ফিরে আসার গল্প-2, শেষ পর্ব।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
ফিরে আসার গল্প-2, শেষ পর্ব।
ফিরে আসার গল্প ২ এর গত পর্বে সুবর্ণা বলেছিলো
এত বছর তুমি আমাকে এভাবে কষ্ট দিয়েছো কেন। আমি পাগলের মত হয়ে গিয়েছিলাম, আর পারছিলাম না নিজেকে কন্ট্রোল করতে। যার কারণে আমি আজকে এ পর্যায়ে.....
মিশু কিছু বলতে চাইলো সুবর্ণাকে, সুবর্ণা কিছুই বলতে সুযোগ দিল না। কাঁদতে কাঁদতে সে বলতে লাগলো তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছো। তুমি আমার কোন খোঁজ নাওনি, এক কথায় যত অভিযোগ ছিল সব কোলাকুলির মধ্যেই সে একের পর এক বলতে লাগলো।
তখন সুবর্ণার মা বাবা এবং মিশুর মা-বাবা সবাই স্টেইজে আসে এবং তারা দুজনকে দুই দিকে টেনে নেয়। অবশেষে সবাই বসে বসে আলোচনা করে এবং সেই আলোচনার ভিত্তিতে সুবর্ণা জানতে পারে, এতদিন যা ঘটেছিল সবটাই তাদের প্ল্যান ছিলো।তার মানে প্ল্যান করেই এটি ঘটিয়েছিল।
সুবর্ণার সাথে মিশুর ঝগড়া হওয়ার এক বছর পরে, তাদের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিল তাদের ফ্যামিলি।আর বাকি যতসব ঘটনা ঘটেছিল সবগুলো নাটক ছিলো। এগুলোর কোন সিরিয়াস ছিল না। আর দুজন যাতে পড়াশুনা মনোযোগ দিয়ে করতে পারে, সেজন্য দুই জনকে, দুই ভাবেই, দুই জায়গা থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল।
অবশেষে দুপক্ষের মা বাবা রাজি থাকাতে তাদের বিয়েটাও খুব সুন্দর ভাবে হয়েছিল। শেষমেষ সুবর্ণর মুখে তো অনেক হাসি এবং সে বুঝতে পারে আসলে মিশুর ভালোবাসার কমতি ছিল না। যদিও একটু দুঃখ কষ্ট দিয়েছে, আর সেটা অবশেষে বিয়েতে এসে বিয়ে করে তাকে পূর্ণ করে দিয়েছে।
তো বন্ধুরা এই ছিল মিশর সুবর্ণার স্কুল জীবনের ভালবাসার গল্প, যেটা সফলতায় পূর্ণতা পায়। আজকের মত এখানেই গল্পটি শেষ করলাম। যাদের যাদের ভালো লেগেছে তারা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু , আশা করি আগামি পর্ব নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
গত পর্ব গুলো এখানে👇
পর্ব | বিষয় | পোস্ট লিংক |
---|---|---|
১ | ফিরে আসার গল্প,১ম ও ২য় পর্ব | https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/3zdjnf |
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | গল্প |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
https://twitter.com/Nevlu123/status/1584354672071958530?s=20&t=qvygSwt05HTveTGo85uWlw
আপনার ফিরে আসার গল্প শেষ পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে। শেষ পর্যন্ত মিশু এবং সুবর্ণার মিল হলো। সত্যি অসাধারণ একটি গল্প শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। এরকম আরো গল্প দেখার অপেক্ষায় থাকবো। আশাকরি আবার নতুন গল্প নিয়ে হাজির হবেন আমাদের মাঝে।
জি অবশ্যই নতুন গল্প সামনে তুলে ধরব ধন্যবাদ।
ভাই ফিরে আসার গল্পটি প্রতিটা পর্বে পড়েছি। খুবই ভালো লাগলো। আজকে শেষ পর্বে এসে যখন মিশু আর সুবর্ণার মিলন হল তখন আরো বেশি ভালো লাগলো। গল্পটি যেন পূর্ণতা পেল। ভালো লাগলো আপনার গল্পটি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব চমৎকার ভাবে মন্তব্য করার জন্য, এভাবে সবসময় পাশে থাকবেন এই কামনা করি।
মিসটেক
অনেক ধন্যবাদ খুব চমৎকার ভাবে মন্তব্য করার জন্য, এভাবে সবসময় পাশে থাকবেন এই কামনা করি।