গল্প || বুদ্ধিমান নাপিত ও তার জীবনী।(তৃতীয় পর্ব)

গল্প - বুদ্ধিমান নাপিত ও তার জীবনী।"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

_{^{"ছবিটি Pixabay থেকে নিয়ে কেনভা দিয়ে তৈরি।"}}

প্রথম পর্ব	দ্বিতীয় পর্ব

শুভ সন্ধ্যা,
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।

হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম বুদ্ধিমান নাপিত ও তার জীবনী পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।

---

---

বাবুরাম সাপের মনি হাতে পেয়ে অনেক খুশি। সাপের মনি হাতে নিয়ে বাবুরাম যা চায় তাই নিমিষেই হয়ে যায়। বাবুরাম আনন্দে আত্মহারা, বুদ্ধিমান বাবুরামের স্বপ্ন পূরন হতে চলছে। বাবুরামের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল একটি বড় বাড়ি, ফসল ভরা ধান, ঘোড়ার গাড়ি এবং অনেক টাকার মালিক হবে। এই স্বপ্ন বাবুরামের সত্যি হতে চলছে। বাবুরাম সাবার আগে তার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করল। এই ভাবে বাবুরাম জাদুকর মনি হতে তার সকল চাওয়া পাওয়া পূরন করতে থাকে। এইভাবে চলে গেল অনেক গুলো দিন। বাবুরামের কোনো কিছুর অভাব নেই। বাবুরাম এখন সুখের রাজ্যে বসবাস করছে। কিন্তু বাবুরামের সুখের মাঝে একটি জিনিস ঘাটতি রয়ে গিয়েছে তা হলো তার জীবন সঙ্গী।

পুরো গ্রামে বাবুরাম তার জীবন সঙ্গী খোঁজা শুরু করল। কোথাও তার মনের মতো জীবন সঙ্গী পেলো না। কিন্তু অপর দিকে পুরো গ্রামের মানুষ বাবুরামের হঠাৎ করে ধনী হওয়ার বিষয়টি মানতে পারছেন না। তার জন্য গ্রামের সকল মানুষ একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা সাজালো, বাবুরামের রহস্য উদঘাটন করার জন্য। এবং বাবুরামকে নজরে রাখার জন্য একজন তীব্র বুদ্ধিমান সম্পন্ন হড়ি পন্ডিত নিয়োগ করল। তার কাজ হলো সব সময় বাবুরামকে নজরে রাখা। বাবুরাম কোথায় যায় কি করে সব কিছু দেখে রাখা। এবং বাবুরাম কিভাবে প্রচুর টাকার মালিক হলো তার সন্ধান খুঁজে বের করাই হড়ি পন্ডিতের মূল উদেশ্য।

তারপর বাবুরামের কাছে বুদ্ধিমান হড়ি পন্ডিত একটি সুখবর নিয়ে হাজির হলো। বাবুরাম মনে মনে অনেক খুশি, হড়ি পন্ডিত তখন বলে উঠলো আপনার বিয়ের জন্য পাশের গ্রামের একজন সুন্দরী রমণী মেয়ে দেখেছি তার নাম লাইলী। আশাকরি আপনার অনেক পছন্দ হবে। এই কথা শুনে বাবুরাম অনেক খুশি। বাবুরাম হড়ি পন্ডিতকে বলে উঠলো আমার সঙ্গে সেই নারীর বিয়ের তারিখ ঠিক করো। হড়ি পন্ডিত ও মনে মনে অনেক খুশি। হড়ি পন্ডিত বাবুরামকে বলেন একটি সমস্যা আছে হুজুর। বাবুরাম বলে উঠলো কি সমস্যা হড়ি পন্ডিত সাহেব। হড়ি পন্ডিত বলেন এই মেয়ে অনেক গরিব, তার বাবা মা কেউ নেই এবং লাইলী তার চাচার কাছে বড় হয়েছে। এই কথা শুনে বাবুরাম উচ্চস্বরে হেসে দিল, আমার টাকা পয়সা অনেক আছে, আমার শুধু বিয়ের জন্য একটি সুন্দর রমণী দরকার। পন্ডিত মনে মনে অনেক খুশি, কেননা তার প্লেন ও পরিকল্পনা কাজে লেগেছে। হড়ি পন্ডিত জানে পাশের গ্রামে লাইলী নামে একজন সুন্দরী মেয়ে থাকেন।

তারপর বাবুরামের ধনী হওয়ার রহস্য উদঘাটন করার জন্য পাশের গ্রাম থেকে সেই সুন্দর মেয়ে লাইলীকে তৈরি করা হয় বাবুরামের বিয়ের জন্য। কিন্তু এই বিয়ের মূল উদেশ্য ছিলো বাবুরামের গোপন জাদুকরি মনির সন্ধান পাওয়ার জন্য। হড়ি পন্ডিত মশায় লাইলীকে সব কিছু ভালো করে শিখিয়ে দিয়েছেন। তারপর বাবুরাম ও লাইলীর বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথম রাতেই লাইলী খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। লাইলীর অসুস্থতাই ছিল বাবুরামের জন্য মহাবিপদ সংকেত ।

_{^{"চলবে..."}}

---

---

বুদ্ধিমান নাপিত ও তার জীবনী গল্পটি কাল্পনিক। আশাকরি গল্পটি পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।

পোস্ট বিবরণ

বিভাগ	জেনারেল রাইটিং।
ডিভাইস	শাওমি রেডমি ৯।
বিষয়	বুদ্ধিমান নাপিত ও তার জীবনী।
লোকেশন	ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
রাইটার	@nazmul01।