কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে হোটেল বুকিং করে সমুদ্র সৈকতে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি।পর্ব -১
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে হোটেল বুকিং করে সমুদ্র সৈকতে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি।পর্ব -১ |
---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। মূলত এর আগে ফেনী থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম আসা এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আসা পর্যন্ত যেসব এক্টিভিটি ছিল সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তবে আজকে শেয়ার করতে যাচ্ছি কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে হোটেলে বুকিং করে সমুদ্র সৈকতে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরির অনুভূতি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা চলুন সরাসরি মেইন পয়েন্টে ফিরে যাই।
আমরা যখন ট্রেন থেকে রেল স্টেশনে নামলাম, তখন সেখানে অনেক ভিড়। আর অনেক গুলো সিএনজি ড্রাইভার শুধু জিজ্ঞাসা করছিল যে আপনারা কোথায় যাবেন,চলেন ভালো মানের রুম আছে,আর কম দামেও পাবেন। তখন তার সাথে কথা বললাম জিজ্ঞাসা করলাম আমরা লং বীচের হোটেলের সামনে নামবো, আপনাকে কত দিতে হবে। সে বলে যে সমস্যা নেই সেখানে নামিয়ে দেবো আর হোটেল বুকিং করে দিব। আমি বললাম না হোটেল বুকিং করতে হবে না, এখানে আমার লোক আছে আগে থেকেই বুকিং করা।
তারপরও সে বলে যেটা বুকং করছেন সেটার চাইতে ভালো রুম ব্যবস্থা করে দিব। আমি বললাম না যেটা বুকিং করেছি সেটাই ভালো ভাই। আমাদের শুধু ওখানে নামায় দিলে হবে। তখন সে সিএনজি ভাড়া চায় ৪০০ টাকা, যেখানে ১৫০-২০০ টাকায় যাওয়া হয়। যাই হোক সেখান থেকে ছুটে অন্য একটি ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম। সেও একই ধরনের কথা বলতেছিল তখন তাকে বললাম যে না ভাই আমার শুধু সিএনজি করে ওখানে নামিয়ে দিলে চলবে।
তখন সেই ৩০০ টাকা চাইলো। আরেক জনকে জিজ্ঞাসা করলাম সেও ৩০০ চাইলো। পরে আরো একটি আসলো সে আড়াইশো চাইলো। এভাবে করতে করতে লাস্ট একটাকে পেলাম সে ২০০ টাকা বলে। তখন তাকে বললাম এখানে তো দেড়শ টাকা আপনি ২০০ কেন বলছেন। তখন সে বলে গেলে চলেন, না হলে নাই। তখন চিন্তা করতাম অন্যগুলো তারা বেশি বলছে ২০০ টাকা বাকিদের হিসেবে কম তাই উঠে গেলাম।
মূলত এখানে আপনি দামদর না করলে সেখানে টুরিস্ট দেখে তারা অনেক ভাড়া নিয়ে যায়।যাইহোক সিএনজিতে ওঠার আগে কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম এদিক ওদিক। এরপর চলে গেলাম লং বিচের সামনে আর আমাদের হোটেলের সামনাসামনি নেমে গেলাম। আমাদের হোটেলের নাম ছিল সামস প্লাজা।যথারীতি সেই ড্রাইভারকে বিদায় দিতে, তিনি বলেন মামা কোথাও ঘুরতে গেলে আমাকে ফোন দিয়েন।
কারণ সে নাকি প্যাকেজ এ ড্রাইভ করে, পুরো দিন ২০০০ টাকায়।যতগুলো পিকনিক স্পট আছে সবগুলো ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে। তখন চিন্তা করলাম নাম্বারটা রেখে দেই প্রয়োজন হলে তাকে কল দিব। তখন তার নাম্বারটা নিয়ে তাকে টাকা দিয়ে বিদায় দিয়ে দিলাম। এরপর আমরা সেই হোটেলের ভিতরে ঢুকলাম ঢোকার পরে সবাই ওয়েটিংয়ে ছিল। আর আমি গিয়ে সেখানে অফিসিয়ালি বুকিংটা সেরে নিলাম।নিজের পুরো ডিটেইলস ও আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে এবং এডভান্স দিয়ে আমরা রুমে চাবি নিয়ে নিলাম।
Location
#Device:S-G,M32
এরপর রুমে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। তারপর চিন্তা করলাম যাতে এখনো সময় আছে তাহলে আর সমুদ্র সৈকত থেকে ঘুরে আসি।কারণ সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি এসে যদি রুমে বসে থাকি তাহলে তো আর ভালো লাগেনা। আর কেন জানি মনে হচ্ছিল বীচ আমাকে টানতেছে। তাই আমরা সবাই মিলে বিচে যাওয়ার জন্য রওনা হয়ে গেলাম। এরপর সবাই মিলে সমুদ্র সৈকতে নামার আগে হালকা-পাতলা নাস্তা করে নিলাম। যেহেতু নিচে নেমে গেলে তখন আর নাস্তা করা যাবে না।তাই নামার আগেই নাস্তা করে নিলাম।
এরপর আমরা সুগন্ধা পয়েন্টের সমুদ্র সৈকতে দিকে ধীরে ধীরে নেমে গেলাম। কিছুক্ষণ সেখানে ঘোরাঘুরি করলাম, এরপর সেখান থেকে হেঁটে হেঁটে লাবনী পয়েন্টের দিকে এগোতে লাগলাম। যদিও সুগন্ধার সমুদ্র সৈকতে অনেক মানুষ তাই একটু উপর দিয়ে যেতে লাগলাম এবং সেখানে বালি থাকার কারণে হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল। নিভৃত কে কোলে করে নিয়ে বালুর মধ্যে হাটা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। তারপর সামনে দেখি একটি প্লাস্টিক সমুদ্র সেখানে কিছু প্লাস্টিক দিয়ে বিভিন্ন রকমের জিনিস বানিয়ে রেখেছিল।পরবর্তীতে সেখানে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।
Location
#Device:S-G,M32
যাইহোক বন্ধুরা অন্যদিন বাকি সব শেয়ার করব। আজকে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এখানে সমাপ্ত ঘোষণা করছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ । |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে রয়েছি, আর সেই প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
https://x.com/Nevlu123/status/1761960507974787207?s=20
ভাই কক্সবাজারের সিএনজি এবং অটো ড্রাইভারেরা এমনই। তাই একটু যাচাই করে নেওয়া উচিত গাড়ি ঠিক করার আগে। প্রতিটি ড্রাইভার কমিশন পেয়ে থাকে, যদি কোনো গেস্ট নিয়ে যেতে পারে হোটেলে। আপনারা তাহলে সামস প্লাজা হোটেলে ছিলেন। আমরা তার পাশেই সেন্ট মার্টিন রিসোর্টে ছিলাম। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
জি একদম ঠিক ভাই প্রতিটি ড্রাইভার কমিশন পেয়ে থাকে।
সেদিন হোটেল বুকিং করার পরে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে লাবনী পয়েন্টে যেতে যেতে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। বালুর মধ্যে হাটা আসলে অনেক চ্যালেঞ্জিং বিষয়। ধন্যবাদ খুব সুন্দর ভাবে সবার মাঝে ফুটিয়ে তোলার জন্য।
আসলে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে লাবনী পয়েন্টে যেতে যেতে আমার অবস্থাও খারাপ হয়ে গেছে।