নাটকের রিভিউ || "এক নজর না দেখলে তারে"।

নাটকের রিভিউ -"এক নজর না দেখলে তারে"।"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

_{^{"ছবিটি স্ক্রিনশট ইউটিউব থেকে নেওয়া"}}

শুভ রাত্রি
আজ ১৪ই মার্চ,
বৃহস্পতিবার ২০২৪ খ্রিঃ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।

আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলকেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন আরও একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট নিয়ে। নাটকের নাম হচ্ছে "এক নজর না দেখলে তারে" আশা করছি রিভিউটি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য

নাটক	"এক নজর না দেখলে তারে"।
অভিনয়ে	মুসফিক আর ফারহান, সাদিয়া আয়মান, হিন্দোল রায় প্রমুখ।
পরিচালনা	মুহাম্মদ মিফতাহ আনান।
প্রযোজক	তানভীর মাহমুদ।
ডিওপি	মোস্তাক মোর্শেদ।
সম্পাদনা রঙ	আরিফিন সরকার।
বিজিএম	এলএমজি বিটস।
গায়ক	ইমরান ও কনা।
কথা	আহমেদ রিসভী।
সুর	নাজির মাহমুদ।
সঙ্গীত আয়োজন	সজীব দাস।
পাবলিসিটি ডিজাইন	রাকিব হোসেন আবির।
লেবেল	সুলতান এন্টারটেইনমেন্ট।
সময়কাল	৪৩ মিনিট।
মুক্তিপায়	১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
ধরন	রোমাঞ্চকর ও শিক্ষা মূলক।

---

---

কাহিনীর সারসংক্ষেপ।

নাটকে শুরুতে ফারহানকে পাগলের বেশে দেখা যায়। ফারহানের পিছনে ছোট ছেলেরা পাগল বলে এবং ছুটে চলে। তারপর পাশের বাসায় এক ভাবি তাকে ডাক দিয়ে নিয়ে আসে। ফারহানকে দিয়ে তার বাসায় সকল কাজ করিয়ে নিলো, ফারহার শুধু খাবার জন্য ভাত চেয়েছিল। কিন্তু ভাবি তাকে ভাত না দিয়ে গোসলখানায় অন্য পুরুষ এর সাথে প্রেম করতে ছিল।

তারপর রাস্তার পাশে দুটি মেয়ে এসে ফারহানকে ডাক দিলো। ফারহান তাদের কাছে খাবার খেতে চাইলো, কিন্তু তারা খাবার না দিয়ে তার সাথে মজা করতে শুরু করে এবং তারা তাকে বিয়ে করতে বলে আর একজন তাকে প্রপোজ করতে বলে। কিন্তু ফারহান এতো কিছু বুজেনা তাকে জড়িয়ে ধরে, তার জন্য অনেক লোকজন মিলে তাকে মারতে শুরু করে। কিছুসময় পরে তার অতীতের প্রেমিকা সাদিয়া তাকে দেখে চিনে ফেলে। ফারহান সাদিয়াকে না পেয়ে পাগল হয়েছিল।

সাদিয়া ফারহানকে পাগল দেখে অনেক কষ্ট পায়। তার কারণ হলো সাদিয়াকে না পেয়ে ফারহান আজকে পাগল হয়েছে। এই কাহিনী ছিল ফারহান পাগল হওয়ার পর।

একটি ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে চেয়ারম্যান সাহেবের একটি টিম থাকে। ফারহান অনেক ভালো ফুটবল খেলে, তার জন্য ফারহান চেয়ারম্যান সাহেবের দলে ফুটবল খেলে। চেয়ারম্যান সাহেবের মেয়ের নাম সাদিয়া। ফুটবল খেলার সময় তার মেয়ে সাদিয়াকে ফারহান দেখতে পায়। প্রথম দেখাতে ফারহান প্রেম পড়ে যায়। সে খেলায় ফারহানের সাথে বিপক্ষ দলের ঝগড়া হয়। তার জন্য চেয়ারম্যান সাহেব বিচার সালিশ নিয়ে বসে।

ফারহান এবং সাদিয়া একে অপরকে পছন্দ করে এবং ভালোবাসতে শুরু করে। ফারহান সাদিয়ার পিছনে ঘুরে বেড়ায় সারাদিন। সাদিয়া যেখানে যায় ফারহান ও সে জায়গায় তার পিছনে যায়। ফারহান তখনো সাদিয়ার প্রেমে ডুবে ছিল।

তারপর সাদিয়াকে চোখ বন্ধ করে সারপ্রাইজ দিয়ে প্রপোজ করে ফারহান। তাদের মাঝে সম্পর্ক বৃদ্ধি পেতে থাকে, এবং ভালোবাসা গভীর হতে থাকে। একদিন রাতে ফারহান সাদিয়ার সাথে দেখা করতে আসে। ওই দিন সাদিয়ার ভাই তাঁদের দুজনের কথা শুনে ফেলে। তারপর সাদিয়ার বাবা চেয়ারম্যান সাহেব ফারহানকে মেরে ফেলবে এই ধরনের ভয় দেখায়। এবং তিন দিনের মাঝে সাদিয়াকে বিয়ে দিয়ে দেন।

সাদিয়ার বিয়েতে ফারহান পাগলের মতো ছুটে চলে আসে কিন্তু সাদিয়া ফারহানের ভালোবাসা তার বাবার ভয়ে অস্বীকার করে। তার জন্য সাদিয়ার ভাই ও তার বন্ধুরা মিলে তাকে প্রচন্ড আঘাত করে এবং তার বড় ভাই ফারহানের মাথায় আঘাত করে , প্রচণ্ড আঘাতের কারণে ফারহানের স্মৃতিশক্তি চলে যায় এবং পাগল হয়ে যায়। সে দিকে সাদিয়া বিয়ে হয়ে যায়। তারপরে নাটকের সমাপ্তি ঘটে।

ব্যক্তিগত মতামত

এক নজর না দেখলে তারে" নাটকটি আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। এই নাটকটি ছিল রোমাঞ্চকর ও শিক্ষামূলক। বিশেষ করে ফারহানের নাটক আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ফারহান তার জীবনের চেয়ে বেশি সাদিয়াকে ভালোবাসে। কিন্তু সাদিয়ার বাবা ক্ষমতা ও অর্থের জোরে তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। এবং সাদিয়াকে ভয় দেখিয়ে বিয়ে দিয়ে দিলো তার বাবা। নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসে ফারহান হয়েছে রাস্তার পাগল। সত্যি বলতে বামন হয়ে চাঁদ ধরতে গেলে এই সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত টিকে না। আমি খুব মনোযোগ দিয়ে নাটকটি দেখেছি। নাটকটি আপনারাও চাইলে দেখতে পারেন ভালোই লাগবে আশা করি। এ ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আমার নাটকের রিভিউ আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।

ব্যাক্তিগত রেটিং:-10%-09%

_{^{"ছবি গুলোর স্ক্রিনশট এখানে থেকে নেয়া"⬇️}}