ফিরে আসার গল্প-2, চতুর্থ পর্ব।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।

শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।

সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে।

ফিরে আসার গল্প-2, চতুর্থ পর্ব।

IMG_20221016_190341.jpg

গত পর্বে তাদের ডিগ্রী কমপ্লিট করা শেষ হলো, কিন্তু এখনো মিশুর কোন খোঁজ খবর পায়নি সুবর্ণা।

চতুর্থ পর্ব শুরু👇।

এদিক থেকে সমাজ এবং ফ্যামিলির সবাই তাকে অনেক কটু বাক্যে কথা বলতো এবং তাকে অন্য চোখে দেখতো। কেননা বিয়ের বয়স হয়ে যাচ্ছে কিন্তু মেয়েটির বিয়ে হচ্ছে না,এদিক থেকে মেয়েটি বিয়ে বসতে চাচ্ছে না ।সেজন্য মেয়েটি আরো বেশি ডিভিশনে ভুগে।

পরবর্তীতে কটু বাক্যে কথা শুনতে শুনতে একদিন মেয়েটি হ্যাঁ করে দেয় বিয়ের প্রস্তাবে।কারণ মেয়েটির কাছে আর কোন উপায় ছিল বিয়ে আটকানোর।এ যেন নিজের ভালোবাসার কাছে নিজেই হেরে গিয়েছিল।

সে ভেবেছে যাই হোক বিয়ের জন্য আমি এত বছর সেক্রিফাইস করে বসে আছি, কিন্তু মিশু আমার কোন খোঁজ নিল না।তাই যাই হোক অবশেষে নিজের ভালোবাসাকে নিজেই গলা টিপে হত্যা করল,এটা ভেবে বিয়েতে সে রাজি হয়ে গেল।

যাইহোক অনেক ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন চলছে। এদিক থেকে মিশুর বেস্ট ফ্রেন্ড সুবর্ণাকে বলল তুই এটা কি করলি তুইনা মিশুকে ভালোবাসিস তাহলে কিভাবে অন্য একটা ছেলেকে বিয়ে করতে যাচ্ছিস? তখন মেয়েটি কান্নাকাটি করে বলল আমি কি করবো বল?

আমি মিশুর জন্য ধুঁকে ধুঁকে মরছি এতদিন। মিশু আমাকে একটু আশা পর্যন্ত দেয়নি যে দুই বছর পর অথবা চার বছর পর আমি তোমাকে বিয়ে করব। তাহলে আমি কার জন্য এভাবে বসে থাকবো। আমারও তো ফ্যামিলি, সমাজ আছে।

সবাই আমাকে ধিক্কার দিচ্ছে। আমি আর পারছি না, তাই আমি ফ্যামিলির কথায় রাজি হয়ে গিয়েছি এবং আমার ভালবাসাকে গলা টিপে হত্যা করেছি।বাকিটা আগামি পর্বে।

IMG_20221016_190730.jpg

তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু , আশা করি আগামি পর্ব নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।

গত পর্ব গুলো এখানে👇

পর্ববিষয়পোস্ট লিংক
ফিরে আসার গল্প,১ম ও ২য় পর্বhttps://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/3zdjnf

আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক

images (2).png

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

images (2).png

20211126_191305.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
images (2).png

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণগল্প
ক্যামেরা.মডেলএম ৩২
ক্যাপচার@nevlu123
সম্পাদনা
অবস্থানবাংলাদেশ

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

gifeditor_20181225_230443.gif

Sort:  
 2 years ago 
ভাই আপনার পোস্টটি আমি পরিপূর্ণভাবে পড়লাম এই পোস্টটি পড়ে আমি থেমে গিয়েছিলাম, সুবর্ণা এবং মিশুর জীবনের কাহিনীর সাথে নিজের কাছের মানুষের একটা কাহিনী, অনেক মিল রয়েছে। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে।
 2 years ago 

অনেক ভালো লাগলো আমার কাহিনী এটা পড়ে, আপনি আপনার সাথে মিল খুঁজে পাচ্ছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আসলে বর্তমান সময়ের ভালোবাসার মধ্যে কোন দৃঢ়তা নেই যেটা সুবর্ণার ক্ষেত্রে দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। সুবর্ণা এমন পরিস্থিতিতে তার বিয়েতে রাজি হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। যাহোক, ভাইয়া পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ে খুব চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমাজের মানুষ এরকমই ধিক্কার দিয়ে থাকে, যেমনটি সুবর্ণাকে দিয়েছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

গল্পটি পড়ে খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে একটি মন্তব্য করেছেন, সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 66297.29
ETH 2682.98
USDT 1.00
SBD 2.87