ঘরের পাঁজরে ইতিহাস ফিসফিস কথা কয়।। আমার জন্মভিটে নিয়ে দু'চার কথা
।। নমস্কার বন্ধুরা।।
নীলমের লেখামিতে আপনাদের স্বাগত
বন্ধুরা, আশাকরি পরম করুণাময়ের কৃপায় আপনারা বেশ ভালোই আছেন। রেমাল এসে ফিরে যাবার পর আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মেদনীপুর সহ বেশ কিছু উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আদ্রতা হঠাৎ করেই খুব বেড়ে গেছে৷ মেঝেতে দেওয়ালেও ঘাম দিচ্ছে। এমনটা আমি প্রথমবার দেখছি। ঘর্মগ্রন্থি ছাড়াই কেমন সব্বাই ঘর্মাক্ত৷ মেঝেতে রীতিমতো পিছলে পড়ে যাবার অবস্থা দেখে ভেবেছিলাম কেউ হয়তো এমন কোন তরল ঢেলে দিয়েছে যা শুকোচ্ছেই না৷ এসবের মাঝেই আবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিও হয়ে গেল একপশলা। সব কিছুর মধ্যে কেমন থাকতে পারি সে কথা আন্দাজ করতে পারছেন?
আবহাওয়া যেমনই হোক, আমাদের দৈনন্দিন দিনযাত্রা চলেই যায় নিজ নিয়মে৷ সেই নিয়ম অনুযায়ী আজ আমার পুনে ফেরার দিন৷ ব্যাগ পত্র গুছিয়ে নিয়েছি। সকাল থেকেই ভাবছি একবার ঘর থেকে ঘুরে আসি৷ সেই ঘর যেখানে আমি বড় হয়েছি৷ তবে এখন আছি কোথায়? শ্বশুরবাড়ি? না। বাবা মায়ের কাছেই আছি৷ তাদের নতুন বাড়িতে। বিগত দু'বছর হল বাবারা নতুন বাড়ি করে উঠে এসছেন। আসলে ঘরটা তো অনেক পুরনো৷ লোকসংখ্যাও বেশি৷ থাকার অসুবিধে৷ সব মিলিয়ে নতুন বাড়ির পরিকল্পনা৷ কিন্তু আমি তো এখানে বড় হইনি আর বর্তমানে আসিও মাঝেমধ্যে তাই আমার আপন বলতে ওই পুরনো ঘরটাই৷ যেখানে আমার তিন দাদু ঠাকুমা কাকু কাকিমা ভাই বোনেরা থাকত৷ দাদু ঠাকুমারা আজ আর কেউই নেই৷ বোনেদেরও বিয়ে হয়ে গেছে৷
নতুন বাড়ি থেকে আমার ঘরে যেতে দু'তিন মিনিট লাগে৷ বৃষ্টিতে রাস্তা ভিজে গেছে৷ তাও সাবধানে পা ফেলে ফেলে গেলাম৷ বাড়ির সামনেই দুই জেড়তুতো কাকিমা। দেখে ঘরে নিয়ে গেল। বসলাম, কথা বললাম৷ ছোটবেলায় যে গাছের সবেদা চুরি করে খেতাম সেই সবেদাই দিল খেতে৷ কাকিমাকে বললাম সেই মজা নেই, স্বাদও নেই৷ চুরির জিনিসে যেন বেশি স্বাদ৷ এতো স্মৃতি, এতো আনন্দ, তাই ভাবলাম আপনাদের আজ বলি আমার পুরনো বাড়ির গল্প।
পুরনো বাড়ি৷ কত পুরনো বলুন তো? ত্রিশ বছর? চল্লিশ বছর? না বন্ধুরা আমার এই ঘর প্রায় একশ'ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছরের পুরনো৷ ছবিতে যে দেখছেন নীল রঙের বাড়িটা, ওটাই প্রথম ভীত। আমার দাদুর দাদু ছিলেন হাওড়া জেলার নন্টেবাটুলের সামন্তবাড়ির৷ তখন ওনারা গুড় ব্যবসা করতেন, সেই সুত্রে নানান জায়গায় যেতেন৷ আর এদিকে সুবিধেজনক পরিবহন বলতে নৌকা। খালে তখন রূপনারায়ণের অনেক জল। অনায়াসেই নৌকা চলত৷ এখন যদিও সেসব কিছুই নেই৷ খাল নোংরা হয়ে হয়ে আস্তাকুঁড়ে পরিনত হয়েছে৷ নৌকা চলত এ যেন বাড়িয়ে বলা গল্পের মতো শোনায়৷ কিন্তু বাবা বলেন এ গল্প সত্য ঘটনা৷
উনি রোজ আসতেন, গুড় বেচতেন আর ফিরে যেতেন। বেশ কিছুদিন ব্যবসা করার পর দেখলেন এই অঞ্চলে চাল খুব সস্তা৷ তাই কি করলেন, গুড় বেচার পর এখান থেকে চাল কিনে বাগনানে বিক্রি করতেন৷ এভাবেই চলতে চলতে মোক্তার বলে একজনের থেকে বেশ কিছুটা জমি ও বসত বাড়ির জায়গা কিনে উনি পরিবার সমেত চলে আসেন৷ বাবার আন্দাজ অনুযায়ী তা ১৮৮০-৮৫ খ্রীস্টাব্দ হবে৷ তখন নিজেদের মতো এই দু কামরার ঘর (নীল রঙের ঘর) আর একটি রান্নাঘর করে বসবাস শুরু করেছিলেন৷ ছাদ ছিল না৷ খড়ের চাল ছিল৷ পরে তা টালিখোলার, আর সর্বশেষ হল চুনসুরকি দিয়ে ঢালাই। এই অংশের দেওয়াল ইটের নয়। চুনসুরকিরই৷ কিন্তু লোকসংখ্যা বাড়ে, ঘরেরও প্রয়োজন হয়। তাই পরবর্তী অংশ বলতে এই নীল ঘরের দোতলা সাথে পাশের সবুজ ঘর দুটো দোতলা সমেত৷ আর সামনের সবুজ ঘরগুলো বছর কুড়ি পুরনো৷ আগে মাটির ছিল ছিটেবেড়ার একটা কামরা ছিল, আমার দেখা৷ ঠাকুমা বলেন, এই সব ঘর করার সময় এদিকে ইট পাওয়া যেত না৷ একটা চাষের জমি থেকে মাটি তুলে এখানেই ইট বানিয়ে ঘর হয়েছে৷ সে কি বড় বড় ইট৷ বড় বলছি কিসের ভিত্তিতে? আসলে যখন ঘরগুলো রেনোভেশন হয় তখন আমরাও দেখেছি৷ প্রতি পুরুষেই কেউ না কেউ কোন না কোন অংশ সারাই করে৷ আর সারাইয়ের কারণে ঘরের কঙ্কাল যেমনই হোক আবরণ সব সময়ই নতুন। যে যুগে যেমন নতুন দেখতে হয় তেমনই। আজও মাঠের দিকে গেলে দুটি পুকুর বিদ্যমান।
ঘরটিতে শোবার ঘর প্রায় পনের ষোলটি। সমস্ত সরিকের রান্নাঘর এক দিকে। তার পাশেই দোতলা গোলাঘর। এই গোলাঘরটিতে আমাদের ধান থাকত। আর সময়ে অসময়ে আমি ধান পাড়ার নাম করে এই জানালায় পা ঝুলিয়ে বসে থাকতাম। আমাদের এই অংশটি আজও মাটির৷ তবে ইঁদুরের ক্রমাগত আক্রমণে আমার বাবা কাকুরা সকলেই ভেতরের অংশে উঁচু করে ইটের গাঁথনি দিয়ে দিয়েছিল৷
এখানে একমাত্র মেয়েদের আনাগোনা। বাড়ির সমস্ত মেয়ে বউ শাশুড়ীরা এই বারান্দাতে তাদের কাপড়জামা শুকোতে দিত৷ আর একটি বিশেষ প্রয়োজনে এই বারান্দাটি খুব জরুরি ছিল। সেযুগে মানে ঠাকুমা বা তারও আগের দিনগুলোতে যখন বাড়ির মেয়ে বা বউরা ঋতুমতী হতেন তখন এই বারান্দায় তাদের থাকতে দেওয়া হত। এছাড়াও বর্ষাকালে এখানে বসে ঠাকুমাদের কাঁথা সেলাই করতে দেখেছি৷ সারাবছরের তেঁতুল, আচার এখানে লুকিয়ে রাখা হত আমাদের ছেলেবেলায়৷ কিন্তু আমাদের চোখ থেকে লুকনো কি খুব সোজা? তা ছিল না৷
জানেন বন্ধুরা, এই বাড়ির লোকসংখ্যা সবদিনই বাড়ন্ত৷ পরে পরে আঁটত না দেখে একে একে খামারে কিংবা বাড়ির চারপাশের ফাঁকা জায়গায় ঘর করেছে নিজেদের মতো। সব মিলে আজ এক বিশাল পাড়া। সেখানে বাস করে প্রায় একশ'জন৷ ভাবুন তো একজন এসেছিল তার পরিবার নিয়ে এখন দাঁড়িয়েছে একশ'জনে৷
ঠাকুমার কাছে গল্প শুনেছি এ বাড়িতে একবার ডাকাত পড়েছিল৷ তারপর দাদুরা ঘরে ঢোকার ও বেরনোর দরজার সংখ্যা বাড়িয়ে দিলেন৷ সমস্ত রান্নাঘর দিয়ে বাইরে চলে যাওয়া যায়৷ আর রাস্তার মুখের দিকে, খামারের দিকের দরজাগুলো অদ্ভুত ভাবেই গলিপথ হিসেবে বানানো৷ যাতে কেউ ঢুকে পড়লে সহজে বেরতে না পারে৷ এছাড়াও ছিল দেওয়ালে আটকানো আয়রনচেস্ট আর নিচের ঘরগুলির সাথে একটা করে চোরা কুঠুরি৷ আজও এই বাড়ি চেনেনা কেউ ঢুকে পড়লে দরজা খুঁজে বেরিয়ে আসতে পারে না। এমনকি প্রথম যে সিঁড়ি দোতলার জন্য বানানো হয়েছিল, ঘুটঘুটে অন্ধকারের ভেতর, তার সামনে দিয়ে চলে গেলেও বোঝার উপায় ছিল না এই ছোট্ট ঘুপচি চৌকো খোপে ঢুকে গেলেই সিঁড়ি। সেই সিঁড়ি আজও দিনের আলোয় অন্ধকার। তাই ছবি তুলতে পারিনি।
এই যে বেঞ্চটা দেখছেন এটির বয়স প্রায় পঁচাত্তর বছর বা তারও বেশি৷ বাবা বলেন তিনি তাঁর জন্ম থেকেই দেখেছেন৷ এই বেঞ্চে আমরা বিকেলে বসতাম ঠিকই তবে এটি এখানে রাখার বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল, বাইরের লোকেরা কেউ এলে তাকে বসতে দেওয়া৷ কারণ দাদুদের সবারই আলাদা আলাদা জীবিকা হেতু নানান লোক বাড়িতে আসতেন৷ তবে পালকি এলে বাইরেই দাঁড়াত। বাড়ির মেয়েরা সেসময়টুকুতেই এই বেঞ্চ পর্যন্ত হেঁটে আসার অনুমতি পেতেন৷ আমাদের সময় অবশ্য বাস চালু ছিল। তাই লাফিয়ে ঝাপিয়ে বাসস্ট্যান্ডে ছোট থেকেই যাই৷
এর বয়স জানি না ঠিক তবে দাদুর কাছে শুনেছিলাম তারাই বানিয়েছেন৷ আমার দাদু ২০১১ সালে মারা গেছেন৷ তখন বয়স ছিল বিরানব্বুই৷ তাই বলা যায় এটিও সত্তর পঁচাত্তরের পুরনো। এখানে বাড়ির সমস্ত আনন্দ ও দুঃখজনিত অনুষ্ঠান হয়। মানে অন্নপ্রাশন বিয়ে শ্রাদ্ধ। এমনকি কেউ মারা গেলেও এই মন্দিরের সামনেই শোয়ানো হয়। আবার রোজ বিকেলে মা ঠাকুমারা এর সামনের খোলা উঠোনে বসে চুল চিরুনি করে নিজেদের সাজিয়ে গুছিয়ে নিতেন। আমরা লাফদড়ি থেকে কুমীরডাঙা সবই খেলতাম।
আজও কত গল্প তৈরি হয় নিত্যনতুন৷ আনাচকানাচ ভরে থাকে। ইতিহাসের গায়ে ইতিহাস চাপে। পরতে পরতে স্মৃতির ফসিল জন্মায়৷ আমাদেরই ছোটবেলার আরও কত গল্প আছে৷ ছাদযাপন থেকে এক একটা ঋতুর নানান গল্প৷ জানেন বন্ধুরা, যখন নক্সাল আমল তখন এখানে অনেকে আশ্রয় নিত৷ আবার এমনও শুনি ইংরেজরা কখনও এলে কাঠের তীর-ধনুক ছুঁড়তেন ওপর থেকে৷ বন্যায় যখন মানুষ ঘরহীন হত তখন এবাড়ির ছাদে এসে মাসের পর মাস থেকেছে৷
পূর্বপুরুষদের ব্যবসায়িক মন থাকলেও আমার দাদুরা অনেক সমাজসেবা করে গেছেন৷ এই গ্রামে কোন স্কুল ছিল না৷ দাদুরা মিলে প্রথমে প্রাইমারি স্কুল করে নিজেরাই পড়াতে শুরু করেন, পরে ক্লাস এইট পর্যন্ত চালু করেছিলেন৷ স্বাধীনতার পরে অ্যাফিলিয়েশন মাধ্যমিকের অ্যাফিলিয়েশন পেয়ে গেছিলেন৷ হাইস্কুল শুরু হয়েছিল ১৯৪৬ খ্রীস্টাব্দে৷ সেটি মাটির ছিল৷ পরে পাকার বড় হয়েছে৷ স্কুল হবে বাচ্চারা খেলবে কোথায়? তাই বিরাট বড় ফুটবল গ্রাউন্ডও দাদুরা বানিয়ে দিলেন৷ এই স্কুলেই আমি পড়াশুনো করেছি৷ ফাউন্ডার মেম্বার হিসেবে বাবারা আজও সম্মানিত৷
আজকালের হালফ্যাশন ফ্ল্যাটবাড়িতে এমন স্বাদ পাওয়া যায় বলুন? যে মানুষটা এতো ভিড়ের মধ্যে গমগম করে বড় হয়েছে তার সারাদিনে কথা বলার মতো একটি কখনও দুটি মানুষ৷ ভাগ্যিস আপনারা আছেন, সোসাল মিডিয়া আছে। উন্নত প্রযুক্তির কারণে বাবা মা পরিবার পরিজন সবাই যেন হাতের কাছে৷ তাই হয়তো মন খারাপ করলেও ফিরে যাওয়া যায়৷ নইলে কিভাবে থাকতাম বলুন তো ?
আজ যখন ঘর থেকে বাড়িতে হেঁটে হেঁটে ফিরছি তখন ভাবছিলাম এই পথেই রোজ স্কুলে যেতাম। আর বৃষ্টি হলে কাদা মেখে ফিরতাম৷ ভয়ে ভয়ে মা যাতে ধোলাই না দেয় লুকিয়ে পুকুরে নেমে হাত পা ধুয়ে টুক করে ঘরে ঢুকে পড়তাম৷ কত কথা৷ কয়েকটা শব্দে কি আর বলে শেষ করা যায়? পরে কখনও কোন প্রসঙ্গে এলে আবার বলব গল্প।
আজ এই পর্যন্ত থাক বন্ধুরা। অনেক বকবক করলাম। পরে আরও একটি যাপনের গল্প নিয়ে আসব৷ ততক্ষণ আপনারা খুব ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। আর সবাই নিজের নিজের ঘর বাড়ির যত্ন নিন, সাথে মানুষগুলোরও। কারণ প্রিয়জনদের কলকাকলি ছাড়া ঘর প্রাণহীন হয়ে পড়ে। তাই না? আজ আসি? টা টা
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। তবে বর্তমানে বেশ কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ বর্তমানে ভারতবর্ষের পুনে তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
আপনার এই পোস্টটা অতি চমৎকার হয়েছে। ছোটবেলার অতীত, ইতিহাস আর পারিবারিক বাড়িঘর গোড়াপত্তনের পরম্পরা এত সুন্দর করে তুলে ধরেছেন, পড়েই খুব ভালো লাগলো।
পোস্টটি আপনি স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতে পারেন। তবে ভালো লাগলো প্রকৃতি সান্নিধ্য, বেশ পুরনো আমলের স্থাপত্যরীতি আর শৈল্পিক গাথা এই লেখায় বর্ণনা করেছেন।
শৈশবের স্মৃতিচারণ দারুণ ছিল আর আশা করি আপনি এভাবেই আমাদের মাঝে নিজের সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটিয়ে চলেন। শুভকামনা রইলো অনেক আর অবশ্যই ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ ।
প্রথমের অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনি আমার এতোখানি পোস্ট ধৈর্য্য ধরে পড়েছেন৷ খুব আনন্দ পেয়েছি৷
পোস্টটি তো অবশ্যই আমার সুখস্মৃতি৷ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেরে আমার নিজেরও খুব ভালো লাগছে৷
এভাবেই পাশে থাকবেন৷ ভালো থাকবেন ঈশ্বরের কৃপায়৷
আমি সবসময়ই আপনার পোস্ট ধৈর্য্য ধরে পড়ি। এক ধরণের জাদু আছে আপনার লেখায় ও ভাবনায় যার লহমা ও ধুয়া শেষ হতে চায় না।
এটি সবার থাকে না, তাই আপনার লেখা পড়ে আমিও বেশ বাংলার রূপপ্রকৃতির প্রতি মোহাবিষ্ট হই।
জীবনের নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনাপ্রবাহ কতটা ব্যাক্তিপর্যায়ের তা শুধু অনুভবের নিগড় থেকে বোঝা যায়। আশা করি, এ ধরণের লেখা আরো পড়ার সৌভাগ্য হবে।
শুভকামনা জ্ঞাপনের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই।
👋
এমন অনুপ্রেরণা পেলে আরও লিখে যেতে মন চায়৷ ভালো থাকবেন সর্বদা৷