প্রতাবপুর জমিদার বাড়ি / বড় বাড়ি পর্ব ১
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের সামনে ছোট্ট করে একটি ভৌতিক বাড়ির গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আসলে যেই বাড়িটির গল্প বলতে যাচ্ছি সেই বাড়িটির নাম হচ্ছে প্রতাবপুর বড়বাড়ি। যেটি ফেনী সেবার হাট প্রতাবপুর গ্রামে অবস্থিত। ওই বাড়িটির চারপাশে জঙ্গল আর জঙ্গল এবং ওই বাড়িতে বায়ান্নাটি পুকুর রয়েছে।
Location
তার মানে বুঝতেই পারছেন কত বিশাল একটি বাড়ি।আর সেজন্যই সেটাকে বলা হয়েছে প্রতাবপুর গ্রামের বড়বাড়ি।ব্রিটিশ আমলে সে বাড়িতে কিছু তৎকালীন রাজা বসবাস করতেন। যদিও সেই রাজার নাম আমার জানা নেই।
তবে তারা বেশ কিছু বছর সেখানে বসবাসরত ছিলেন। তারপর তারা সবাই ইন্ডিয়াতে সপরিবারে সেটেল হয়ে যান।আর এই বাড়িটাকে যেভাবে ছিল, সেভাবেই রেখে চলে যান তারা। এ পর্যায়ে অনেক বছর তারা বাড়িতে না আসাতে সেখানে পুরো বিল্ডিং গুলো নষ্ট হয় ঝরঝরে অবস্থা।আর অনেক পুরনো বিল্ডিং যেগুলো থেকে খসে খসে ইট আর প্লাস্টার ঝরে ঝরে পড়ছে।
Location
তাদের সংস্কার করার মত কোন মন মানসিকতা নেই এবং তারা আর কখনো সংস্কার ও করেনি। এদিক থেকে গ্রামের কেউ সেখানে ভুলেও সংস্কারের চিন্তাভাবনা করেনি।যেহেতু অন্যের বাড়ি, কেনই বা তারা সংস্কার করবে।তবে সেখানে মানুষ ঘুরাঘুরি করতে যেত,আর বিল্ডিং গুলো দেখার জন্য।
কারণ অনেক কারু কাজ ছিল সেই বাড়ির দেওয়ালে। আবার ভৌতিক একটি পরিবেশও ছিল সে বাড়ীর মধ্যে। আর সেখানে অনেকগুলো বিল্ডিং ছিল অনেক পুরনো এবং চারপাশে গাছপালায় ভরপুর ছিল। যার কারণে মানুষ সেখানে যেত এবং ফটোগ্রাফি করতো।
Location
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আশা করি আগামীতে ভিন্ন রকম গল্প নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
ফোনের বিশদ বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
বিভাগ | গল্প (ফটোগ্রাফি) |
মডেল | M32 |
ফটোগ্রাফার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | শুধু সেচুরেশন |
অবস্থান | বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
গ্রামে এরকম একটা ভূতের বাড়ি থাকলে আসলে মন্দ হয় না, ভালই হয় মাঝে মধ্যে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে আসা যায়। আর যেখানে ৫২টি পুকুর রয়েছে যে বাড়িটা এত বড় বাড়ি নিশ্চয়ই যেখানে অনেক কিছু রয়েছে এবং সেগুলো খুব সহজেই মানুষ ঘুরতে এসে দেখে খুব আনন্দ পেয়ে থাকে। একদিকে সংস্কার না করে ভালই হয়েছে ভুতরে ভুতুড়ে ভাব একটা পরিবেশ পাওয়া যায় বাড়িতে এসে। তবে এত বড় বাড়িতে আপনি আরো বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারতেন তাইলে আমরাও পুরো বাড়িটা মোটামুটি দেখতে পারতাম আপনার মাধ্যমে। যাইহোক পরবর্তীতে হয়তো কোন একদিন শেয়ার করবেন সে পর্যন্ত অপেক্ষায় রইলাম।
আগামি পর্বে দেখতে পাবেন ধন্যবাদ।
https://twitter.com/Nevlu123/status/1587287957009883136?s=20&t=Bzv_ajMhR3_MpYM91xCXJw
ফেনীতে এমন একটা জমিদার বাড়ি আছে সেটা আপনার পোস্ট না পড়লে জানতে পারতাম না।সব এলাকায় এরকম পুরোনো জমিদার বাড়ি বা মহল আছে যেগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আপনার সাথে আমি একমত ভাইয়া, আমাদের উচিৎ এই প্রাচীন নিদর্শন গুলোর যত্ন নেওয়া।
আসলেই অনেক ভালো লাগে সেখানে।
ভাইয়া লেখাটি অনেক ছোট,আরেকটু বড়ো হলে বেশ মজা লাগতো পড়তে।ভৌতিক বাড়ির গল্প পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে।জমিদার বাড়িতেই বেশি ঘটতো এইরকম ভুতের ঘটনা।বায়ান্নাটি পুকুর তাহলে তো অনেক জায়গা জুড়ে।আসলেই কেউ বাড়িতে না থাকলে বাড়ির অবস্থা এইরকম জংলী হয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
আগামি পর্বে দেখতে পাবেন ধন্যবাদ আপু।
ওই রাজা বাহান্নটি পুকুন দিয়ে কি করতো? এত বড় একটি বাড়ি এভাবে পরে পরে নষ্ট হচ্ছে। আমাদের এলাকাতেও এরকম বেশ কিছু বাড়ি ছিল। যেগুলোর লোকজন ইন্ডিয়াতে চলে গিয়েছে। বাড়িগুলো এরকম পরে থাকতে থাকতে অনেকটা ভুতুড়ে হয়ে গিয়েছিল। আমরা ছোটবেলায় খুব ভয় পেতাম সেই বাড়ি পাশ দিয়ে যেতে। আপনার এই বাড়িটির ছবি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এমনিতেই পুকুর গুলো ছিল,তবে কি করতে সেটা সঠিক জানা নেই।
এরকম পুরাতন স্থাপনা এবং পুরাতন দিনের বাড়ি সেখানে ভ্রমণ করা এবং সেখানকার ইতিহাস খুঁটিনাটি জানা আমার খুবই ভালো লাগে।।
আমিও বেশ কিছুদিন আগে পাবনা জেলায় এরকম একটি জমিদার বাড়ির ভ্রমণ করেছিলাম।।
যাহোক বাড়িটি এবং আপনার ভ্রমণ সম্পর্কে সুন্দর কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।।
ভালো লাগলো যেনে কিছুদিন আগে পাবনা জেলায় এরকম একটি জমিদার বাড়ি ভ্রমণ করেছিলেন।।
ভৌতিক বাড়ি গুলো দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আসলে এই ধরনের জায়গা গুলোতে ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। তবে একা একা যেতে কিন্তু বেশ ভয় লাগে। সবাই মিলে যদি ঘুরতে যাওয়া হয় তাহলে ভালো লাগে। দেয়ালের কারুকার্য গুলো আজ খসে পড়েছে। হয়তো সবার অসচেতনতা এখানে আছে বলেই সংস্কার হয়নি। পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য এরকম পুরনো দিনের বাড়িগুলোর সংস্কার করা উচিত।
আপনার কথা ঠিক পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য হলেও এই রকম পুরনো দিনের বাড়িগুলোর সংস্কার করা উচিত।
আগে আমি জানতাম না যে ফেনীতে জমিদার বাড়ি রয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সবকিছু উপস্থাপন করেছেন তবে একটি কথা আমি অনেক ভালো লেগেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের যতগুলো জমিদারবাড়ি রয়েছে যেগুলো বর্তমানে পরে রয়েছে সেগুলো সব গুলোর মধ্যে একটি ভৌতিক পরিবেশ বিরাজ করে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।
শতবাগ সহমত পোষণ করছি আপু
নিজেদের চারপাশে এমন না জানি কত কিছুই লুকিয়ে আছে যেগুলো আমরা জানি না। বেশ ভালো লাগলো আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তবে আরো কিছু ছবি দিলে আর বাড়ির ভেতরটা দেখালে এবং আরেকটু ডিটেইলস পেলে আরো ভালো লাগতো। শুভেচ্ছা রইলো দাদা।
ঠিক বলেছেন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
এই ধরনের পুরনো বাড়ি গুলো খুবই রহস্যময় মনে হয়। বায়ান্নাটি পুকুরের কথা শুনে সত্যি খুব অবাক হলাম। বাড়িটি সংস্কার না করে ভালই হয়েছে ভুতরে একটা পরিবেশ উপভোগ করা যায়। আরো কয়েকটি ফটোগ্রাফি দেখতে পারলে ভালো লাগতো। যাই হোক, ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আগামি পর্বে অনেক ফটো দেখতে পাবেন।