শুধু তোমার জন্য নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শুধু তোমার জন্য নাটকের রিভিউ। |
---|
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | শুধু তোমার জন্য |
---|---|
পরিচালক | শাহ মোহাম্মদ রাকিব |
অভিনয় | মুশফিক আর ফারহান, কেয়া পায়েল, বাচ্চু , সমু চৌধুরী, মীনাক্ষী রায় |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ |
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
প্রথমে নাটকের মধ্যে দেখানো হয় সে বিদেশ থেকে নায়ক এসেছিল এবং তাকে তার মামা নিয়ে এসেছিল৷ যখন সে বাড়িতে আসে তখন সকলের সাথে সে দেখা করছিল এবং সকলে তাকে দেখে অনেকটাই খুশি হচ্ছিল৷ কারণ সে অনেকদিন পরে বিদেশ থেকে এসেছে৷ তার মায়ের সাথে সে দেখা করে এবং মামার সাথে তার এয়ারপোর্টে দেখা হয়েছিল৷ মামা অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে ছিল তাকে রিসিভ করার জন্য৷ এরপরে যখন মামা থাকে রিসিভ করে এরপর বাড়িতে নিয়ে আসলো এরপর সে তার দাদার সাথে দেখা করলো৷ দাদার সাথে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলছিল এবং তিনি তাকে অনেক বেশি পরিমাণে ভালোবাসতো৷ কারণ তিনি চোখে দেখতেন না এবং তিনি এক জায়গায় সারাক্ষণ বসে থাকতেন৷ ছোট থেকেই তিনি তার নাতিকে আদর করে যাচ্ছেন। এখনো তিনি তাকে অনেক বেশি পরিমাণ আদর করে। তাই সে যখন আসে তার দাদার সাথে দেখা করে এবং তারা দুজনে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলছিল। সে যখন নায়িকার সাথে দেখা করে নায়িকা নায়কের উপর অনেকটাই রাগান্বিত ছিল৷ কারণ সে যখন বিয়ে করেছিল তার কিছুদিন পরেই নায়ককে দেশ থেকে চলে যেতে হয়েছিল৷ তার জন্য নায়িকা তার সাথে কথা বলতে চাইলো না৷ এরপর যখন নায়ক ভালোভাবে তাকে সব কিছু বোঝালো৷ তখন নায়িকা আবারো গলে গেল এবং তার সাথে কথা বললো৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর রাতের বেলা সকলে একসাথে বসেছিল এবং বিদেশ থেকে যা কিছু এনেছিল সব কিছুই বের করছিল৷ একের পর এক সব কিছুই সকলকে দিচ্ছিল৷ নায়ক তার বোনের জন্য কিছু জিনিস এনেছিল৷ তার মামার জন্য কিছু জিনিস এনেছিল এবং তার ভাইয়ের জন্য একটি মোবাইল এনেছিল৷ পরবর্তী সময়ে সকলকে সবকিছু দিয়ে দেওয়ার পরে নায়ক একটি স্বর্ণের গহনা বের করে৷ যখন এই গহনাটি সে বের করেছিল তখন তার বোন ভেবেছিল যে এটি তার জন্য এনেছে৷ তখন সে বলে যে সে এটি নায়িকার জন্য এনেছে৷ সে কখনো নায়িকা কোন কিছু দিতে পারিনি৷ তাই এবারে সে এই গহনার এনেছে নায়িকাকে দেওয়ার জন্য। তখন নায়কের বোন অনেকটাই চুপ হয়ে যায় এবং সে এই বিষয়টি দেখে অনেকটাই রাগান্বিত হয়ে যায়৷ সে এই বিষয়টি এখন প্রকাশ করেনি৷ চুপচাপ বসে ছিল৷ একইসাথে নায়কের মামাকে সে অল্প কিছু জিনিস দিয়েছিল৷ তাই তিনিও অনেকটা রাগান্বিত ছিলেন৷ তিনি তার বোনকে বলছিলেন যে সে এত কষ্ট করে তাকে বিদেশ পাঠিয়েছে এবং তার জন্য শুধু এই অল্প কয়েকটা জিনিস এনেছে৷ তার বউয়ের জন্য এত সুন্দর একটি গহনা এনেছে৷ এই বিষয়গুলো নিয়ে সকলেই নায়কের মাকে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নায়কের বোন নায়কের মাকে বলছিল যে সে বিয়ে করার পরে বদলে গিয়েছে৷ পূর্ববর্তীতে সে যা কিছু আনতো সব কিছুই বেশি বেশি করে তাদেরকে দিয়ে দিত৷ তবে এবারে আসার সময় সে তাদের জন্য কিছুই আনেনি৷ সে সব কিছুই তার বউয়ের জন্য এনেছে৷ তখন নায়কের মা প্রথমে বলছিল যে তার বউয়ের জন্য আনবে না তো কারো জন্য আনবে৷ পরবর্তী সময় হয়তো তাদের জন্য আনবে। তখন নায়কের বোন বলতে থাকে যে সে আসার সময় দুটি লাগেজ এনেছে কিন্তু তার মধ্যে একটিমাত্র শুধু তাদের সামনে খোলা হয়েছে৷ অন্য একটি এখনো খোলা হয়নি৷ সেটি এখনো তাদেরকে দেখায়ওনি৷ তখন তার মায়ের কানে কানে বলতে থাকে যে শুধুমাত্র তাদেরকে একটি গহনা দেখিয়েছে৷ কিন্তু সেই ব্যাগের মধ্যে হয়তো তার শ্বশুর বাড়ির জন্য অনেক কিছু এনেছে। এরকম কুমন্ত্রণা নায়কের বোন তার মাকে দিতে থাকে৷ তখন তিনিও এই বিষয়টি বিশ্বাস করেন এবং তিনি ভাবতে থাকেন যে আসলে তার ছেলে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। এরপর তিনি নায়িকাকে ডেকে পাঠান এবং বলেন যে তার স্বামী তার জন্য গহনা এনেছে সেই গহনা কি তাদের একবার দেখারও সুযোগ হবে না৷ তিনি নায়িকাকে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকেন৷ তিনি আরো বলতে থাকেন যে যদি সে গহনাটি পড়ে তাদেরকে দেখিয়ে যেত তাহলে কি তারা সেই গহনাটি নিয়ে যেত৷ যাই হোক তখন নায়িকা বলে যে সে এখন এসে সেই গহনা তাদেরকে দেখাবে৷ তখন নায়কের মা বলে দেখানো লাগবে না৷ এখন এখান থেকে চলে যাও। তখন নায়িকা সেখান থেকে চলে গেল৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর নায়কের যে বোন ছিল সে বলছিল যে সে এই বাড়ি থেকে চলে যাবে৷ তখন নায়ক বলে যে আরো কিছুদিন থাকার জন্য৷ নায়কের বোনের যে স্বামী ছিল সে এই বাড়িতে আসে না অনেকদিন হয়ে গিয়েছে৷ সে বলতে থাকে তাদের তাকে যেন এ বাড়িতে আসার জন্য বলে৷ তখন তাকে কল করে এবং বাড়িতে আসার জন্য বলে৷ আশার পূর্বে নায়কের বোন নায়ককে অনেক কিছুই বুঝাচ্ছিল৷ কারণ তার একটি বাইকের প্রয়োজন ছিল এবং সে বাইক নায়ককে কিনে দেওয়ার কথা বলছিল৷ তবে নায়ক তখন কিনে দিতে পারেনি৷ শুধুমাত্র এই কারণেই নায়কের বোন নায়ককে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে তার টাকা আয়োজন করতে বলে৷ তখন নায়ক বলে সে দেখবে কিভাবে টাকা আয়োজন করা যায়৷ সে বলতে থাকে বাইকের দাম কত৷ এরকম ভাবে সকলের বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে বলতে একটা সময় নায়ক সেই টাকার ব্যবস্থা করে দেয়৷ তাকে সেই টাকা দিয়ে দেয়৷ যাতে করে সে বাইক নিতে পারে এবং সে অনেকটাই খুশি হয়ে যায়৷ তার বোনও অনেক খুশি হয়৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
পরবর্তীতে নায়কের যে ছোট ভাই ছিল সেই ছোট ভাইকে কিছু ব্যক্তি বলছিল যাতে করে তাকে যেন তার ভাই একটি ব্যবসা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য৷ যেহেতু সে এখন পড়ালেখা করবে না তার এখন কিছু একটা করা দরকার। তাই বিভিন্ন মানুষ তাকে বলছিল যে যেহেতু তার ভাই এখন বিয়ে করে নিয়েছে এবং তার ভাই এখন পরিবর্তিত হয়ে যাবে তাই যেন সে পরিবর্তিত হওয়ার আগেই তাকে কিছু ব্যবসা ধরিয়ে দেয়৷ তার জন্য সে তার মাকে এই বিষয়টি বলে এবং তার মা ও সেই বিষয়টিতে রাজি হয়ে যায়৷ তিনি নায়ককে একদিন রাতের বেলা বসায় এবং বসানোর পরে নায়ককে বলতে থাকে যে সে তো এখন সেটেল হয়ে গিয়েছে এবং সে অনেক টাকা-পয়সা নিয়ে সুখে আছে৷ এখন তার ছোট ভাইকেও দেখা দরকার৷ তখন সে বলতে থাকে যে সে এখনো লেখাপড়া করবে৷ তখন সে বলতে থাকে যে সে লেখাপড়া করবে না। তখন নায়কের মা বলতে থাকে যে সে যেহেতু এখন আর লেখাপড়া করবে না তাকে একটি ব্যবসা ধরিয়ে দেওয়া দরকার। তখন নায়ক জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে সে কি করতে চায়। তখন সে বলে সে একটি দোকান দিবে। তখন দোকানের জন্য কত টাকা লাগবে সে কথাটিও সে বলে৷ তখন নায়ক বলে সে টাকা দিবে এবং সে টাকা দিয়েও দিল এবং তার ভাই ব্যবসা শুরু করলো৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
পরবর্তীতে নায়কের অফিস থেকে তাকে কল করা হলো এবং তাকে তাড়াতাড়ি বিদেশ যাওয়ার জন্য বলা হলো৷ তখন নায়ক বলতে থাকে যে সে এখন ছুটিতে আছে সে কিভাবে দেশ থেকে চলে যাবে। তখন তার যে সকল কলিগরা রয়েছে তারা বলতে থাকে যে যারা ছুটিতে ছিল তাদের সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং কোম্পানিতে সমস্যা হওয়ার কারণে সকলকেই আবার অফিসে ডাকা হয়েছে। যারাই দেশে রয়েছে তারা সকলেই আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নায়কও যেন তাড়াতাড়ি তার অফিসে চলে আসে৷ তখন সে টিকিট কাটার জন্য যায় এবং যখন টিকিটের জন্য সে আবেদন করে এবং টাকার কথা বলাতে সে বলে যে কিছুদিনের মধ্যে টাকা ম্যানেজ করে দিবে৷ কারণ ইমিডিয়েট টিকেটের জন্য টিকেটের একটু দাম বেশি ছিল। নায়কের কাছে এতো টাকা ছিলনা৷ ফলে সে ওই ব্যক্তিটিকে বলে ঐ টিকেটটি রাখার জন্য৷ সে কিছুদিনের মধ্যেই টাকা নিয়ে আসবে৷ এরপর নায়ক তার মামার কাছে যায় টাকার জন্য৷ তবে তার মামা তাকে কোনমতে টাকা দেওয়ার জন্য রাজি ছিলেন না৷ কারণ তিনি ইচ্ছে করে টাকা দিতে চাচ্ছিলেন না৷ কারণ তিনি বিভিন্ন ধরনের কারণ দেখাচ্ছিলেন৷ তিনি বলছিলেন তার ঘরের কাজ ধরেছেন এবং তিনি ভেবেছিলেন নায়কের কাছ থেকে আরো টাকা নিবেন। অথচ নায়কই তার কাছ থেকে টাকা খুঁজছে। তার জন্য তিনি এখন টাকা দিতে পারছেন না। এর পর সে তার ছোট ভাইয়ের দোকানে যায়৷ এরপর নায়ক তার যে বোনের স্বামী ছিল তাকে কল করেন৷ তাকে বলতে থাকেন যে তার টিকেটের টাকা এখন মিডিয়েট টাকা প্রয়োজন হয়ে গিয়েছে৷ এখন তাকে টাকা দিতে পারবে কিনা৷ তখন তিনি বলতে থাকেন তিনি টাকা খরচ করে ফেলেছেন এরপর তিনি তার ছোট ভাইয়ের দোকানে গেলেন ছোট ভাইয়ের দোকানে যাওয়ার পর প্রথমে বলতে চাইলেন না৷ এর পরবর্তী সময় যখন তিনি এই কথাটি বললেন তখন তার ছোট ভাই বলতে থাকে যে সে অনেক লক্ষ টাকার মালের অর্ডার দিয়ে দিয়েছে এবং কিছুদিনের মধ্যে তার মাল চলে আসবে। তাই সে এখন টাকা কিভাবে দিবে। তখন সে মনে মনে বলতে থাকে যে আসলেই তার ভাই পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে৷ তখন সে বাসায় চলে আসে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নায়ক যখন এই কষ্টগুলো নিয়ে ছিল তখন সকলে তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তখন নায়িকা অনেকটাই কষ্ট পাচ্ছিল৷ একই সাথে নায়ক যখন সকলের কাছে যাওয়ার পরেও কারো কাছ থেকে কোন ধরনের টাকা পেল না তখন নায়িকা এই বিষয়টি তার বাবাকে জানালো৷ তার বাবার থেকে নায়িকা নিজের জন্য কিছু টাকা নিয়ে নিল৷ যাতে করে নায়ক বিদেশে চলে যেতে পারে৷ যখনই নায়িকা নায়ককে টাকা গুলো দেয় তখন নায়ক বলে যে নায়িকা টাকা কোথায় পেয়েছে৷ নায়ক বলে যে সে এই টাকা কোনভাবেই নিতে পারবে না৷ সে শশুরের টাকা দিয়ে কোন মতেই বিদেশ যাবে না৷ তখন নায়িকা বলে সে টাকা তার নিজের জন্য নিয়েছে৷ সে কখনোই তার বাবার কাছ থেকে কোন কিছু চায়নি। তাই এখন ২ লক্ষ টাকা চেয়েছে৷ তাই তার বাবা তাকে সাথে সাথেই দিয়ে দিয়েছে৷ সে যেন ওই টাকা দিয়ে বিদেশ চলে যেতে পারে৷ পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে সেট তার শ্বশুরকে টাকাগুলো ফিরিয়ে দিবে৷ কোন সমস্যা নেই৷ তারপরেও নায়ক টাকাগুলো নিতে চাচ্ছিল না৷ তাকে নায়িকা জোর করেই টাকাগুলো দিয়ে দিল৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
পরবর্তীতে নায়ক যখন বিদেশ যাচ্ছিল সেদিন নায়ক আবারো দাদার সাথে বসে বসে কথা বলছিল৷ তিনি সবকিছুই ভালোভাবে তাকে বুঝিয়ে বলছিলেন, যাতে করে সে যেন কোন কষ্ট না পায়৷ সে এখানে যা কিছু কষ্ট পেয়েছে সে আর কষ্ট আর কেউ বুঝুক আর নাই বুঝুক তিনি বুঝতে পারছেন৷ কারণ তিনি দেখতে না পারলে কি হয়েছে তিনি সব কিছুই শুনেছেন এবং সে তার মামার কাছ থেকে এবং বোনের স্বামীর কাছ থেকে যে কষ্ট পেয়েছে তা কোন মতে কাউকে বুঝতে দিচ্ছিল না৷ দেশ থেকে চলে যাচ্ছিল৷ সে সব টাকা খরচ করে ফেলেছে এবং হঠাৎ করে তার বিদেশ যাওয়ার আদেশ এসেছে৷ যার ফলে তার কাছে কোনো টাকাই ছিল না৷ সে তার মাকে খুব ভালোভাবে বুঝাচ্ছিল যাতে করে সে নায়িকার খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখে এবং সকলকে যেন ভালোভাবে রাখে ৷ এরপর নায়ক বিদেশ যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠে এবং এভাবে এই নাটকটি খুব সুন্দরভাবে শেষ হয়ে যায়৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুবই সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি৷ প্রথমে নায়ক বিদেশ থেকে আসে এবং সকলের জন্য অনেক কিছু নিয়ে আসে। যখন তারা সবকিছু নিয়ে তাদের ঘরে চলে গেল তখন কেউই খুশি ছিল না৷ সকলে বলছিল যে নায়ক পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে এবং সে শুধু তার বউয়ের জন্যই অনেক কিছু এনেছে৷ পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাবে নায়কের কাছ থেকে অনেক টাকা পয়সা সকলে নিয়ে নিয়েছিল৷ নায়কের বোনের যে স্বামি ছিল তাকেও নায়ক অনেক টাকা দিয়েছিল বাইক কেনার জন্য৷ একইসাথে তার ভাইয়ের ব্যবসা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিল৷ পরবর্তী সময়ে যখন নায়ককে অতি দ্রুত আবার বিদেশ চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিল তখন সে অনেকটাই টাকা শূন্য ছিল৷ তখন সে সকলের কাছে যায় টাকা চাওয়ার জন্য৷ তখন সকলেই তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়৷ এর পরবর্তী সময়ে নায়িকা তার বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে নায়ককে দেয়৷ সে টাকা দিয়ে না টিকিট কিনে এবং সে টিকেট নিয়ে নায়ক বিদেশে যায়৷ নায়ক যখন এই কষ্ট পাচ্ছিল তখন নায়কের যে দাদা ছিল তিনি খুব ভালোভাবে এই বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছিলেন৷ তিনি বলছিলেন যে সে যে কষ্টগুলো নিয়ে যাচ্ছে তা শুধু তিনি বুঝতে পেরেছেন৷ তখন নায়ক তার মাকে বলে যাতে করে তিনি সবাইকে ভালোভাবে দেখে শুনে রাখেন এবং সে গাড়িতে উঠে চলে যায় এবং নাটকটি এভাবেই শেষ হয়ে যায়।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৫/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![steempro....gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTE3978V85byJ3jjoLdrAFUo5xUhDe7Hp6bDUeqi9sW7p/20230619_2116256.gif)
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
আপনি বেশ সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন। মুশফিক আর ফারহানের নাটক গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা নাটক টি আমার দেখা হয়েছে। যাইহোক আপনার রিভিউ পড়ে আরেকবার দেখা ও পড়া হয়ে গেলো।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।।,
নাটকটা আমি দেখেছিলাম, আসলে নাটকটাতে বাস্তবতার চিএ ফুটে উঠেছে। আমাদের দেশে প্রায় অনেক বিদেশি মানুষের সাথে এমন ঘটনা ঘটে।আর মুশফিক আর ফারহান, কেয়া পায়েল অভিনিত নাটকটি বেশ ভালো লাগে আপনি বেশ সুন্দর করে নাটকের রিভিউ দিয়েছেন।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
কি আপু আসলেই নাটকটাতে বাস্তবতার চিএ ফুটে উঠেছে।
শুধু তোমার জন্য নাটকটা বেশ কয়েকদিন আগে আমি দেখেছিলাম। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল নাটকটা দেখতে। আর আপনি আজকে এই নাটকের রিভিউ পোস্ট লিখেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। নায়কের ফ্যামিলির অন্য সদস্যরা খুবই লোভী ছিল। তারা শুধু দামি দামি জিনিস চাইত। বাস্তবতার সাথে মিল রেখে এই নাটকটা করা হয়েছে। কারণ এরকম প্রবাসীদের জীবনে প্রচুর হয়ে থাকে। প্রবাসীরা দেশে আসলে খুশি হয় না তারা শুধু টাকা চায়। আর আসলেও তাদের জন্য অনেক দামি জিনিস নিয়ে আসেনি কেন এটার জন্য রাগারাগি করে। খুব সুন্দর করে পুরো রিভিউটা তুলে ধরেছেন।
ঠিক বাস্তবতার সাথে মিল রেখে এই নাটকটা করা হয়েছে।
খুবই শিক্ষনীয় একটি নাটক আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। যতক্ষণ না আপনার পকেটে টাকা থাকবে ততক্ষণ আপনার কোন মূল্য নেই। যখন আপনার পকেটে টাকা থাকবে তখন আপনার মূল্য। সে বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছে অনেক কিছু পাঠিয়েছে আপনজনদের পিছে খরচ করেছে তখন সবাই খুশি ছিল। আর এই মুহূর্তে যখন সে পুনরায় বিদেশে যাবে কাছে টাকা নেই সহায়তা আশা করেছিল কিন্তু উল্টা মনে কষ্ট নিয়ে বিদেশের দিকে রওনা দিল। আসলে এটা কিন্তু বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। এমনটাই হচ্ছে আজ আমাদের সমাজে।
জি সুমন ভাই এটা অনেক শিক্ষনীয় নাটক।
মুশফিক আর ফারহান এবং কেয়া পায়েল দুজনই বেশ ভালো নাটক করে। আমি অবশ্য আপনার শেয়ার করা নাটকটির কয়েকটি ক্লিপ দেখেছিলাম। কিন্তু ব্যাস্ততার কারনে পুরোটা দেখতে পারিনি। অবশ্য আজ আপনার রিভিউ পরে বেশ ভালো বুঝতে পেরেছি যে নাটকের মধ্যে কি ঘটেছিল। বেশ দারুন করে আপনি নাটকের রিভিউ করেছেন ভাইয়া।
জি আপু তাদেরকে আমার অনেক ভালো লাগে।
বিদেশীদের সাথে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন হয়। যতক্ষণ তারা দিতে পারে ততক্ষণ সবার আদরের থাকে। কিন্তু তাদের টাকা শেষ হয়ে গেলে তাদের বিপদে আর কেউ থাকে না। এই নাটকটিতে সেই বাস্তব বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছে মনে হচ্ছে। বেশ ভালো লাগলো নাটকটি। আপনিও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটাই বাস্তবতা আপু যতক্ষণ তারা দিতে পারে ততক্ষণ সবার আদরের থাকে।
শুধু তোমার জন্য নাটকটি খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন। এই রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। নাটকটি আমি দেখেছি, আসলে ফারহানের নাটকগুলো অসাধারণ হয়। ভালোবাসায় গেরা ছিল নাটকটি, অসাধারণ একটি নাটক আপনি সুন্দরভাবে রিভিউ করলেন, পড়ে ভালো লাগলো।
ঠিক ভাই ফারহানের নাটকগুলো অসাধারণ হয়।
https://x.com/Nevlu123/status/1771390360780190062?s=20
নাটক দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তবে এই পবিত্র রমজান মাসে কোন নাটক দেখা হয়নি। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনার নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব।এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মাঝে মাঝে দেখি আপু।
আমার কাছে ফারহানের নাটক গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। ফারহান অনেক সুন্দর নাটক করে থাকে সব সময়। শুধু তোমার জন্য এই নাটকটার সম্পূর্ণ কাহিনী বাস্তবতার সাথে অনেক বেশি মিল রয়েছে। আসলে আপনজনরা নিজেদের স্বার্থের কথাই চিন্তা করে সব সময়। ফারহানের প্রয়োজনীয় তারা এগিয়ে আসেনি। মানুষ তো তখনই আমাদের পাশে থাকে যতক্ষণ আমাদের কাছে টাকা আছে। আর ফারহানের ক্ষেত্রেও ঠিক এরকমটা হয়েছে। খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে এই নাটকের রিভিউ টা।
আমার কাছেও ফারহানের নাটক গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে।