স্বরচিত কবিতা। নীলম সামন্ত
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।


আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
মহা শিবরাত্রির শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের পোস্ট শুরু করছি।
বুধবার দিনগুলোতে সকাল সকাল পোস্ট করে দিই। কিন্তু আজ শিব চতুর্দশী হওয়ার কারণে সকাল থেকেই নানান ব্যস্ততা। এখানে আজকের দিনে স্কুল কলেজ সবই ছুটি থাকে৷ আর শিব মন্দিরগুলোতে বেজায় ভিড় দেখা যায়৷ আমার যেহেতু বাড়িতেই শিবের নর্মদা লিঙ্গ রয়েছে তাই আমি বাইরে কোথাও যাই না৷ বাড়িতেই পুজোর আয়োজন করি৷
দেবাদিদেব মহাদেব হলেও শিবের বিশেষ কিছু লাগে না৷ খুবই সাধারণ বুনোফুলে শিবের পুজো সেরে ফেলা যায়৷ ঈশ্বর যে সাধারণ মানুষেরই একজন তা আর আলাদা করে বলার থাকে না৷
আচ্ছা কথায় কথায় বলি নর্মদা লিঙ্গ কি। মোটামুটি শিব লিঙ্গ আমরা জানি। ভারতবর্ষের মধ্যপ্রদেশে নর্মদা নদী যেখান দিয়ে বয়ে গেছে সেখানকারই এক প্রত্যন্ত জায়গায় জলের স্রোতে কিছু পাথর ক্ষয়ে ক্ষয়ে তৈরি হয়। নর্মদা লিঙ্গ কোনভাবেই মানুষের দ্বারা তৈরি নয়। আর বিখ্যাত হওয়ার বিশেষ কারণ হলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে যে লিঙ্গ তৈরি হয় সেটি দেখতে হয় শিবের তৃতীয় নয়নের মত। মধ্যপ্রদেশের নর্মদা নদীর ধারে বা ভেতরে অনেক শ্বেত মার্বেল পাথর দেখা যায়। তবে এই পাথরের রঙ আলাদা হয়। সচরাচর মানুষ এই সবের খোঁজ রাখে না আর ব্যবহারও করে না৷
যাইহোক, আজ চর্তুদশীর দিনে আমার পুজো মোটামুটি সারা হয়ে গেছে৷ ঈশ্বর আপনাদের সব্বাইকেই ভালো রাখুন এই কামনা করি।
মহাদেব কে কেন্দ্র করে একটি কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
খোয়া খোয়া চাঁদ, খুলা আশমা
------------------------------------------------------ নীলম সামন্ত
কীভাবে যেন দুপুর গড়িয়ে যায়
মেলানকোলি সুর,
"খোয়া খোয়া চাঁদ, খুলা আশমা...."
কত চেনা;
কত চেনাই যে আজ অচেনা হয়ে গেছে,
পুরনো ডাইরিতে তাদের নাম লিখতে লিখতে
মনে পড়েনা মায়াবী আলাপ, প্রথম দেখা;
এতো কিছু মনে রাখার কি দরকার?
মস্তিষ্কে ওজন বাড়লে
শরীর থেকে ঝরে যায় স্বস্তির ধুতরা।
আমি শিবের উপাসক,
নরম হতে জানি।
কপালের চার ভাঁজে সফেদ বুলন্দ -
নির্লোভ।
তোমরা যারা মোহ-চুম্বী তারা বরং ঘুলঘুলি খোঁজো,
একটু আলো আসুক-
মহাজাগতিক আলো।
আপনারা যারা নিয়মিত আমার কবিতা পড়েন তারা তো জানেনই আমি একটু ভিন্নধরণের লিখি৷ এই ভিন্ন এক দিনে হইনি। অনেকটা সময় লেগেছে৷ সবার মতো করে বাংলা কবিতা লিখতে চাইনি কোনদিন আর সেই কারণেই এমন৷ তবুও আপনারা যে এই ব্যতিক্রমী কলমের পাশে রয়েছেন তারজন্য আমি আন্তরিক ভাবে আপনাদের সব্বার কাছেই কৃতজ্ঞ৷
ভালো থাকুন৷

পোস্টের ধরণ | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
কলমওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | স্যামসাং এফ৫৪ |
লোকেশন | পুণে,মহারাষ্ট্র |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ক্যানভা, অনুলিপি |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিত গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
https://x.com/neelamsama92551/status/1894706889830633619?t=KjbNSQukHu33WbJ1SSWrZQ&s=19
শব্দের গভীরতায় এক অন্যরকম ভাবনার জগৎ তৈরি করেছে কবিতাটি। স্মৃতি, মোহ, নির্লোভতা সবকিছু যেন এক সূক্ষ্ম ছন্দে বাঁধা। শিবের উপাসনার যে অন্তর্নিহিত দর্শন, তা কবিতার প্রতিটি পংক্তিতে প্রবাহিত হয়েছে।কবিতার শব্দগুলো যেন এক অদৃশ্য ধূপের গন্ধ ছড়িয়ে দিচ্ছে, যেখানে সময়, স্মৃতি আর মোহ মিলেমিশে এক গভীর ভাবনার সুর তোলে। সত্যিই মুগ্ধ করল।
কবিতাটা আপনি বেশ ভালো বোঝেন আপু। মন্তব্য পড়ে দারুণ লাগল। ভাল থাকুন। ধন্যবাদ নেবেন।
মহা শিবরাত্রি তিথিকে উপলক্ষ করে দারুন সুন্দর একটি কবিতা লিখে ফেলেছিস। মহা শিবরাত্রি হিন্দুদের কাছে একটি বিশেষ তিথি হিসেবে পরিচিত। আসলে দেবাদিদেব মহাদেব অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়ে যান বলে তিনি দেবতাদের দেবতা। আর তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে জীবনে অনেক কাজ সহজ-সরল হয়ে যায়। আজ মহাশিবরাত্রিতে দেবাদিদেব মহাদেবের চরণে প্রণাম জানাই।
হর হর মহাদেব।কবিতাটা ভাল লেগেছে তোমার জেনে ভাল লাগল।
আপনার কবিতাটি পড়ে আসলেই অনেক ভালো লাগলো আপু। কবিতার লাইন গুলো অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লিখেছেন। আপনার কবিতার
পুরনো ডাইরিতে তাদের নাম লিখতে লিখতে
মনে পড়েনা মায়াবী আলাপ, প্রথম দেখা;
এতো কিছু মনে রাখার কি দরকার?
এই লাইনটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
এত্তো আনন্দ হল আপু। পাঠক পেলেই কবিতার সার্থকতা। ভালো থাকুন। ভালো হোক আপনার।
আপনার কবিতাগুলো সব সময় অনেক সুন্দর হয়ে থাকে৷ আজকেও আপনি খুবই সুন্দর কবিতা তৈরি করেছেন৷ এখানে যেভাবে আপনি এই সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা পড়ে খুব ভালো লাগছে৷ এখানে আপনি যেভাবে লাইনের সামজ্ঞস্যতা বজায় রেখেছেন তা যেরকম সুন্দর হয়েছে তেমনি এখানে আপনার কবিতা পড়ে আপনার কবি প্রতিভাও খুব ভালোভাবে বুঝতে পারলাম ৷
ধন্যবাদ ভাইয়া। সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য আনন্দিত হলাম। ভালো থাকবেন।