শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।

ফিরে আসার গল্প, প্রথম পর্ব।

একটি ছেলে একটি মেয়েকে খুব বেশি পছন্দ করতো এবং একে অন্যের জন্য এক কথায় জান দিতে পারতো। এরকম একটি সম্পর্কের বিষয়ে আপনাদের সাথে আজকে আমি শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

ছেলেটার নাম ছিল পাহাড়,আর মেয়েটার নাম ছিল মেঘ।মেয়েগ ও পাহাড়ের খুব চমৎকার একটি জুটি ছিল।তারা প্রতিনিয়ত একে অন্যের ছত্রছায়ায় থাকতো। তারা চুপিসারে তাদের ভালোবাসাকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যায়। সম্পর্ক বিয়েতে গড়ানোর আগেই ছেলেটি হঠাৎ করে মেয়েটিকে না বলে কোথাও হারিয়ে যায়।

তখন মেঘ পাহাড়ের খোঁজ না পাওয়াতে মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাকে দীর্ঘদিন সেইক্রেটিসের কাছে নিয়ে ট্রিটমেন্ট করানো হতো। কেননা সে এত বেশি ভালবাসত ছেলেটিকে, এখন ছেলেটি হঠাৎ করে হারিয়ে যাওয়ায় মেঘ সে জিনিসটি সামলাতে পারেনি।যার কারণে সে মানসিক রোগী হয়ে হয়ে পড়েছিল। এই মেঘকে হসপিটালে ভর্তি করানো হয়েছিল।

একদিন মেয়েটি দেখতে পেল যে হসপিটালের বারান্দায় একটি ছেলে আনাগোনা করেছিল। সেই ছেলেটিকে দেখে মেঘ চিনতে পারে যে আসলে এটাই তার পাহাড়।তখন তাকে চিৎকার করে ডাক দেয় এবং ছেলেটি কাছে আসে।তখন দেখে যে না সেটি পাহাড় ছিল না অন্য একটি ছেলে।

তার মানে বুঝতেই পারছেন মেয়েটির মাথায় অনবরত ছেলেটির ছবি, কাল্পনিকভাবে হলেও ধারণ করে রয়েছে। যাই হোক মেয়েটিকে অনেক টাকা খরচ করে সুস্থ করা হয়। সুস্থ হওয়ার পরে হঠাৎ মেয়েটি তার পুরনো বিষয়গুলো এবং পুরনো জায়গা গুলোতে ঘুরতে গিয়ে, হঠাৎ করে তার পিছনের কথা আবার মনে পড়ে যায়, এবং মেয়েটি পুনরায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে।

আর দ্বিতীয়বার অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রথমবারের চাইতে। তখন মেয়েটিকে পাগলা গারদে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। কারণ সে দ্বিতীয়বার পাগল হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক তখন পাগলা গারদের ডাক্তার বলছিল যে মেয়েটিকে যদি সুস্থ করতে হয় তাহলে ওই ছেলেটিকে মানে পাহাড়কে দরকার। অন্যথায় কোন উপায় নেই মেয়েটিকে সুস্থ করার এবং কোন মেডিসিনের কাজ হবে না।

তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু , আশা করি সামনে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।