সুন্দর একটা তালের বড়ার রেসিপি | //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা,



আশা করি সবাই ভাল আছেন, সুস্থ আছেন।আজ আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি আমার জেঠিমার শেখানো সুন্দর এক তালের বড়ার রেসিপি।


আমি জেঠিমার মুখে এই রেসিপি নিয়ে যে কথা শুনেছি সেটা আজকে আপনাদের সামনে বলছি। রেসিপিটা নাকি বহু প্রাচীন, বৃন্দাবনে পিঠে পুলির সাথে তালের বড়া টাও ছিল গোপাল ঠাকুর অর্থাৎ নন্দদুলাল এর প্রিয় খাবার। সেই কারণে যাদের বাড়িতে গোপাল ঠাকুর আছে তারা এখনো জন্মাষ্টমীর আগে তালের বড়া মুখে দেন না। কারণ তাদের বাড়িতে জন্মাষ্টমীতে তালের বড়া হয় যা গোপাল খায় তার পরেই তারা তা সেবন করতে পারেন।

13.jpeg



এই প্রসঙ্গে একটা কবিতার কথা না বললে মিস করা হবে। তবে এটা কে কবিতা বলা যাবে না। আমার জেঠিমার মুখে শোনা তিন লাইনের একটা ছড়া বটে।


তালের বড়া খেয়ে নন্দ নাচিতে লাগিল।
কি আনন্দ হল রে ভাই কি আনন্দ হল,
লুচির ওপর তালের বড়া ছড়াছড়ি গেলো।


তৈরি করার পদ্ধতি :

উপকরণ :

• তাল ১ টা
• আটা। ১ কিলো
• সুজি। ২৫০ গ্রাম
• চালের গুঁড়ো ১৫০ গ্রাম
• বাতাসা ২৫০ গ্রাম
• চিনি ৪০০ গ্রাম
• তেল ৫০০ গ্রাম
• নুন পরিমাণ মতো
• মৌরি পরিমাণ মতো

প্রথম ধাপ



সবার প্রথমে নারকেল টাকে কুড়িয়ে রেখে দিতে হবে।

00.jpeg

01.jpeg

001.jpeg

দ্বিতীয় ধাপ



তারপরে তাল টাকে ছাড়িয়ে, ভালো করে চটকে নিতে হবে। তারপর চটকানো তালটা কি ঝুড়িতে করে চেঁচে নিতে হবে।

1.jpeg

2.jpeg

তৃতীয় ধাপ



চাচার পরে তালটা যখন তৈরি হয়ে গেল, তারপর তাতে আটা টা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিলাম।প্রায় দশ পনের মিনিট মতো


3.jpeg


চতুর্থ ধাপ



তারপরে ভাল করে মাখিয়ে নেয়া হয়ে গেলে তাতে সুজি, চালের গুঁড়ো, বাতাসা, চিনি, কুরোনো নারকেল, পরিমাণমতো নুন এবং পরিমাণমতো মৌরি দিয়ে একসাথে ভালো করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মাখিয়ে নিতে হবে।


4.jpeg

5.jpeg

6.jpeg

07.jpeg


পঞ্চম ধাপ



তারপর এই মিশ্রণটা যেটা তৈরি হয়ে যাবে সেটাকে কিন্তু বেশিক্ষণ রাখা যাবে না। সঙ্গে সঙ্গেই কড়াইতে তেল দিয়ে সেটাকে গরম করে নিতে হবে। তেলটা হালকা গরম হয়ে গেলে হালকা আছে আস্তে আস্তে মিশ্রণ থাকে বড়ার মত করে ছেড়ে দিতে হবে। ছাড়ার সময় পাশে একটা পাত্রে অল্প জল রেখে দিতে হবে। প্রত্যেক বা ছাড়ার পরে হাতটা জলে ধুয়ে তারপর দ্বিতীয়বার ছাড়তে হবে।


8.jpeg


ষষ্ঠ ধাপ



তারপর তালের বড়ার রংটা আস্তে আস্তে লাল হয়ে এলে আমরা সেটা ছাকনির মাধ্যমে কড়া দিয়ে তুলে নেবো ।


9.jpeg

010.jpeg

11.jpeg

12.jpeg

সপ্তম ধাপ


হয়ে গেল আমাদের তালের বড়া রেডি। এবার সেটা গরম গরম খাওয়া যেতে পারে, আমি অবশ্য দুদিন ধরে খেয়েছি।


13.jpeg


অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের রেসিপি টা দেখার জন্য। এটি খুবই সুস্বাদু খাবার আপনারা ঘরে অবশ্যই চেষ্টা করে দেখতে পারেন।আশাকরি আপনাদেরও এটা খুবই ভালো লাগবে।

Sort:  
 3 years ago 

আপনার বাতাসা গুলো দেখে তো আমারে একেবারে লোভ লেগে গেল। কতদিন বাতাসা খাইনা ছোটবেলায় খেয়েছি। খুব সুন্দর ভাবে আপনি তালের বড়া তৈরি করলেন দেখে মনে হচ্ছে বড়াটা অনেক মজা হয়েছে। আগে অনেক খেয়েছি এখন বানাতে পারি না আর খেতেও পারি না ।আমার কাছে ভালই লাগে খেতে বড়াটা। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মজার একটি খাবারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। তবে সময় পেলে কখনো এই রেসিপিতে বানিয়ে দেখতে পারেন। খুব সুন্দর খেতে হয়েছিল। আর হ্যাঁ বাতাস গুলো গুড়ের নিলে বেশি ভালো হয়।

 3 years ago 

তাদের বড়া আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার। বিশেষ করে যখন ঠান্ডা হয়ে যায় তখন। আপনি অনেক দারুন ভাবে তালের বড়ার রেসিপি টা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দেখেই খেতে মন চায়। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য

 3 years ago 

ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আসলে আমারও ঠান্ডাই ভালো লাগে বললাম না যে পরের দিন খেয়েছি। আপনিও ট্রাই করে দেখবেন খেতে খুবই ভালো হয়।

 3 years ago 

নিজেই বানালে নিজেই খেলে! একবার ডাকতেই পারতে। এই বন্ধুত্ব। ধিক্কারবাসা জানিয়ে গেলাম।

 3 years ago (edited)

নিজে বানিয়ে বাড়ির সকলে মিলে খাওয়া হয়েছে। পরেরবার না হয় আশিসের অফিসেও সবাই মিলে খাওয়া হবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 60728.44
ETH 2653.23
USDT 1.00
SBD 2.59