জেনারেল রাইটিংঃ- বর্তমানে সুস্থ থাকাটা একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে।

বর্তমানে সুস্থ থাকাটা একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়।

mask-4934337_1280.jpg
Source from pixabay

বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন কি বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। সত্যি বলতে এখন প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার রিঅ্যাকশনের কারণেই মূলত নিজেদেরকে সুস্থ থাকতে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়। অন্যথায় খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়তে হবে। এখন চারিদিকে শুনতে পাওয়া যায় প্রতিটি ঘরেই একটা না হয় একটা অসুস্থতা লেগেই আছে। সর্দি কাশি তো যেন একদম নিকট আত্মীয় অনবরত লেগেই আছে।

যেমন এখন শীতের সিজন, শীতের সিজনে সাধারণত শীত পড়বেই। মানুষ শীতের কাপড় পরিধান করে শীত নিবারণ করবে। রাতের বেলা শীত, দিনে রোদের আলোয় আবার রোদ পোহানোর একটা আমেজ থাকবে। কিন্তু বর্তমানে এগুলো প্রায় বিলুপ্তর দিকে। কারণ রাত্রি বেলায় ও শীত তেমন একটা পড়েনা। আর দিনের বেলায় দেখা যায় রোদ্রের অনেক তাপ দুই থেকে তিন মিনিটের বেশি রোদ্রে বসা সম্ভব নয়।অথচ একটা সময় আমরা দু তিন ঘন্টা বসে থাকতাম রোদে।

এখন দেখা যায় রাত্রে হয়তো শীত ভেবে কম্বল গায়ে দিই। কিন্তু দেখা যায় গরম লেগে উঠে। তখন চালাতে হয় ফ্যান,আবার ফ্যান চালালে দেখা যায় আবার ঠান্ডা লাগে। সবকিছুতেই যেন প্রতিকূলতা দেখা যাচ্ছে। আর এটাই মূলত প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা রিঅ্যাকশন।আর এই রিঅ্যাকশনের প্রভাবেই আমরা খুব সহজে অসুস্থ হয়ে পড়ি।

যাক এটা না হয় প্রাকৃতিকভাবেই সমস্যার কথা বললাম। এবারে আসুন মানুষের সৃষ্ট কিছু সমস্যার কথা বলি। যেগুলোর কারণে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত ভুগতে হয়, বা আমরা অসুস্থতা বোধ করি। ভালো থাকার জন্য আমাদেরকে খেতে হবে। আর খেতে গেলেই তো লাগছে ঝামেলা,সব ভেজাল আর ভেজাল।কি খাবেন কোনটার ভিতরে ভেজাল নেই?এখন কেনা সবকিছুতেই ভেজাল।

ফল কিনতে যাবেন সেখানেও ফরমালিন দেওয়া। সবজি কিনতে যাবেন সেখানেও অনেক অংশে ফরমালিন মিশ্রিত পানি দিয়ে সংরক্ষণ করা। শুকনো মুদি বাজারের কথা বলবেন সেখানেও দেখা গেছে তেলের মধ্যে ঝামেলা, আটার মধ্যে ঝামেলা, এক কথায় সবকিছুতেই ঝামেলা। মরিচের পাউডার কিনতে গেলে দেখা যায় সেখানে রং মিশ্রিত মরিচার পাউডার বিক্রি করতেছে। ভালো আতপ চাল কিনতে যাবেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে পলিশ করা সেন্ট মারা আতপ চাল বিক্রি করছে।

এভাবেই চলছে সমাজ আর এভাবেই আমরা খেয়ে কোনভাবে বেঁচে আছি। যার কারণে খুব সহজেই আমরা অসুস্থ হয়ে যাই। মূলত আমাদের আর তো কিছু করার নেই। আমরা ম্যাক্সিমাম পরিবারই কেনার উপরে নির্ভর করি। নিজেরা করে খাওয়ার প্রবণতা খুবই কম, যার কারণে কিনতে গেলে আমাদেরকে এ ধরনের ভেজাল যুক্ত খাবার কিনেই আনতে হয়। আর এটা খেয়ে আমরা অসুস্থ হতে হয়। এজন্যই মূলত সুস্থ থাকাটা চ্যালেঞ্জের একটি বিষয় হয়ে পড়েছে।

কারণ আপনি সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতেই হবে।আর সেটা হলো আমি বাজারের কোন জিনিস খাব না। কোন জিনিস মানে যেগুলোতে ম্যাক্সিমাম ভেজাল মিশ্রিত থাকে সে ধরনের জিনিস। তাহলে এটা আপনার জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে। আপনি যদি বাজার থেকে কিনে এনে না খান সেটার অল্টারনেটিভ ওয়ে আপনাকে তৈরি করে নিতে হবে। যেমন শাক সবজির ক্ষেত্রে বা ধান,চালের ক্ষেত্রে সেগুলো হয়তো অল্টারনেটিভ ওয়ে তৈরি করা যায়। এজন্যই মূলত সুস্থ থাকাটা অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

এরপর দেখুন মেডিসিন সেক্টরে সেখানেও দেখতে পাবেন যে ভেজালের সমাহার। কিছু কিছু মেডিসিন রয়েছে অযথা মানুষকে দেয়া হয়। যেগুলোর কোন উপকার এই অপকারও নেই। কিছু কিছু ওষুধ আছে যেগুলো আপনাকে অনেক খেতে হবে। তারপরে একটা রোগ এর সমাধান হবে। মূলত তারা সুস্থ হওয়ার জন্য সে ওষুধের মধ্যে যতটুকু পরিমাণে দেওয়ার কথা সেটা দেয় না। যার কারণে কমিয়ে দেওয়ার কারণে দেখা যাচ্ছে যে ওষুধ দুই পাতায় ঠিক হয়ে যেত। সেটা দশ পাতায়ও ঠিক হচ্ছে না।

এরপর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া যেসব ওষুধ রয়েছে, সে ধরনের ওষুধ গুলো বিভিন্ন কোম্পানি ডাক্তারের সাথে কন্টাক করে, ডাক্তারকে পার্সেন্টেজ দিয়ে, সে ওষুধগুলো লিখিয়ে দেয়।আর সেগুলো কিনে খাচ্ছে মানুষ।এইভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকেও মানুষের লস হচ্ছে। এভাবে মূলত নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর এজন্যই বর্তমানে টিকে থাকাটা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। যাই হোক বন্ধুরা বিষয়টি আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আজকে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এখানে বিদায় নিচ্ছি। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণজেনারেল রাইটিং
ক্যামেরা.মডেলএম ৩২
ক্যাপচার@nevlu123
সম্পাদনারিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থানবাংলাদেশ

images (2).png

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

images (2).png

IMG-20231214-WA0050.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
images (2).png

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

gifeditor_20181225_230443.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 6 months ago 

ভাই বাংলাদেশে বর্তমানে সুস্থ থাকাটা আসলেই চ্যালেঞ্জিং একটি ব্যাপার। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত ভেজাল খাবার খেয়ে যাচ্ছি। ছোটবেলা শুনতাম ফলমূল খেলে নাকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কিন্তু এখন দেখি ফরমালিন এর কারণে ফলমূল খেয়ে মানুষজন প্রতিনিয়ত অসুস্থ হচ্ছে। অসুস্থ হওয়ার পর যে ঔষধ খেয়ে সুস্থ হবে,সেটার উপায়ও নেই। কারণ ঔষধের মধ্যেও অনেক ভেজাল। আর আবহাওয়ার কথা কি বলবো, শীতকাল তো মনেই হচ্ছে না এখন। শুধুমাত্র ভোরবেলা একটু ঠান্ডা লাগে। তাপমাত্রা ঘনঘন পরিবর্তন হতে থাকে। এতে করে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়। অবশ্য এমন আবহাওয়ার জন্য আমরাই দায়ী। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত গাছপালা কেটে ঘর বাড়ি,কলকারখানা নির্মাণ করছি। মোটকথা প্রকৃতিকে একেবারে ধ্বংস করে দিচ্ছি। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

জি ভাইজান ফরমালিন এর কারণে ফলমূল খেয়ে মানুষজন প্রতিনিয়ত অসুস্থ হচ্ছে।

 6 months ago 

ভাই বর্তমানে ভেজাল খাবারে পুরনো পৃথিবী ভরে গেছে। মানুষ যদি খাবারে ভেজাল খায় তাহলে কিভাবে সুস্থ থাকবে! ভালো খাবার আর ভালো পরিবেশ ছাড়া মানুষের সুস্থ থাকা অসম্ভব।অনেক সুন্দর একটি চ্যানেল রাইটিং পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আসলে শীতের শুরুতে যেমন শীত পড়ে আবার গরম ধরে, আবার শীতের শেষে শীত পড়ে আবার গরম ধরে।

 6 months ago 

সুস্থতা মহান সৃষ্টিকর্তার দেওয়া অশেষ নেয়ামত। তবে বর্তমান সময়টা এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে বিভিন্ন ভেজাল জাতীয় খাবারের কারণে আর পরিবেশের কারণে মানুষের জেনো বিভিন্ন রোগবালার লেগে রয়েছে। আর মেডিসিনের কথা কি বলবো একটা যদি জেনুইন মেডিসিন খুঁজতে যায় ভেজাল ১০ রকমের পাবেন।

 6 months ago 

জি ভাই সুস্থ থাকাটা সুস্থতা মহান সৃষ্টিকর্তার দেওয়া অশেষ নেয়ামত বলতে হবে।

 6 months ago 

শীতে পারম্ভে এবং শীতের শেষে এই দুইটার সময় মানুষের জন্য খুব বিপদজনক। শীতের শুরুতে যেমন শীত পড়ে আবার গরম ধরে, আবার শীতের শেষে শীত পড়ে আবার গরম ধরে। আর এই সময়টা মানুষের সুস্থ থাকাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জিং। এরপরও বেশ কিছু নিয়ম-নীতির মধ্যে থাকলে কিছুটা সুস্থ থাকা যায়। সুস্থতা মানুষের একটা বড় নেয়ামত।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

ঠিক ভাই শীতের পারম্ভে এবং শীতের শেষে এই দুইটার সময় মানুষের জন্য খুবই বিপদজনক।

 6 months ago 

সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি যা পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ঠিকই বলেছেন আপনি। বর্তমানে সুস্থ থাকাটা বড় একটা চ্যালেঞ্জিং । এখন এমন একটা সময় চলছে যার মধ্যে বেশিরভাগই খাবারে ভেজাল । মানুষের সুস্থ থাকা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। আর এবারে শীতের সময় খুব একটা বেশি শীত পড়েনি। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 6 months ago 

জি আপু এখন এমন একটা সময় চলছে যার মধ্যে বেশিরভাগই খাবারে ভেজাল ।

 6 months ago 

একদম সঠিক কথা লিখেছেন সব গুলো।বর্তমানে সুস্থ থাকাটা একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়।শীতেও মাঝে মাঝে ফ্যান চালাতে হয়।গরমে কম্বল মুড়িয়ে থাকতে হয়।রোদে বেশি সময় বসলে তো শরীর পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। এমন আবহাওয়ার কারণে এবং খাবার গুলোতে ভেজাল থাকার কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকাটা একটা আশ্চর্যকর বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।ধব্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য।ভালো থাকুন সব সময়।

 6 months ago (edited)

আসলেই বর্তমানে সুস্থ থাকা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে পরিণত হয়েছে৷ যেভাবে প্রতিনিয়ত ভেজাল খাবার বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে এভাবে সুস্থ থাকা খুবই কষ্টসাধ্য৷ আমরা প্রতিনিয়ত যেসকল খাবার খেয়ে থাকি সবগুলোই ভেজালে ভরা থাকে। এমন কোন খাবার নেই যা ভেজাল থেকে মুক্ত রয়েছে৷ ফলমূল, শাকসবজি থেকে শুরু করে ওষুধ পর্যন্ত এখন ভেজাল দিয়ে তৈরি করা হয়৷ একইসাথে এখন যে শীতকাল তা তো মনেই হচ্ছে না৷ শুধু রাতের বেলায় কিছুটা ঠান্ডা পরে। তারপর পুরো দিন যেন গরমকালের মতই মনে হয়। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকবে৷ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷

 6 months ago 

একদম ঠিক ভেজাল খাবারের কারণে সুস্থ থাকা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57839.82
ETH 3132.70
USDT 1.00
SBD 2.43