আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।

পোষ্টের ভেরিয়েশন ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।

সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে।

ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় ঘুরাঘুরি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। যদি ও একটা সময় অনেক বেশি ঘুরতাম। কিন্তু এখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্টিমিটের কাজ, সবমিলিয়ে সময় পাওয়াটা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয় হয়ে পড়েছে। তবে হ্যাঁ এই চ্যালেঞ্জিং বিষয়টাই আমি পছন্দ করি। তাইতো চালিয়ে যাচ্ছি ধারাবাহিকতা বজায় রেখে।

তো বন্ধুরা মূল পর্বে ফিরে আসি আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছি।আর আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমাদের পাশের এলাকায় একদিন ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তের কিছু অনুভূতি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

আসলে ব্যস্ততার মধ্যেই দিনকাল যাচ্ছে, হঠাৎ একদিন একটু ফ্রি ছিলাম তখন চিন্তা করলাম কোথাও থেকে একটু ঘুরে আসি। আর ঘুরে আসার জন্য সিলেক্ট করলাম আমাদের পাশের এরিয়ায়।সেখানে মনোরম একটি পরিবেশ রয়েছে। ভাবলাম সেখান থেকে ঘুরে আসলে কেমন হয়। যে চিন্তা সেই কাজ। চলে গেলাম দুজন বাইক নিয়ে ঘুরতে সেই এরিয়াতে।

জায়গাটি বেশি দূরে না হলেও আবার একদম কাছেও ছিল না। কারণ গ্রামের ভেতর দিয়ে আঁকাবাঁকা পথ ধরে যেতে হয়েছে সেই স্পটে। সেখানে দুই গ্রামের মাঝখানে একটি নদী রয়েছে। যদিও এই নদীটি আঁকাবাঁকা হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলেছে। তবে সেই নদীটির একটা অংশে মানুষজন ঘোরাঘুরি করতে যায় কারণ সেখানে খুবই মনোরম পরিবেশ।

Location
^{#Device:S-G,M32}

রাস্তার দু'ধারে এক ধরনের গাছ রয়েছে এবং এ গাছে খুব সুন্দর ফুল ফুটেছিল। তখন কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আবার এই ফুলগুলো থেকে এক ধরনের ফসল হয় সেগুলো দেখতে কিছুটা শীতকালীন ফসল মটরশুঁটির মতো।তখন আমি সেখান থেকে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

Location
^{#Device:S-G,M32}
তারপর আমরা মোটরসাইকেলটি একদমই নদীর কাছাকাছি রেখে দিলাম।যদিও সেখানে যাওয়ার আগে পকেটে করে দুই একটা পেয়ারা নিয়ে গিয়েছিলাম খাওয়ার জন্য। তারপর সে জায়গাতে দুজন বসে পেয়ারা খাচ্ছিলাম আর গল্প করছিলাম।

আমার ফটোগ্রাফি গুলোতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন নদীটি কেমন শান্ত। বিশেষ করে শীতকালে শান্ত হয়ে যায় নদী এবং এটার রূপরেখা তখন দেখতে বেশ ভালই লাগে।এই নদীর এপাশ থেকে ওপাশে যাতায়াতের ব্যবস্থা দুই ধরনের রয়েছে। এক হলো নৌকা আরেকটা হল কাঠের ব্রিজ। যদিও মানুষ আগে নৌকায় করে চলাচল করত কিন্তু কিছুদিন আগে এই কাঠের ব্রিজটি বানানো হয়েছিল। তাই মানুষ এখন কাঠের ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে।

Location
^{#Device:S-G,M32}
যদিও কাঠের ব্রিজের ফটোগ্রাফি করিনি কারণ ওই পর্যন্ত যেতে অনেক ধুলাবালি ছিল। যার কারণে মোটরসাইকেলে করে ধুলাবালির মধ্যে যাওয়াটা পছন্দ করিনি। তাই নদীর ধারেই বসে গিয়েছিলাম। তবে অন্য কোন দিন এই কাঠের ব্রিজ এর কিছু ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

Location
^{#Device:S-G,M32}
তবে সেখানে আমরা অনেকক্ষণ বসে বসে গল্প করলাম। গল্প করতে করতে যখন সন্ধ্যা নেমে আসার উপক্রম হয় এবং সূর্য ডুবি ডুবি অবস্থায় হয়।তখন আমরা বাইক নিয়ে আবার সেখান থেকে ফিরতেছিলাম। যখন ফিরতে ছিলাম তখন রাস্তা থেকে দেখা যাচ্ছে সূর্যটা অস্ত যাচ্ছিল।

Location
^{#Device:S-G,M32}
তখন মোটরসাইকেলটা দাঁড় করিয়ে কয়েকটি অ্যাঙ্গেল থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্যটি ক্যামেরা বন্দি করলাম।আমি মনে করি এই পৃথিবীতে অনেকগুলো প্রাকৃতিক রোমান্টিক মুহূর্ত রয়েছে। তার মধ্যে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় টিও একটি রোমান্টিক মুহূর্ত, যেটা আমি মনে করি। তখন কয়েকটি অ্যাঙ্গেল থেকে ফটোগ্রাফি করে বাইকে করে আবার ফিরে আসলাম।

Location
^{#Device:S-G,M32}
এরপর সন্ধ্যায় বাজারে গিয়ে দুজন নাস্তা করলাম। নাস্তা শেষে পুনরায় রওনা হলাম নিজেদের গন্তব্যে। পুরো ব্যস্ততার মাঝেও অল্প একটু সময় বাইরে ঘুরাঘুরি করতে পেরেছি এবং প্রকৃতির সাথে সময় অতিবাহিত করতে পেরেছি এটা আসলে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।

তাই চিন্তা করলাম আজকে আপনাদের মাঝে অনুভূতিটুকু শেয়ার করি। সেজন্যই ছোট্ট পরিসরে এই বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরা। কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আর যারা কষ্ট করে ব্লগটি পড়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক

ফোনের বিশদ বিবরণ

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
পোষ্ট	ভ্রমণ
মডেল	M32
ফটোগ্রাফার	@nevlu123
সম্পাদনা	শুধু সেচুরেশন
অবস্থান	বাংলাদেশ।

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।