পিয়ার মিডাস টাচে আজ পাবেন ডাবের ভর্তা।। রান্নার ব্লগ।।
☘️🌸☘️নমস্কার বন্ধুরা☘️🌸☘️
নীলমের লেখামিতে আপনাদের স্বাগত
বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা করুণাময় কৃপায় বেশ ভালই আছেন। আমিও দিব্য আছি। এখানে রোজ ব্লগিং করে সবার সাথে ডিসকর্ডে কথাবার্তা বলে খারাপ থাকা যায় বলুন? দিন যে কোথায় দিয়ে ফুরিয়ে যাচ্ছে, আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। তবে নিজের অনেক হারিয়ে যাওয়া জিনিস ইচ্ছে করছে। কারণ সেগুলো আপনাদের সাথে ব্লগ লেখার মাধ্যমে ভাগ করে নিতে পারব। কত কি যে এক সময় করেছি আর সেগুলো সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে গেছে, আজ নিজেও ভাবি আমি কি সেগুলো করতে পারতাম? দেখি পুরনো ঝুলি থেকে নতুন করে কিছু বানিয়ে আপনাদের কাছে তুলে আনতে পারি কিনা।
বন্ধুরা, আজ চলুন আমার হেঁসেলে যাই। আর আপনাদের দেখাই কিভাবে আমি ডাবের ভর্তা বানিয়েছি। আপনারা খেয়েছেন কখনো ডাবের ভর্তা? আমি শুনেছি বাংলাদেশে অনেক রকমের ভর্তা হয় উচ্ছে, পটল, আলু, বেগুন, পেঁপে, লাউ ইত্যাদি তাই সব ধরনের সবজি আবার সবজির খোসা দিয়েও ভর্তা হয়। আমরা এপার বাংলার মানুষরা ঠিক ভর্তা বলিনা, বলি সেদ্ধ বা মাখা। এই যেমন আলু মাখা, বেগুন মাখা, উচ্ছে মাখা ইত্যাদি। তবে আমাদের সাথে আপনাদের অনেকখানি তফাৎ। কেন জানেন আমরা সবেতেই আলু দিয়ে বসে থাকি আপনারা শুধু সবজির ই করেন সেটাই স্বাস্থ্যকর। বেশি আলু খাওয়া কি ভালো? না একেবারেই না।
আর বেশি কথা বলবো না চলুন ঢুকে পড়ি পিয়ার মিডাস টাচে৷
ডাবের ভর্তা বানাতে কি কি লেগেছে, সেটা আগে দেখে নিই
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
১. ডাবের পুরু শাঁস | একটি |
২. সাদা ও কালো সরষে | এক চামচ করে দুই চামচ |
৩. কাঁচা লঙ্কা | দুটি |
৪. সরষের তেল | তিন টেবিল চামচ |
৫. নুন | পরিমান মতো |
৬. চিনি | সামান্য |
৬. কালোজিরে | এক চা-চামচ |
এবার জেনে নিই কিভাবে রান্নাটা করেছি
আগের রেসিপি তো দেখেছেন আমার রান্নার ধরন খুবই সহজ। খুব কম সময়ে নতুন ধরনের কিছু রান্না করাই আমার প্রথম চাহিদা। যদিও এই রান্নাটি বহু বছরের পুরনো, তাই এখন এটাকে বিলুপ্তপ্রায় রান্না বললেই চলে। ডাবের ভর্তা বানানোর জন্য প্রথমেই কড়াইতে তেল গরম করে কালোজিরে ও কাঁচালঙ্কা দিয়েছি। তারপর আগে থেকে বেটে রাখা ডাবের শাঁস দিয়ে, সামান্য নেড়েচেড়ে পরিমাণ মতো নুন ও চিনি দিয়েছি। বাটা শাঁসের তরল ভাবটা চলে যেতেই মানে জল কমে আসতেই সরষে বাটা যোগ করেছি। এরপর আবারও বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিয়েছি। যেহেতু ভর্তা তাই খুব বেশি জলজলে না থাকে সেই দিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। রান্নাটা করার সময় আমি দেখেছি, ডাব বাটার কড়াইতে লেগে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে,সে কারণেই আমি বলব অনবরত নাড়াচাড়া করতে।
হয়ে গেল আমার ডাবের ভর্তা।
বন্ধুরা পরের দিন আসবো আবার একটা নতুন রেসিপি নিয়ে। ততক্ষণ আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আর নতুন নতুন রান্না করে পরিবারের সবার মন ভালো করে দিন। আজ আসি?
টাটা!
বিষয় | ফটোগ্রাফি | সোর্স |
---|
রেসিপি | মোবাইল-স্যামসাং F54 | ঠাকুমা |
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। তবে বর্তমানে বেশ কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ বর্তমানে ভারতবর্ষের পুনে তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
ডাবের ভর্তা খাওয়া হয়নি কখনো।ডাব খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।আপনি চমৎকার সুন্দর করে ডাবের ভর্তা বানিয়েছেন এবং বানানো পদ্ধতি আমাদের সাথে গুছিয়ে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার রেসিপি টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
দত্তা দিদি, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য৷ ডাব আমারও খুব প্রিয়। যদিও এই রান্নাটি বলা যায় বিলুপ্তপ্রায় রান্না। আজকাল নিত্যনতুন রেসিপির ভিড়ে এসব হারিয়ে যেতে বসেছে।
ভালো থাকবেন৷ আবারও ধন্যবাদ।
দারুণ পদ একটা৷ বেশ সুন্দর করে ব্যাখ্যা করলে। একেবারে সাজানো আর পরিপূর্ণ একটি ব্লগ। পড়েই যেন খেতে ইচ্ছে করছে। ডাবের ভর্তা কখনো খাইনি। এমন একটি পদ ছবি দেখলে জিভে জল এসে যায়৷ অসাধারণ ব্লগ। ভালোলাগলো অনেক।
অনেকটা ভালোলাগা জানাই৷ রান্নাও তো একটা শিল্প। বিনা কিছু পাওয়ার আশায় এই শিল্পে শুধু মাত্র ভালোলাগা থেকে মনোনিবেশ করেছিলাম যখন তখন এই ভালোলাগার মানেই বুঝতাম না। এখানে তুলে ধরতে পেরেছি আর তোমারো ভালো ভাললাগল দেখে আমি আপ্লুত৷ পাশে থেকো।
রেসিপির একটা ফাইনাল লুক সবার প্রথমে দিয়েন দিদি, তাহলে উপস্থাপনা আরও দৃষ্টিনন্দন হয়। আশাকরি ধীরে ধীরে সব কিছু শিখে যাবেন। বেশ ভালো লাগলো রেসিপি ব্লগটি। চাইলে নিজস্ব ইউটিউব লিংক লেখার মাঝে যোগ করে নিতে পারেন। শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন গঠনমূলক কমেন্ট করার জন্য। পরেরবার থেকে পোস্ট করার সময় মাথায় রাখব অবশ্যই৷
অনেক ধন্যবাদ শিখিয়ে দেওয়ার জন্য। ভুলত্রুটি শুধরে আস্তে আস্তে করে এগোতে পারব আশাকরি৷