সুখনীড় নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
সুখনীড় নাটকের রিভিউ। |
---|
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | সুখনীড় |
---|---|
পরিচালক | সাজ্জাদ হোসাইন বাপ্পি |
অভিনয় | তৌসিফ মাহবুব, সাদিয়া আয়মান সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
আজকে আপনারা নাটকের নামটি দেখে বুঝে গিয়েছেন যে নাটকটি কেমন হতে চলেছে৷ আমি যখন নাটকের নাম দেখি তখন আমি দেখে নিলাম৷ এর পরবর্তীতে নাটকটি শুরু হয়ে যায়৷ প্রথমে নায়িকাকে দেখানো হয়। নায়িকা ছিল নায়কের বাসার পাশের ফ্ল্যাটের একজন৷ প্রতিদিনই নায়িকা নায়কের মায়ের কাছে আসত। নায়কের মায়ের সেবা যত্ন করত৷ একদিন নায়ক যখন অফিসে ছিল তখন সে নায়িকাকে কল দিয়ে বলছিল যাতে করে সে তার মায়ের ওষুধগুলো খাইয়ে দেয়৷
যাতে করে কোন ধরনের যেন ওষুধ মিস না হয়৷ তার ছোট ভাই যেন এখন পড়তে বসে৷ তখন নায়িকা আগে থেকেই তাদের বাসায় এসে সবগুলো কাজ করে ফেলেছিল৷ সে বসে বসে সেখানে মজা নিচ্ছিল। সবাই তাদের ভালোবাসা সম্পর্কে জানত এবং সবাই বলতো যে নায়িকা নায়ককেই বিয়ে করবে।
তবে নায়ক কোনভাবেই তাকে বিয়ে করার জন্য রাজি ছিল না। যখনই নায়িকা তাকে বিয়ের কথা বলত তখন সে অনেকটা রাগান্বিত হয়ে যেত। এর পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তারা সময় অতিবাহিত করতে থাকে। নায়িকা নায়কের আরো বেশি ভালোবাসা পেতে থাকে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এর পরবর্তীতে নায়ক কোনভাবে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত ছিল না। তাই তারা সবাই মিলে একটি নাটক সাজায়। তারা সবাই একটা প্ল্যান করে যে নায়িকাকে বিয়ে করার জন্য নায়ককে কিভাবে রাজি করানো যায়। তাই নায়কের মা যখন বাসায় ছিলেন তখন তারা সবাই বলে যে তিনি অনেক অসুস্থ৷ তিনি অসুস্থতার নাটক করে। এই অসুস্থতার কথা শুনে নায়ক যখন বাসায় চলে আসে তখনই এই অসুস্থতার কথা বলে তাকে বিয়ের জন্য রাজি করিয়ে ফেলা যাবে।
তখন সে বাসায় এসে যখন দেখে যে তিনি সুস্থ এবং সবাই তার সাথে মজা করেছে তখন সে আর কিছুই করতে পারে না। সে বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যায়। এর পরবর্তীতে সব কিছুই ঠিকঠাকভাবে চলছিল। নায়িকার সাথে নায়কের এংগেজমেন্ট হওয়ারও ডেট পড়ে গিয়েছিল। এর পূর্ববর্তী সময়ে তারা দুজনে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করে। দুজনেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে থাকে। এরপর যখন তাদের এনগেজমেন্ট এর ডেট চলে আসে।
তখন সেখানে নায়কের পরিবার এবং নায়িকার পরিবার আসে৷যখনই নায়কের মা নায়িকাকে আংটি পরাবে তখনই নায়কের বাবা সেখানে চলে আসে। সবাই তাকে দেখে একেবারে হতভাক হয়ে তাকিয়ে থাকে৷ সবকিছু সেখানেই থেমে যায়৷ এর পরবর্তীতে নায়িকা ও তার পরিবার সেখান থেকে চলে যায়। তখন নায়কের বাবা নায়কের ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বলে এবং বিভিন্ন ধরনের কথা তাকে বলছিল।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
তবে নায়ক কোনভাবেই চায়না যে তার বাবা যেন এ বাসায় থাকে। সে যেন এখান থেকে চলে যায়। কারণ এখানে একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার কারণে এখন নায়ক এবং তার মা কোনভাবে আর তার বাবাকে সহ্য করতে পারে না। কারণ অনেক আগেই যখন নায়ক ছোট ছিল এবং তার ভাই ছোট ছিল তখন তার বাবা তাদেরকে ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যায়৷ সে অন্য জায়গায় বিয়ে করে ফেলে৷ আজকে ১৫ বছর পর যখন সে তাদের বাসায় আবার এসেছে তখন নায়ক তাকে কোনভাবেই বাড়িতে রাখতে চাচ্ছে না৷
সে কোন ভাবেই তার বাবাকে বাবা বলেও স্বীকৃতি দিতে চায় না৷ কারণ নায়ক ছোটবেলা থেকে বাবার ভালোবাসা ছাড়াই বড় হয়েছে৷ তার মা তাকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছে৷ বিভিন্ন কারণবশতই সে তার বাবাকে এখানে থাকতে বারণ করে। সে অনেক অপমান করতে থাকে। তবে নায়কের বাবা কোন কিছুই মনে করে না৷ তিনি সব কিছু নিজের মতই করে মেনে নিলেন৷ এরপর একদিন যখন নায়ক এর এক্সিডেন্ট হয় তখন নায়কের অনেক বড় একটি সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যায়৷
তখন নায়কের বাবা ভাবে যে সে যেহেতু আর তাদের পরিবারের কাছে কোন কিছুই আশা করে না। তাদের পরিবারে যেহেতু তাকে এখন আর কোন ধরনের জায়গা দেওয়া হয়নি৷ তাই তিনি এখন তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে নায়কের যে বড় ধরনের রোগ হয়েছে সেটি সমাধানে তিনি তার নিজের জীবন দিয়ে দিবেন৷ পরবর্তীতে তিনি তার জীবন দিয়ে দেন এবং একদিন যখন নায়ক সহ সবাই এই বিষয়টি দেখছিল তখন সবাই অনেক কষ্ট পাচ্ছিল এবং এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুবই সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি। আসলে এই নাটকের মধ্যে একেবারে বাস্তবিক ঘটনাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ আমরা সবসময় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা অনেক জায়গায় দেখতে পাই৷ আমাদের বাস্তব জীবনেও আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখি। নাটকের মধ্যে যখন প্রথমে নায়ক এবং নায়িকার সম্পর্ক খুব ভালোভাবে চলছিল এবং তাদের এরকম একটি অনুষ্ঠানের দিন যখন নায়কের বাবা চলে আসে তখন নায়ক তাকে দেখে অনেকটাই রাগান্বিত হয়ে যায়৷সে বলে যে সে এখানে কেন এসেছে৷ এত বছর পরে সে আবার এখানে কেন এসেছে৷
যে সময় তাদেরকে ছেড়ে সে চলে গিয়েছিল তখন তাদের কথা মনে পড়েনি৷ এখন কেন মনে পড়েছে৷ এরকম বিভিন্ন ধরনের কথাই নায়ক তাকে বলছিল৷ বিভিন্নভাবেই তাকে অপমান করছিল৷ এর পরবর্তীতে নায়ক তাকে বারবার বলছিল যাতে করে সে বাসায় আর না থাকে৷ নায়ক এত কষ্ট করে তার মা এবং ছোট ভাইসহ এখানে সব কিছু গড়ে তুলেছে এখন যেন সে আবারও এখানে সবকিছু যেন ধ্বংস করে না যায়৷তাই নায়ক এখান থেকে তাকে চলে যেতে বলে৷ এরপর একদিন নায়কের এক্সিডেন্ট হওয়ার কারণে সে অনেক বড় একটি জটিলতায় পড়ে যায়৷
তখন নায়কের বাবা তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে তার নিজের জীবন দিয়ে তার ছেলেকে বাঁচায়৷ এভাবেই নাটকটি শেষ হয়৷ আসলে বাস্তব জীবনে আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখতে পাই৷ আসলে কিছু কিছু মানুষ বিভিন্ন কারণবশত তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বিভিন্ন কারণে যখন শেষ পর্যন্ত আবার তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরে আসতে হয় তখন এরকম অনেক বড় ধরনের কিছু ত্যাগ করেই তার আগের জায়গায় ফিরে আসা যায়। ঠিক সেরকম একটি ঘটনাকে নাটকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৮/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
https://x.com/Nevlu123/status/1864494926865867071
সুখনীড় নাটকটি বেশ কিছু দিন আগে দেখেছিলাম। নাটকটি একটি ব্যতিক্রম গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে। সবাই চমৎকার অভিনয় করেছেন। অনেক সুন্দর করে রিভিউ করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ধন্যবাদ লিমন ভাই ভালো থাকুন।।
ভাই আপনি আজকে দারুণ একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করছেন।তৌসিফ মাহবুবের নাটক কম বেশি দেখা হয়।তবে এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। সময় করে নাটক টি দেখে নিবো।ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে।। ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকুন সর্বদা এই কামনা করছি।
সুখনীড় নাটকটি আমার দেখা হয়েছে। কিছুদিন আগেই নাটকটি আমি দেখেছিলাম। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের অধিকাংশ নাটকই আমার দেখা। আজ আপনি সুখনীড় নাটকটি বেশ সাবলীল ভাষায় উপস্থাপনা করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।/
এরকম নাটকগুলো আমি আগে একটু বেশি দেখে থাকতাম। তবে এখন আর খুব একটা নাটক দেখা হয় না। আমি মুভি দেখতে একটু বেশি ভালোবাসি। আর তাই সময় পেলে মুভি বেশি দেখা হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে আবার নাটকও দেখার জন্য চেষ্টা করি। সুন্দর সুন্দর এবং শিক্ষনীয় নাটকগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনি যে নাটকের রিভিউ করেছেন, এটা যদিও দেখি নিই। তবে রিভিউটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে,.
নাটকের মধ্যে বাস্তবিক দিকগুলো ফুটিয়ে তোলা হলে সেই নাটকগুলো খুবই চমৎকার লাগে দেখতে। এই নাটকটা আগে কখনো দেখা হয়নি। তবে রিভিউ পড়ে গল্প টা অনেক সুন্দর মনে হয়েছে। সময় পেলে নাটকটা দেখার চেষ্টা করব। এত সুন্দর একটা নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন সর্বদায় এই কামনা করছি।,,
হঠাৎ দুর্ঘটনায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। আর সম্পর্ক গুলো এলোমেলো হয়ে যায়। নাটক দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। সময় পেলে নাটকটি দেখবো ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর মতামত প্রধানের জন্য ভালো থাকবেন। ্
এমন বাস্তবসম্মত নাটক গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। এই নাটকটি আমি দেখেছিলাম। তৌসিফ এবং সাদিয়া আয়মান এককথায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ মহিন ভাই ভালো থাকবেন সর্বদায়।।