মুক্তাগাছা শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি।

মুক্তাগাছা শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি।"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

_{^{"ছবিটি InShot অ্যাপস দিয়ে তৈরি"}}

শুভ দুপুর
আজ ৩০ই জুলাই,
মঙ্গলবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।

হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম মুক্তাগাছা শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।

---

গতকাল রাতে আমাদের এখানে ইন্টারনেট অনেক স্লো ছিল। তাই গতকাল রাতে পোস্ট করতে পারিনি। একটি ছবি আপলোড হতে অনেক সময় লাগছিল। তারপরও পোস্ট করা সম্ভব হচ্ছিল না। কিছুক্ষণ পর ওয়েবসাইটে ঢুকতেই পারেনি। বুঝতে পারছি না ইন্টারনেটের সমস্যা সম্পূর্ণরূপে ভালো হতে আর কতদিন সময় লাগবে? যাইহোক সকালের দিকে ইন্টারনেটের অবস্থা কিছুটা ভালো ছিল। সে সুযোগে পোস্ট লিখতে চেষ্টা করি। গত মাসে আমি ও আমার কলিগ আতিক ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তাগাছা শিশু পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ঘুরতে গিয়ে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। মাঝেমধ্যে নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছু সময় কাটালে অনেক ভালো লাগে। তাই মাঝেমধ্যে বিভিন্ন পার্কে ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করি।

---

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- শাওমি রেডমি ৯
ছবির অবস্থান :- মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ।}}

শিশু পার্কেটি ময়মনসিংহ জেলায় মুক্তাগাছা উপজেলার পুলিশ ক্যাম্পের ভিতরে অবস্থিত। সে জন্য সবাই শিশুদের নিয়ে নিরাপদে ঘুরতে যেতে পারেন। আমরা মূলত গিয়েছিলাম অফিসের কাজের জন্য। অফিসের কাজ শেষ করে আমরা দুজন পরিকল্পনা করি শিশু পার্কে যাওয়ার জন্য। মুক্তাগাছা শিশু পার্ক সকলের জন্য উন্মুক্ত তবে সবাইকে ১০ টাকা টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকতে হবে। আমরা যেহেতু মুক্তাগাছা পুলিশ ক্যাম্পের এটিএম মেশিনে কাজ করি তাই আমাদেরকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। ভেতরের প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই সুন্দর। চার দিক গাছপালায় ঘেরা। আতিক ভাই আমাকে রেখে একাই পার্কের ভিতর চলে যাচ্ছিল। আমি তখন গেটের সামনে থেকে একটি সেলফি নিয়েছিলাম। তারপর "ধীরে বহে মুক্তাগাছা শিশু পার্কে" আমিও ভিতরে প্রবেশ করি।

---

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- শাওমি রেডমি ৯
ছবির অবস্থান :- মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ।}}

পার্কের ভিতর ঢুকেই আমি ছোট ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলার জিনিসপত্র দেখতে পাই। পশুপাখির ভাস্কর্য, এবং বিভিন্ন রাইডে বাচ্চারা খেলাধুলা করছিল। পার্কে ঠিক মাঝ বরাবর দুইটি পাখির ভাস্কর্য ও একটি তিমি মাছের ভাস্কর্য দেখতে পাই। তবে আমার কাছে খারাপ লেগেছে ছোট বাচ্চারা বিভিন্ন চিপস ও আইসক্রিম খেয়ে তার প্যাকেট যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ নষ্ট করেছে। আমরা যে সময় গিয়েছিলাম সে সময় মানুষ অনেক কম ছিল। আমরা দুইজন বসে ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলা দেখছিলাম।

---

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- শাওমি রেডমি ৯
ছবির অবস্থান :- মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ।}}

শিশু পার্কের ভিতরে অনেক বড় দুটি ক্যান্টিন ছিল। কিছু খাবার খাওয়ার দরকার পড়লে সবাই সেই ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনে খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। তখন আমি এবং আতিক ভাই দুটি চা অর্ডার করি। চা খেতে খেতে আমি বিভিন্ন বাচ্চাদের খেলাধুলার কিছু ফটোগ্রাফি করি। বড় বড় গাছের চতুর দিকে বসার মতো সুব্যবস্থাও রয়েছে শিশু পার্টিতে। হঠাৎ করে আতিক ভাইয়ের গিন্নি ফোন করে আতিক ভাইয়ের খোঁজ খবর নিচ্ছিল এই ফাঁকে আমি একটি সেলফি নিয়েছিলাম। আতিক ভাই তখন ভাবির সাথে ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত ছিলেন। আমরা চা খাওয়া শেষ করে দুজনে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করি। সত্যি বলতে শিশু পার্কে ঘুরতে গিয়ে অনেক ভালো সময় কাটিয়ে ছিলাম। তবে বাচ্চাদেরকে নিয়ে আসলে তারা অনেক আনন্দ করতো। যাইহোক আমি আজকে মুক্তাগাছা শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।

পোস্ট বিবরণ

বিভাগ	ভ্রমণ।
ডিভাইস	শাওমি রেডমি ৯।
বিষয়	মুক্তাগাছা শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি।
লোকেশন	মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ফটোগ্রাফার	@nazmul01।