প্রতাবপুর জমিদার বাড়ি / বড় বাড়ি পর্ব 2
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের সামনে ছোট্ট করে একটি ভৌতিক বাড়ির গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আসলে যেই বাড়িটির গল্প বলতে যাচ্ছি সেই বাড়িটির নাম হচ্ছে প্রতাবপুর বড়বাড়ি। যেটি ফেনী সেবার হাট প্রতাবপুর গ্রামে অবস্থিত।
সেই রাজার বংশধর মাঝেমধ্যে আসতেন সেখানে,আর সেটি ছিলো একমাত্র পূজার সময়। পূজাতে রাজা তার পরিবারের সবাই নিয়ে আসতেন এবং অনেক বিশাল করে আয়োজন করতেন।আবার পূজা শেষে তাদের সামগ্রী গুলো একটি রুমের মধ্যে আবদ্ধ করে চলে যেতেন।
পরক্ষণে দেখা যেত পরেরবার পূজাতে এসে দেখতে পেতেন, কিছু জিনিস পত্র তাদের গরমিল রয়েছে। তার মানে কেউ না কেউ চুরি করে নিয়েছে। সেই থেকে আর রাজা সেখানে আর কোন জিনিসপত্র রাখত না।পূজা শেষে সবটা সাথে করে নিয়ে চলে যেতেন।
এরপর থেকে তারা শুধু প্রতিবার পূজাতে আসেন, পূজা শেষে চলে যায়। কিন্তু বাড়ি ঘর যেভাবে পড়ে রয়েছে, সেভাবেই রেখে চলে যেতেন। এদিকে বাড়িতে শ্যাওলা পড়ে রয়েছে, দেওয়ালে বড় বড় গাছপালা উঠে দেওয়াল গুলো নষ্ট করে ফেলছে। আর এদিক থেকে পুরো বাড়িঘর দেখতে ভৌতিক একটি পরিবেশ তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
Location
দিনের পর দিন জঙ্গল গ্রাস করে নিচ্ছে সে বাড়ি ঘর গুলোকে। এই অবস্থায় মানুষ ঘুরতে যায়, তা শুধু দেখতে বাড়ি গুলোর পরিণতি। আর অনেকেই সেখানে হরর শুটিং করতে যায়,নাটক অথবা শর্ট ফিল্মের জন্য।যদিও লোকোমুখে কিছু ভৌতিক ঘটনা সেখানে শোনা গিয়েছে। তবে সেটার সত্যতা যাচাই কেউ করেনি।
লোকোমুখে শোনা গিয়েছে রাত্রি বেলায় সেখানে কারো যাওয়া হয় না। কারণ সেখানে গেলে কান্নার আওয়াজ শোনা যায়।তাই কেউ ভয়ে সেখানে যাওয়ার সাহস করে না।আমরা অনেকবার গিয়েছি তবে সেটি দিনে এবং বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে বিভিন্ন ঘরগুলো ঘুরে বিভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি করেছি।
Location
যদিও আমাদের সামনে এই রকম এবনরমাল কোন ঘটনা ঘটেনি। কারণ আমরা অনেক লোক একসাথে সেখানে যেতাম। দুইটা অথবা তিনটা মোটরসাইকেলে করে যেতাম।আর আমরা দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসতাম।যার কারণে ওই রকম কিছু আমাদের চোখে পড়েনি। তবে এটা ঠিক রাত্রিবেলা কিছু একটার আনাগোনা থাকতে পারে সেটা আমরা বাড়িঘরের অবস্থান দেখে বুঝতে পেরেছি।
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আশা করি আগামীতে ভিন্ন রকম গল্প নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
ফোনের বিশদ বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
বিভাগ | গল্প (ফটোগ্রাফি) |
মডেল | M32 |
ফটোগ্রাফার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | শুধু সেচুরেশন |
অবস্থান | বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
https://twitter.com/Nevlu123/status/1588006650199171072?s=20&t=a0vj18pUGZZH-qSWWwJMDQ
আপনাদের তো বেশ সাহস এরকম ভূতের গল্প শোনার পরেও সেখানে গিয়েছেন দেখার জন্য। তাছাড়া রাজা ঠিক কাজই করেছে এরকম চুরি হয়ে গেলে সেখানে জিনিস রেখে লাভ কি। এজন্যই তো সব নিয়ে গিয়েছে। আসলে আমার মনে হয় ভূতের গল্প মানুষের সাজানো। এরকম অনেকদিন পরিত্যক্ত বাড়ি হলে একটু ভূতেরে টাইপের হয়ে যায়। যাই হোক পরবর্তী অপেক্ষায় রইলাম।
সেজন্যই পরবর্তীতে তারা জিনিসপত্র নিয়ে চলে যেতেন ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপনার এ প্রতাপপুর জমিদার বাড়ি নিয়ে প্রথম পর্বটাও পড়েছি দ্বিতীয় পর্বেও এসে আপনার আজকের এই পোস্টটি ও পড়লাম ভালই লাগলো। অনেক জন মিলে একসাথে সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন মোটরসাইকেল নিয়ে, আবার দিনে দিনে ফেরত চলে এসেছেন। তবে ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো থেকে প্রতাপ বাড়ির যে বিশাল আকৃতি সেটা কোনোভাবেই দেখতে পেলাম না যাই হোক আশা করি পরবর্তী পর্বে দেখতে পাবো সে পর্যন্ত শুভকামনা অবিরাম।
সমস্যা নেই ভাই আগামী পর্বে দেখতে পাবেন পুরো এরিয়ার ফটোগ্রাফি
আসলে ভাইয়া ভুত বলে কোন জিনিস আছে কি না আমার জানা নেই। তবে আপনার সাহসের প্রশংসা করতেই হয় ভুত আছে জেনে ও সেখানে গিয়েছিলেন। আর অনেক দিন বাড়িঘরে লোকজন না থাকলে ভুতরে মনে হওয়া স্বাভাবিক। রাজার বংশধরেরা পূজোর সময় সব কিছু নিয়ে আসতেন আবার সব কিছু নিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক । যাইহোক দেখা যাবে পরিবর্তী পর্বে কি হয়।
আসলে ভূত বলতে কিছুই নেই। তারপরও লোকমুখে শোনা কিছু রটনা চারদিকে ছড়িয়ে গেছে তো তাই।
প্রতাব পুরের জমিদার বাড়ি দেখতে তো আমার এমনিতেই ভয় লাগতেছে।ওখানে খারাপ কিছু থাকতে পারে।কারন অনেক দিন ধরে যেহেতু বাড়িটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।এরকম পরিত্যক্ত বাড়িতে খারাপ জিনিসের বসবাস বেড়ে যায়।একদিন রাতে যেয়ে দেখেন ভাইয়া। অবস্থা কি রকম হয় দেখে আমাদের কেও জানান।
আসলে সেটা আমরা ও ধারণা করি, তবে সত্যতা কতটুকু সেটা কেউই যাচাই করেনি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।