামছে।
Location
#Device:S.G-M32
আর একজন আমাকে হাত দিয়ে সাড়া দিচ্ছে। কারণ ওই লোকটা আমাদেরকে চেনে এর আগে থেকে। কারন আমরা তার ভাইয়ের দোকানে বসতাম, আমাদের ওই হিসাবে চেনে।যার কারণে দেখেই ইশারা দিচ্ছিল, আর তার ভাইও তাকে বলছে যে আমরা বাজারে ওদের জন্য অপেক্ষা করছি।
তারা সিএনজিকে ভাড়া পরিশোধ করে একটা জায়গাতে মাছগুলো নিয়ে রখলো। তখন প্রায় সন্ধ্যা,অন্ধকার অবস্থায় তখন আমি মাছগুলো দেখলাম এবং দেখতে পাই অনেক ধরনের মাছ এর মধ্যে শামিল রয়েছে।
তারপর সেই মাছগুলো রাখার সাথে সাথে কয়েকটি কাস্টমার সেখানে এসে ভিড় করে।আর সবাই জিজ্ঞাসা করতে থাকে, মাছগুলো কত করে কেজি। তখন ওই মাছওয়ালা তাদের কারো সাথে কথা না বলে আমাকে বলে ভাই কতগুলা লাগবে সবগুলা নিয়ে যান ৭০০ টাকা করে দিয়েন। তারমানে এখানে যত মাছ আছে সব রকমের মাছ মিক্স ৭০০ টাকা করে দিতে চাচ্ছে।...
ভেবেছি আজকে পর্বটি শেষ করে দেবো কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আজকেও শেষ করতে পারলাম না। আগামী পর্বে ইনশাআল্লাহ শেষ করে ফেলব।
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আশা করি আগামী পর্ব নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো আবার। আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
ফোনের বিশদ বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
বিভাগ | মাছ কেনার অনুভূতি (ফটোগ্রাফি) |
মডেল | M32 |
ফটোগ্রাফার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | শুধু সেচুরেশন |
অবস্থান | বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
https://twitter.com/Nevlu123/status/1593421956639911937?s=20&t=RLoF6w4XLOciPIA6iOi1Rg
আপনার পাঁচমিশালি মাছগুলো দেখে অনেক ভালো লাগল। আসলে নদীর মাছ সব সময় পাওয়া যায় না। আর অন্য মাছের তুলনায় নদীর মাছের দাম ও স্বাদ দুটোই অনেক বেশি। যাইহোক দেখা যাক পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করলাম।
সবসময় সুন্দর মন্তব্য করে, পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
এ ধরনের নদীর পাঁচমিশালী মাছ গুলো খেতে ভালই লাগে একেবারে টাটকা ফ্রেশ মাছ আপনারা পেলেন। কতগুলো মাছ ৭০০ টাকা করে নিলেন সেটা তো বললেন না। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরে মাছগুলো পেয়েছেন এটাই বড় কথা। আর ছেলেটা জানে যে আপনারা তার জন্য অপেক্ষা করছেন এই জন্য অন্যের কাছে না দিয়ে আপনাদেরকে দিতে চাইলো। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে।
একদম ঠিক বলেছেন, কারণ ছেলেটার ভাই তাকে ফোন করে বলে দিয়েছিল। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
নদীর মাছগুলো কিনতে আপনার তো তাহলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে ভাইয়া। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া লেগেছে আপনার। তবে শেষ পর্যন্ত কি হলো সেটাই বুঝতে পারছি না। আশা করছি পরবর্তী পর্বে সবকিছু জানতে পারবো। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য, আগামী পর্বে সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে। ব্যস্ততার কারণে পুরো পর্বটি লিখতে পারিনি।
নদীর মাছ খেতে আসলেই খুব ভালো লাগে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, বাজারে নদীর মাছ কম পাওয়া যায়। চাষের মাছের তো কোন স্বাদ পাওয়া যায় না। ঘাটে গিয়ে অথবা পরিচিত কারো মাধ্যমে নদীর মাছ কিনতে পারলে সেটা খুবই ভালো। পাঁচমিশালী মাছগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে ভাই। এতো সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আজকেও শেষ করলেন না ভাইয়া🤨। যাই হোক এই পাঁচমিশালী মাছ কেনার জন্য অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন দেখছি। অবশ্য দৌড়াদৌড়ি করার পর যদি এরকম সুস্বাদু মিশালি মাছ পাওয়া যায় তাহলে কষ্ট টাই সার্থক হয়ে যায়। আর এরকম নদীর থেকে টাটকা মাছ নিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। বিভিন্ন ধরনের মাছ রয়েছে এখানে দেখছি। আমার দেখে তো মনে হচ্ছে যে আমিই কিনে নেই। যাই হোক পরবর্তী পর্বতে দেখা যাক আপনারা মাছ কিনতে পারলেন কিনা।
মাত্র অবশ্যই কিনেছি তবে একটু হয়রানি হয়েছি আর কি। তবে আগামী পর্ব শেষ করে ফেলব, কারণ ব্যস্ততার কারণে পুরো ঘটনাটি লিখতে পারিনি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
পাঁচমিশালী মাছ খেতে আপনাকে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে দেখছি। বেশ কয়েকবার এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হয়েছে। যাইহোক অবশেষে এত স্বাদের মাছগুলো পেয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এত টাটকা মাছ আর সেই স্বাদের মাছ খেতে খুবই মজার হবে। পাঁচমিশালী মাছের মধ্যে চিংড়ি মাছ গুলো দেখে আমার ভীষণ লোভ যাচ্ছে। মনে হচ্ছে আপনার বাসায় যেচে গিয়ে দাওয়াত নেই। যাইহোক ভাই, পাঁচমিশালী মাছ নিয়ে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ে, চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমি তো মনে করলাম মাছগুলো কিনে নিয়ে খুব মজা করে খেলেন। মিয়াজির ঘাট থেকে দোকানদারকে দিয়ে অনেকবার ফোন করে মাছ বিক্রেতাকে পেতে অনেক কষ্ট হয়ে গেল। যাই হোক শেষ পর্যন্ত মাছ বিক্রেতা লোক গুলোকে ফেলেন। মাছগুলো কেজি ৭০০ টাকা করে সাইলো আপনাদের কাছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি কি মাছ কিনলেন এবং কিভাবে রান্না করলেন তা দেখার অপেক্ষায়। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে, চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য,।
মাছগুলো কিনতে দেখছি অনেক সমস্যা পোহাতে হয়েছে। একেবারে অনেক বার করে ফোন দিলেন মাছ বিক্রেতাকে। ভেবেছিলাম শেষ পর্যন্ত আর মাছ কিনতে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত যে মাছ নিয়ে এসেছে এটা দেখে ভালো লাগলো। সবগুলো দেখছি বিভিন্ন ধরনের মাছ। মোট কত কেজি মাছ কিনলেন এটা তো জানা হলো না। নিশ্চয়ই পরের পর্বে এটা জানতে পারবো।
ব্যস্ততার কারণে পুরো পর্ব শেষ করতে পারিনি। আগামী পর্বে শেষ হয়ে যাবে।
তার মানে মাছ কেনার জন্য সেদিন অনেক দৌড়াদৌড়ি করা হয়েছে। যদিও গল্পটা না লিখলে বুঝতে পারতাম না, কারণ আমাকে তো বলা হয়নি। তবে অবশেষে মাছ ঘরে এসেছে এটাই অনেক ভালো লাগলো অনেকগুলো মাছ পেলাম।
সেটাই, অনেক দৌড়াদৌড়ি হয়েছে, অনেক কিছু বলা হয় না বাইরের ঘটনা। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।