স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী মেলা ২০২২ ভ্রমণ এর এক থেকে পঞ্চম পর্বের রিভিউ।১০% লাজুক-খ্যঁকের জন্য
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
https://maps.app.goo.gl/nNhzNacXU4EWg3qXA
নোয়াখালী মাইজদী, জেলা প্রশাসন কর্তিক আয়োজিত মুক্তির উৎসব ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী মেলা ২০২২ ভ্রমণ এর কিছু ফটো চিত্র, বা মেলার কিছু দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আমি আগেও বলেছি এই মেলাতে যাওয়ার পূর্বের উদ্দেশ্য ছিল, আমরা বন্ধুরা মিলে একটা জায়গাতে মিলিত হবো, এবং সেখান থেকে যখন ঘুরতে বের হই, তখনই মেলাটি দেখতে পাই।আর সেখানে কিছু সময় ব্যয় করি।
হ্যালো বন্ধুরা আজকের পোস্টে মুক্তির উৎসব ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী মেলা ২০২২ ভ্রমণ এর আমি আমার এক থেকে পঞ্চম পর্বের যতগুলো ফটোগ্রাফি ছিল, সবগুলো একই পোস্টে শেয়ার করব। কেননা যদি আমার কখনো মন চায় একই পোস্টে সবগুলো আমি দেখতে পাবো।
আমি বেত ফলের একটি ফটোগ্রাফি করি। যেটি টেবিলের উপরে পড়ে রয়েছে। আর এটা অনেকেই চিনেন আবার অনেকেই চেনেন না।
তারপর আরেকটু সামনে যেতেই দেখি পেপিনো মেলন নামে একটি ফল যেটি এই প্রথম দেখা হয়েছে। যদি ও আমরা ওয়াটারমেলন দেখতে পেয়েছি। তবে পেপিনো মিলন প্রথম দেখলাম, সেটার আরো কয়েকটি ফটোগ্রাফি করা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
তারপর ক্যাকটাস গাছের ফুল ধরা অবস্থায় একটি ফটোগ্রাফি করলাম এবং আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম।
তারপর ভিন্ন প্রজাতির তাল বেগুন এর কিছু ফটোগ্রাফি করলাম এবং দুই ভাগে আমি ফটোগ্রাফি করি। গাছে বেগুন ধরা অবস্থায়, আবার টেবিলের উপরে দুটো বেগুন কেটে রাখা অবস্থায়। তবে বেগুন গুলো প্রায় দেখতে তালের মত অনেক বড়োসড়ো, যদিও আমি জীবনে প্রথম দেখলাম।
তারপর একটা এরিয়াতে ধান চাষের প্রকল্পের একটি চিত্র আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম।
তারপর ককসিট দিয়ে বানানো বিএডিসি একটি হোম প্রজেক্ট ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনার সাথে তুলে ধরলাম।
তারপর আরেকটু সামনে ভিন্ন প্রজাতির লেটুসপাতা যেটি সালাত পাতা হিসেবে পরিচিত। সেটির আরও কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।
তারপর আরেকটু সামনে যেতেই দেখতে পাই খাঁচায় বন্দী লাভ বার্ড। তারা খাঁচার ভিতর উড়োউড়ি করতেছে। তখন সেখানে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
তারপর সেখানে আবার দেখতে পাই খরগোশের কিছু বাচ্চা একটি খাঁচার ভিতরে বন্দী। তখন সেখানে একটি ফটোগ্রাফি করলাম এবং আপনার সাথে সেই ফটোগ্রাফিও তুলে ধরলাম।
তো বন্ধুরা এখন আমি শেয়ার করতে যাচ্ছি তরমুজ চাষ প্রকল্পের একটি ফটো চিত্র, যেখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি তরমুজ গাছে একটি তরমুজ ধরে রয়েছে।
এরপর আপনারা দেখতে পাবেন একটি ফটো চিত্র যেখানে একটি পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরি করা হয়েছে। যেখানে হরেক রকম শাক সবজির গাছ রোপন করে দেখানো হয়েছে, যে এভাবে রোপন করে পরিবারের পুষ্টি বাগান তৈরি করতে পারেন ঘরের আঙিনায়।
এরপর আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কালো টমেটো এবং চেরি টমেটো। যেখানে অনেকগুলো কাল টমেটো ধরে রয়েছে এবং লাল চেরি টমেটো অনেক গুলো রয়েছে। সেগুলোর কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম।
মেলার একটি কর্ণারে অনেকগুলা ফুলগাছ সেখানে রেখে দেওয়া হয়েছে। সে কর্ণারে কয়েক রকমের ফুল গাছ একসাথে সাজানো রয়েছে। সেখানকার কয়েকটি ফটো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
তারপর বিভিন্ন রকম বীজ বা শাক সবজির বীজ দিয়ে একটি মানচিত্র বানানো হয়েছে। সে মানচিত্র টা দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে। সেটা আমি একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
তারপর মরিচ ও টমেটো দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বানানো হয়েছে। সেটি একটু ভিন্ন ইউনিক ওযয়েতে। আর সেই কারণে সেটার ও একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
তো বন্ধুরা এইবার দেখতে পাচ্ছেন একটি খাবার দোকান, বা খাবারের স্টল যেখানে বিভিন্ন রকমের খাবার রয়েছে, এবং যারা দর্শনার্থী তারা এখান থেকে কিনে কিনে খাচ্ছে।
এর পর যেটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে একটি দোকানে পুতি দিয়ে খুব সুন্দর করে কিছু জিনিস বানানো হয়েছে। যেমন গাড়ি এবং আরও বিভিন্ন জিনিস। আবার কিছু মোড়া বানানো হয়েছে যেটি হস্তশিল্পের আওতায় পড়ে। সেখানকার একটি ফটোগ্রাফ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
তারপর দেখতে পাচ্ছেন বড় একটা বিল্ডিং কে ছোট আকারে তৈরি করা এবং সেটি প্রদর্শনী করা হচ্ছে। আর আমি সেখানকার দুটি ফটোগ্রাফি তুলে ধরলাম।
তারপর একটি স্টলে বসে রয়েছে কয়েক জন পুলিশ, যেখানে তারা কোন আইনের কোন ধারা অথবা কোন অপরাধের কি শাস্তি। বা আইন সংক্রান্ত যে তথ্যগুলো, সেগুলো নিয়ে তারা নিয়ে বসে রয়েছে। আর যারা যাচ্ছে তাদেরকে এ বিষয়ে সর্তকতা জানাচ্ছে।
তারপর দেখতে পাচ্ছেন একটি দোকানে অনেক রকম বীজের সমাহার রয়েছে। খাঁটি সরিষার তেল সহ বিভিন্ন রকম বীজ যেমন,বাদাম, বুট, এরকম আরো অনেক কিছু রয়েছে।
এবার বড় একটা মেশিন দেখতে পাচ্ছেন, এটি হচ্ছে ধান কাটার মেশিন। এই মেশিন দিয়ে ধান কাটলে ধানের যে গাছগুলো বা খড় গুলো আলাদা হয়ে পড়ে, এবং ধানগুলো আলাদাভাবে জমা হতে থাকে।
এরপর যে মেশিনটি দেখতে পাচ্ছেন এটির নাম রিপার এবং এটি দিয়ে ধান এবং গম দুইটি কাটা যায়। সেটার একটা ফটো তুলে ধরলাম আপনাদের সাথে।
এরপর যেটি দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার। যেটা দিয়ে সারিতে ধানের চারা রোপন করা হয়। এটি অনেক উপকারী কৃষকদের জন্য এবং ধান চাষের জন্য।
এরপর যেটা দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে একটি দোকানে জিমের কিছু ম্যাটেরিয়ালস নিয়ে একটি লোক বসে রয়েছে। যেখানে জিমের যে বিশেষ যন্ত্রাংশগুলো সেটা উপস্থিত রয়েছে।
এরপর কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম কবুতরের যারা খাঁচায় বন্দি রয়েছে। যদিও তারা শান্তির প্রতীক, শান্তভাবে খাঁচায় বন্দী অবস্থায় কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।
এরপর যেটি দেখতে পাচ্ছেন এটি কয়েক ধরনের বা কয়েক জাতের ফসলের বীজ। যেমন গম ধান সরিষা তিল এরকম অনেকগুলো বীজের সংরক্ষণ কৃত কিছু কোটা আমি ফটোগ্রাফি করলাম।
এরপর যেটা দেখাতে দেখতে পাচ্ছি ভার্মি কম্পোস্ট রয়েছে সেটার একটি ফটোগ্রাফি করলাম।
এরপর একটি ধানের নাম রয়েছে এবং কিছু ধানের বীজ রয়েছে এটাকে বলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ধান-100
এরপর বিভিন্ন জাতের আলু সংরক্ষণ রয়েছে যেখানে কয়েকটি জাত বিদ্যমান।
তো বন্ধুরা এই ছিল এক থেকে পঞ্চম পর্বের ফটোগ্রাফি, এবং আশা করি সব গুলো ফটোগ্রাফি এক সাথে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেরেছি। ভালো থাকবেন সবাই।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনের সাথে নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি কারণ আমি বাংলা বলি তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | সেচুরেশন |
অবস্থান | https://maps.app.goo.gl/nNhzNacXU4EWg3qXA |
আপনাদেরই মেলাটা আসলেই খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ। এই ধরনের মেলা আমি আগে কখনো দেখিনি। বেশ কিছু নতুন জিনিস দেখতে পেলাম এখানে। যেমন কালো টমেটো, পেপিনো মেলন। আর অনেকদিন পর আপনার পোষ্টের কল্যাণে বেত ফল দেখতে পেলাম। এটা এখন শহরে একদম দেখাই যায়না। রাইস প্লান্টিং মেশিন কি বাংলাদেশে বানানো?
সত্যি বলতে ভাই আমি অনেক কিছু দেখতে পেলাম এই মেলার মাধ্যমে। আর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আর রাইস প্লান্টিং মেশিনটি আসলে কোথায় তৈরি হয়েছে সেটা জানা নেই। সম্ভবত বাংলাদেশের তৈরি না। ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট টি ভিজিট করে সময় নিয়ে মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন সবসময়।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী মেলা টা বিষয়ে আপনার বেশ কিছু পোস্ট দেখলাম। সত্যি অনেক বৈচিত্র্যময় মেলাটা। এই ধরনের মেলা আমাদের দিকে আয়োজন করা হয় না। অনেক সুন্দর ছিল সবগুলো পোস্ট। এবং ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে সবগুলো পোস্ট একএে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আসলেই মেলাটি তে বিভিন্ন রকম দ্রব্যাদি এবং উদ্ভিদ তুলে ধরা হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টগুলো রিভিউ করে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
আপনার সুবর্ণ জয়ন্তী এর কয়েকটি পোস্ট আমি দেখেছিলাম।তবে কিছু কিছু বাদ পরেছিলো।আজ রিভিউ এর মাধ্যমে দেখা হয়ে গেলো।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে পোস্টগুলো আপনার দেখা বাকি ছিল সেগুলো আজকে দেখে খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন সবসময়।
মেলাটা সত্যিই অনেক চমৎকার ছিল, এবং ইতিমধ্যেই আমি আপনার বেশ কয়েকটি পর্ব দেখেছি অনেক চমৎকার উপস্থাপনা ছিল। আর এবারও খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি পর্বের রিভিউ দিয়েছিলাম অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আমার পোস্ট এবং রিভিউটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই আনন্দিত হলাম এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মনমুগ্ধকর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এই ছবিগুলো দেখিয়ে বরাবরই আমার হিংসে টা বাড়িয়ে দিচ্ছেন ।একা একা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে চলে যান ।কিন্তু আমি ছবি দেখেই হিংসে করতে থাকি ।তবে দারুন ছিল সবকিছু ,ইচ্ছে ছিল ঘুরতে যাওয়ার সেখানে।
হিংসা করে লাভ নেই কারণ কেউ কেউ চাইলেও সেখানে যেতে পারবে না তবে যারা যেতে পারবে না। আর তাদের জন্য এ ফটোগ্রাফি গুলো। যাইহোক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন সবসময় এই কামনা করি।
আপনার মেলার ফটোগ্রাফি গুলো আবারো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি করেছেন, এরকম ফটোগ্রাফি এর আগে কখনো দেখা হয়নি। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য এভাবে পাশে থাকবেন এই কামনা করি।
পাখির ছবি গুলো বেশি ভালো লাগছিল। ধন্যবাদ আপনার মেলার ভ্রমণের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
শুভ ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও খুব মূল্যবান সময় দিয়ে একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনা করি।