কক্সবাজার ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন (লাবনী বীচে সমুদ্রে ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দেওয়া।)
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
কক্সবাজার ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন (লাবনী বীচে সমুদ্রে ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দেওয়া।) |
---|
গত পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম আমরা যেদিন কক্সবাজার গিয়েছি সেদিন হোটেল রুম বুকিং করে, যে অবশিষ্ট সময় ছিল সে সময়টি একটু হাটাহাটি করে, নাস্তা করে, বাসায় ফিরেছি। যথারীতি তখন আমরা রাতে খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নিলাম।কারণ আমরা এর আগে রেস্ট নেওয়ার সুযোগ পাইনি। তাই রেস্ট নেয়াটা জরুরী ছিল।
এরপর সকাল সকাল উঠে আমরা লাবনী বীচের একটি হোটেলে গেলাম নাস্তা করার জন্য। যখন নাস্তা করতে গেলাম আধা ঘন্টার উপর হয়ে গেল তাদেরকে অর্ডার দিয়েছি তারা অর্ডারটা নিলোই না।পরবর্তীতে আবার যখন বলতে গেলাম তখন বলছে যে কি লাগবে এখন বলেন। তখন মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল, যে আধাঘন্টা আগে অর্ডার দিয়েছি তারা অর্ডারটা নিলো না, এখন আবার বলতেছে নতুন করে অর্ডার দেওয়ার জন্য।
তখন সেই রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেলাম তারপর পাশে অন্য একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে নাস্তা করে নিলাম। নাস্তা করার পর আমরা চলে গেলাম লাবনী বীচে।আসলে সুগন্ধা বীচে অনেক জ্যাম, এত মানুষের ভিড়ে সেখানে সমুদ্রে নামাটা ঠিক হবে না। তাই লাবনী বীচে গিয়ে আমি এবং বিজয় দুজন মিলে পানিতে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম,এ অবস্থায় নিভৃত ও আমাদের সাথে পানিতে নামার জন্য কান্না শুরু করে দিল। তখন নিভৃতকে নিয়ে পানিতে একটু মজা করলাম। তবে সে পানিতে এগিয়ে যেতে রাজি পিছাতে রাজি নয়।
তারপরও তাকে অল্প কিছুক্ষণ পানিতে নিয়ে মজা করলাম। আর সেও অনেক মজা পেয়েছে পরে তার আম্মু এবং খালামণির কাছে রেখে আমরা পানিতে নেমে গেলাম। যাই হোক পানিতে নেমে আসলে তেমন একটা মজা পাচ্ছিলাম না। কারণ সেদিন আকাশটা হালকা মেঘলা ছিলো।তাই পানিতে কিছুটা ঠান্ডা ছিলো। আসলে ঢেউয়ের সাথে ডিকবাজি খেতে হলে পানি কিছুটা ঠান্ডা কম হতে হয় না হলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে পড়ে।
যাইহোক যতটুকু ঠান্ডা ছিল এতোটুকুর মধ্যে ঘন্টা দুয়েক পানিতে ডেউয়ের সাথে ডিগবাজি খেলাম, আর ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দিলাম কারণ কক্সবাজারের মূল আনন্দই হলো সমুদ্রে ঢেউয়ের সাথে ডিগবাজি খাওয়া।কিছুক্ষণ ডিগবাজি খাওয়ার পরে আমরা উপরে গেলাম। তারপর সেখান থেকে ঝাল মুড়ি খেলাম,তারপর কলা খেলাম।তবে আমরা সমুদ্রে নেওয়ার আগে তাদেরকে একটি সিট ভাড়া করে দিলাম।
যেহেতু আমরা সমুদ্রে নামছি তাই ওদেরকে একটি সিট ভাড়া করে দিয়েছিলাম। তারা সেই সিটে বসে আছে নিভৃত সহ। তাদেরকে ঝাল মুড়ি, কলা এগুলো দিয়ে আসলাম এবং তারাও সেগুলো খেল। এরপর আমরা আবার সমুদ্রে নেমে গেলাম। তবে আমরা যে জায়গায় নেমেছিলাম সে জায়গায় বড় ঢেউ আসছিল না। পরে আমরা একটু মাঝে চলে গিয়েছিলাম সমুদ্রের দিকে।ওখানে মোটামুটি ভালই ঢেউ আসছিল। সবগুলো ঢেউ বড় বড় ছিলো।বেশ মজা হিয়েছিলো সেই ঢেউ গুলোর সাথে কিছুক্ষণ পাল্লা দিয়ে। এরপর ঠান্ডা লাগছিল তাই চলে আসলাম সেখান থেকে।
তো বন্ধুরা আজ এতটুকু।আসলে কক্সবাজার ভ্রমণ ছোটখাটো বিষয় নয়।সেখানে যে কয়দিন ছিলাম সে কয়দিনের সব বিষয়বস্তু আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।আগামী পর্বে দেখতে পাবেন শামসুন্নাহার আপুর সাথে আমাদের সাক্ষাৎ কিভাবে হয়েছিল সেটি। তাই আজকে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আগামীতে ভিন্ন কিছু নিয়ে আবারও উপস্থিত হবো।কষ্ট করে ব্লগটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
https://x.com/Nevlu123/status/1769921254931194028?s=20
দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভাইয়া লাবনী বিচে আপনারা পরিবারসহ খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। নিভৃত পানিতে নামার জন্য কান্না করছিল জেনে খুশি হলাম, আসলে বাচ্চাদের নিয়ে এভাবে মজা করাটা আমার বেশ ভালই লাগে। আর আপনি ঠিকই বলেছেন সমুদ্র এগিয়ে আসল মজাটি হল সমুদ্রের ঢেউ এর সাথে ডিগবাজি খাওয়া। আর এই সময়টা আসলে একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব পানিতে মনে হয় তেমন একটা মজা করে ডিগবাজি করতে পারেননি ভাইয়া,? যাই হোক আপনার মাধ্যমে আমরা কক্সবাজারের লাবনী বিষের বেশ কিছু দৃশ্য দেখতে পারলাম। পরবর্তী ব্লগ এর অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া যে পোস্টে আমরা শামসুন্নাহার আপুর সাথে কিভাবে দেখা হল সে বিষয়ে জানতে পারব।
জি ভাই আসলে বাচ্চাদের নিয়ে এভাবে মজা করাটা আমারও বেশ ভালো লাগে।
পরিবার সহ দারুণ এক সময় পার করেছেন ভাই। কিছু কিছু রেস্তোরার এমন ব্যবহার প্রচন্ড খারাপ লাগে। ঘন্টা অপেক্ষা করিয়ে বলে কি লাগবে। তখন মন চায় ওদের নাক ফাটিয়ে দেই। আমার কক্সবাজার যাওয়া হয়নি এখনো। হয়তো সামনে এই শখ পুরন হবে। অপেক্ষায় থাকলাম ৩য় পর্বের।
কক্সবাজার ঘুরে আসলে আপনার ভালো লাগবে ভাই।
কক্সবাজার ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করলেন। আসলে লাবনী বিচে আপনারা অনেক আনন্দের সাথে মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছেন। বাবুকে অল্প পানির ভিতরে পা ভেজালেন এবং সে দিন ঠান্ডা ছিলো আর আপনি এই ঠান্ডা পানির ভিতরে প্রায় দুই ঘন্টা ডিগবাজি খেলেছেন। আসলে কক্সবাজার গেলে সমুদ্রের সাথে ডিগবাজির মুহূর্তগুলোই অসাধারণ, এটাই যেন প্রকৃত আনন্দ। যাই হোক সেখান থেকে উঠে গেলেন এবং শামসুন্নাহার আপুর সাথে কিভাবে দেখা হয়েছিল সেটা আগামী পর্বে জানতে পারবো। আশা করছি সেই পর্বটা আরো আকর্ষণীয় হবে।
জি ঠান্ডা ছিলো বেশি তাই মজা কম হয়েছে।
ভাই আপনার ভ্রমণের মুহূর্তে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। কক্সবাজার আমিও গিয়েছিলাম। আর এই সমুদ্রে বিচে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আসলে সমুদ্রের পেরেছে গেলে পানিতে ডিগবাজি খাব না সেটা কি করে হয়। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে সেই মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আর দুই ঘন্টা ঠান্ডা পানির ভিতরেই আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন। যাই হোক আপুর সাথে দেখা হয়েছিল আগামী পর্ব পড়ার সেই অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে সমুদ্রে বীচে আমার ও অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে ভাই।
নিভৃত তো পানিতে নেমে দেখছি ভীষণ খুশি। লাবনী বীচে সবাই মিলে সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন। সমুদ্রের মাঝখানে গিয়ে ঢেউ এর সাথে পাল্লা দিলেন। কক্সবাজারে আমার এখনো যাওয়া হয়নি। ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু নিভৃত পানিতে নেমে ভীষণ খুশি হয়েছে।
কক্সবাজারে গিয়ে পানিতে না নেমে থাকা যায় না। তবে বেশি মানুষ থাকলে মেয়েদের জন্য একটু ঝামেলা হয়ে যায় পানিতে নামতে। আমার ওয়াইফও পানিতে নামেনি। সিট ভাড়া করে দিয়েছিলাম তাকে। তারপর আমি অনেকক্ষণ সমুদ্রের পানিতে গোসল করেছিলাম। আমিও প্রথমে যেখানে ছিলাম, সেখানে বড় ঢেউ ছিলো না,পরবর্তীতে জায়গা পরিবর্তন করে আরও সামনে গিয়েছিলাম, যেখানে বড় ঢেউ ছিলো। বড় ঢেউ না থাকলে সমুদ্রের পানিতে নামতে ভালো লাগে না। পরবর্তীতে আমার ওয়াইফ সমুদ্র সৈকতে অল্প পানিতে হেঁটেছে বেশ কিছুক্ষণ। যাইহোক নিভৃত যে অনেক আনন্দ পেয়েছে, সেটা ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক ভাই কক্সবাজারে গিয়ে পানিতে না নেমে থাকা যায় না।আর আসল মজাতো পানিতে ভাই।
সমুদ্র সৈকতে গিয়ে ঢেউয়ের সাথে সাথে ডিকবাজি খাওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে বেশি ইন্টারেস্টিং লাগল। যদিও এরকম কখনো করে দেখেনি। তবে এটাও সত্যি কথা যে, সমুদ্রের জল ঠান্ডা থাকলে বেশিক্ষণ সেখানে থাকা যায় না, শরীর খারাপ করে। তবে তারপরও আপনারা মোটামুটি বেশ ভালই আনন্দ করেছেন যেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম ভাই। ভালো লাগলো আপনার ভ্রমন বিষয়ক পোস্ট টা পড়ে।
ঠিক ভাই সমুদ্রের জল ঠান্ডা থাকলে বেশিক্ষণ সেখানে থাকা যায় না, শরীর খারাপ করে।তাই সমুদ্র থেকে উঠে চলে আসছি।
ঠিক কাজ করেছিলেন ভাই। এটা না করলে আবার দেখা যেত শরীর খারাপ করে বসেছে।
জি ভাই ঠিক।💓💓
আসলে সুগন্ধা পয়েন্টে অনেক লোকজন সেজন্য সেখানে না নামাই ভালো। বিশেষ করে ফ্যামিলির ক্ষেত্রে লাবনী লাবনী পয়েন্টই পারফেক্ট। যাইহোক নিভৃত কিন্তু অনেক মজা পেয়েছে।
ঠিক ফ্যামিলির ক্ষেত্রে লাবনী পয়েন্টই পারফেক্ট।