ট্রেনে করে কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রথমত চিটাগাং যাওয়া।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
ট্রেনে করে কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রথমত চিটাগাং যাওয়া। |
---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখে আংশিক হলেও বুঝে গিয়েছেন কোন বিষয় আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।তবে পুরো ব্লগটি পড়লে পুরাটাই ক্লিয়ার হয়ে যাবেন। মূলত আজকে কক্সবাজার যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তের কিছু ঘটনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।তো বন্ধুরা বেশি ভূমিকায় না গিয়ে সরাসরি মূল পর্বে ফিরে যাই।
অনেক আগে থেকেই কক্সবাজার যাব যাব চিন্তা করতেছিলাম, কিন্তু সময় সুযোগ হয়ে উঠছেনা।এদিক থেকে ব্যস্ততায় দিন যাচ্ছে, সব মিলিয়ে হিমশিম অবস্থায় ছিলাম। যার কারণে কক্সবাজার যেতে পারিনি।তবে অবশেষে অনেক বড় একটি ঝামেলা শেষ হওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নিলাম যে কক্সবাজার যাব। আর ওই ঝামেলাটা শেষ হওয়ার পরপরই আমরা টিকেট কেটে ফেলি। মূলত এতদিন যাওয়া হচ্ছে না ওই সমস্যার কারণে। যেহেতু এটি সমাধান হয়ে গেছে তখনই চিন্তা করলাম আর দেরি না করে ঝটপট টিকেট কেটে নেই।
যদিও প্রতিবার কক্সবাজার বাসে গিয়েছি, তবে এবছর @bristy1 বাসে যেতে রাজি নয়। আর এদিক থেকে কক্সবাজার যাওয়ার নতুন ট্রেন সংযোগ চালু হয়েছে। তাই বাসে না গিয়ে চিন্তা করলাম ট্রেনে করেই যাই। এখন বিষয় হচ্ছে আমরা ফেনী থেকে ট্রেনে করে যেতে পারবো না। কারণ ফেনী থেকে কক্সবাজার ডাইরেক্ট কোন ট্রেন নেই। যদিও ঢাকা থেকে ডাইরেক্ট কক্সবাজার আছে, আবার চিটাগং থেকেও কক্সবাজার আছে। এক্ষেত্রে বলতে গেলে কক্সবাজার ট্রেনে করে যাওয়ার জন্য আমরা ফেনী বাসি সুবিধা বঞ্চিত।
তবে ট্রেন যেহেতু চট্টগ্রাম থেকে যাচ্ছে, তাহলে তো একটা উপায় আছে। তাই প্ল্যান করলাম ট্রেনে করে প্রথমে চট্টগ্রাম, তারপর সেখান থেকে আবার ট্রেনে করে কক্সবাজারে যাব। প্রথমত চিটাগাং গিয়ে সেখানে মামাশ্বশুরের বাসায় উঠবো। তারপর আবার ট্রেনে করে কক্সবাজার যাবো। আর এই প্ল্যান করেই টিকেট কাটা হলো। এবারে আসুন টিকিট কাটা নিয়ে ঝামেলা। সাধারণত ছয় দিন আগে টিকিট কাটতে হয় অনলাইনে, না হলে ট্রেনের টিকেট পাওয়া বড় মুশকিল।আর সেটা এখন টাইম বাড়িয়ে ১০ দিন আগে টিকিট কাটার সিস্টেম করেছে। যাই হোক চট্টগ্রামের টিকেটটা অ্যাভেলেবল পাওয়া যাবে।
এখন কথা হচ্ছে আমাদের কক্সবাজারের টিকিট টা পেলেই হয়। যেহেতু নতুন চালু করেছে ট্রেন, সেই হিসেবে পর্যটক অনেক বেশি এবং বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সীরা নিজেরাই টিকিটগুলো কেটে রাখে এবং চড়াদামে বিক্রি করে,সে ক্ষেত্রেও ঝামেলা থাকে।যাইহোক যখন টিকিট কাটতে গেলাম তখন দেখা যায় একটা টিকেটও বাকি নাই সব বুক হয়ে গেছে। পরে চিন্তা করলাম পরের দিনেরটা যখন টিকেটগুলো আনলক হবে তখনই কাটবো। যে চিন্তাধারা সেই কাজ প্রথমেই কক্সবাজারের টিকেটটা কেটে নিলাম। যেহেতু কক্সবাজারের টিকেট কাটা হয়ে গেল, এরপরে কাটলাম ফেনী থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার টিকেট।
যাই হোক যথারীতি টিকিট কাটার দশ দিন পরে রওনা দিলাম ফেনীর উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে যথারীতি ট্রেনের অপেক্ষায়।এদিকে রেল স্টেশনে আসলে আবার নিভৃত অনেক বেশি মজা পায়। রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে খুব মজা করে হাটছিল সে।আর যখন ট্রেন আসে তখন একদম অবাক হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে। যদিও ট্রেনের আওয়াজ বা ট্রেন তার কাছে নতুন কিছু নয়। কারণ ফেনীতে রেল স্টেশনের পাশেই আমি বাসা নিয়েছিলাম তিন মাসের জন্য, বৃষ্টির আইলস চলাকালীন। যার কারণে ট্রেনের আওয়াজ নিতান্তই তার কানে পৌঁছাতো।আর মাঝে মাঝে রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে গিয়ে হাঁটা চলাফেরা করতাম নিভৃতকে নিয়ে। সে কারণে হয়তো তার পরিচিত বা সে মজাই করছিল সেখানে।
ট্রেনটা যদিও ২০ মিনিট লেটে এসেছে, তাতে কোন আপত্তি নেই কারণ কোথাও দাঁড়ায়নি একটানা দেড় ঘন্টার মধ্যেই আমরা চট্টগ্রাম পৌঁছে গেলাম। এরপর সেখান থেকে একটা সিএনজি নিয়ে চলে গেলাম মামা শ্বশুরের বাসায়। সেখানে যাওয়ার পরে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। আর যেহেতু আমরা সেখানে পৌঁছাতে পৌছাতে তিনটা বেজে গিয়েছিল, তাই আর নাস্তার আয়োজন না করেই সরাসরি লেবুর শরবত দেয়া হয়। এর পরপরই খাওয়ার দেয়া হয়। যাইহোক খাওয়া-দাওয়া খেয়ে নিলাম সবাই মিলে এবং কিছুক্ষণ রেস্ট করলাম।
রেস্ট করার পরেই আমার ওয়াইফ বলল তার মামার বাসা যেখানে তার অল্প কিছুদূর জাম্বুরি পার্ক নামে একটি জায়গা আছে,আর সেটি নাকি খুব সুন্দর। যাই হোক বললাম ঠিক আছে চলো যেহেতু ঘুরতে বেরিয়েছি তাহলে ঘুরে আসি।তখন সবাই রেডি হয়ে গেলাম জাম্বুরি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। তো বন্ধুরা আজ এতটুকু আগামীতে বাকি পর্বগুলো দেখতে পাবেন। সবার সুস্থতা কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ । |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে রয়েছি, আর সেই প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://x.com/Nevlu123/status/1755052160713453690?s=20
আসলে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর হয়। আমার কাছে বাস থেকে ট্রেন জার্নি সবচেয়ে বেটার। শুধু আমার কাছে না সবার কাছেই হবে আশা করি। যাইহোক, সেই ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে তার পাশাপাশি কক্সবাজার গিয়ে দারুন সময় অতিবাহিত করবেন সেটাই প্রত্যাশা করি। আমাদের সাথে ট্রেন জার্নির মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া কোথাও যাওয়ার কোন প্ল্যান থাকলে। আগে থেকে সকল সুবিধার চিন্তা ভাবনা করে এগুলে মনে হয় সব কিছুতে ভালো হয়। তবে আপনারা যে, সকল ব্যস্ততা কাটিয়ে অবশেষে টিকেট কেটে রওনা হলেন তার জন্য আপনাদের জানাই শুভ কামনা। আমাদেরও ডিসেম্বর কি জানুয়ারিতে যাওয়ার প্লান ছিল। ওই যে, বললেন ব্যস্ততা বা ঝামেলা। আমাদেরও সে বড় একটি ঝামেলার বা ব্যস্ততা কারণে ক্যান্সেল করতে হল। তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন আছে কিন্তু দশ দিন আগে থেকে টিকিট কাটতে হবে এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।দেখি আমাদেরও ঝামেলা শেষ হলে যেতে পারি। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। খুব সুন্দর করে কক্সবাজার ও তার আশেপাশের সুন্দর প্রকৃতির মাঝে অপূর্ব কিছু সময় কাটিয়ে আসেন।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কেনা যায় না আসলেই। সবগুলো টিকেট বিভিন্ন এজেন্সি গুলো কিনে ফেলে। যাইহোক আপনারা ট্রেনে করে ফেনী থেকে চট্টগ্রাম চলে গিয়েছেন। তারপর সেখানে আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন। জাম্বুরি পার্কের নাম অনেক শুনেছি। আশা করি জাম্বুরি পার্কে বেশ মজা করেছিলেন আপনারা। পরবর্তীতে কক্সবাজার গিয়েছেন এবং এখন তো নিশ্চয়ই কক্সবাজারে আছেন এবং আপনারা দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন। যাইহোক পরবর্তী পর্ব গুলোর অপেক্ষায় রইলাম ভাই।