ABB Contest-57 || রঙিন কাগজ দিয়ে তাও ঘুড়ি তৈরি।
হ্যালো...!
শুভ রাত্রি,
আজ ০২ ই মে,
বৃহস্পতিবার ২০২৪ খ্রিঃ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।
"আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" এ চলমান কনটেস্টে অংশগ্রহন করতে যাচ্ছি। আমাদের কমিউনিটিতে বরাবরের মতো এবারেও ইউনিক একটি কনটেস্ট এর আয়োজন করা হয়েছে।
আমি প্রথম বারের মতো কনটেস্টে অংশগ্রহন করতে যাচ্ছি। পুরস্কার পাওয়া বড় কথা নয়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করাটাই মুখ্য বিষয়। বিভিন্ন কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৫৭ বিষয় হলোঃ শেয়ার করো তোমার ঘুড়ি বানানোর দক্ষতা। এইসব প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা নতুন নতুন অনেক ঘুড়ি তৈরি সম্পর্কে জানতে পারি এবং দেখতে পারি। দারুণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য "আমার বাংলা ব্লগের" প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন, এবং মডারেটরদের অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ঘুড়ি উড়ানো নাম শুনলেই আমার শৈশব এর কথা মনে পড়ে যায়। স্কুল ফাঁকি দিয়ে ছোটবেলায় অনেক ঘুড়ি তৈরি করেছি। তার জন্য বাবা মায়ের অনেক বকা শুনেছি। এখন তো ছোট বড় সবাই ঘুড়ি উড়াতে পছন্দ করে। ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে কাটাকাটি খেলা হয়। যার ঘুড়ি আকাশে থাকে সে বিজয়ী হয়। আমি অফিসের কাজে খুবই ব্যস্ত থাকি, তারপরও সময় বের করে রঙিন কাগজ দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করার চেষ্টা করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি সেটি আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করছি। চলুন তাহলে শুরু করি।
- রঙিন কাগজ।
- আঠা।
- কাঁচি।
- স্কেল।
- বাঁশের কাঠি।
- সুতা।
- দা / বডি।
প্রথমে আমি ঘুড়ি তৈরি করার জন্য একটি বাঁশ নিলাম। বাঁশটি ছোট ও চিকন করে কেটে নিলাম। বাঁশ বডি দিয়ে কেটে ঘুড়ির কাঠি তৈরি করে নিলাম। এবার আমি রঙিন কাগজ ভাজ করে স্কেল দিয়ে সমান মাপ করে কেটে নিলাম।
তারপর আমি রঙিন কাগজের মাঝে একটি কাঠি দিয়ে দিলাম। এবার কিছু রঙিন কাগজ ছোট ছোট করে কেটে নিলাম। ছোট কাগজ এর মাঝে আঠা লাগিয়ে সোজা কাঠি ও কাগজের উপরে এবং নিচে এক সঙ্গে লাগিয়ে নিলাম।
আমি উপরে ও নিচে কাঠি লাগানোর পর বাঁকানো কাঠিটি বাম পাশে ছোট কাগজের সঙ্গে আঠা দিয়ে সুন্দর করে লাগিয়ে নিলাম। একুই ভাবে আমি দুইটি কাগজ লাগিয়ে নিলাম।
বাঁকানো কাঠিটি আঠা এবং কাগজ দিয়ে ডান পাশেও লাগিয়ে নিলাম। তারপর আমি দুইটি কাঠির মাঝ বরাবর সোজা এবং বাঁকানো কাঠির মাঝে আরও একটি কাগজ লাগিয়ে নিলাম। আমার কাঠি লাগানোর কাজ সম্পূর্ণ হলো।
এবার আমি ঘুড়ির লেজ তৈরি করার জন্য কিছু হলুদ এবং লাল কাগজ কেটে নিলাম। ঘুড়ির লেজের নিচের অংশ বড় করে রাখলাম।
ঘুড়ির লেজ তৈরি করার পর আমি কিছু কাগজ কেটে ঘুড়ির চোখ, নাক, এবং মুখ তৈরি করলাম। দেখতে অনেকটা ইমোজির মতো লাগছে। এবার আমি আঠা দিয়ে লেজটি ঘুড়ির সঙ্গে লাগিয়ে নিলাম। লেজ অনেকটা সাপের মতো দেখা যাচ্ছে।
তারপর লেজটি সুন্দর করে কেটে ডিজাইন করে নিলাম।
এবার আমি ঘুড়ির উড়ানোর জন্য সুতা লাগিয়ে নিলাম। সুতা লাগানোর সময় মাপ সঠিক দিতে হবে। এখানেই আমার ঘুড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করলাম।
আপনাদের সুবিধার্থে নিচে একটি ভিডিও লিংক শেয়ার করেছি। এ ছিলো আমার আজকের প্রতিযোগিতার আয়োজন। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে? কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। কোন ধরনের ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মতো এখানে বিদায় নিলাম। আবারও দেখা হবে নতুন কোনো প্রতিযোগিতার পোস্ট নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।
বিভাগ | প্রতিযোগিতা-৫৭। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | রঙিন কাগজ দিয়ে তাও ঘুড়ি তৈরি। |
লোকেশন | ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং অনার্সে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
https://twitter.com/nazmulhasanbd01/status/1785745710463528990?t=m3xXSO1GzAzjaB7aq8ts0w&s=19
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকার ঘুড়ি তৈরি করেছেন দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে সেই সাথে কাগজ কেটে আঠা লাগিয়ে কিভাবে এমন সুন্দর ঘুড়ি তৈরি করতে হয় সেটা ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। শুভকামনা রইল ভাই।
আমি চেষ্টা করেছি সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করতে। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম।
আপনাকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি এতো সুন্দর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করার জন্য। যাইহোক আপনার তাও ঘুড়ি বানানো টা দারুণ লেগেছে। আপনার ঘুড়ি টি দেখে মনে হচ্ছে ভালোই আকাশে উড়তেছে।তাও ঘুড়ি তৈরি করার সব গুলো ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জি ভাই এই ধরনের ঘুড়ি গুলো খুবই চমৎকার আকাশে উড়ে। আপনার কমেন্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
ব্যস্ত থাকার পরও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। ঘুড়ির সাথে আমাদের সবারে শৈশবের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আপনার শৈশবের স্মৃতি সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো। ঘুড়িটা খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। খুব সুন্দর ভাবে উড়িয়েছেন ঘুড়ি টা। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আমার পোস্ট ভিজিট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকার একটি ঘুড়ি তৈরি করে দেখিয়েছেন। তাও ঘুড়ি দেখে ছোট বেলায় স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। ঘুড়ি কত যে উড়িয়েছি হিসেব নেই। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আমিও অনেক ঘুড়ি তৈরি করেছি। ঘুড়ির সঙ্গে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাই।
এই ঘুড়িকে আমরা চিলে বলি। এই ব্যাটা মহা বজ্জাত। ঠিকমতো কখনোই উড়ে না হি হি। তবে এই ঘুড়ি তৈরি করা সবচাইতে সহজ। দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা। রঙিন কাগজ দিয়ে ঘুড়িটা বেশ তৈরি করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাই।
সত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া ঘুড়ি উড়ানো সবার একটা সখ। আসলে সখের বসে বড় ছোট সবাই মিলে ঘুড়ি উড়ায়। আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকার একটি ঘুড়ি তৈরি করেছেন। ছোট বেলায় এই ধরনের ঘুড়ি অনেক উড়াতাম। যাই হোক ঘুড়ি তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ঘুড়ি উড়ানোর মাঝে আলাদা মজা কাজ করে। আমি চেষ্টা করেছি সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করতে। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাই।
আপনি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। আপনি বেশ চমৎকার ভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে ঘুড়িটি বানিয়েছেন ও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকার ঘুড়ি তৈরি করেছেন দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। যাই হোক আপনার ঘুড়িটা বানানো বেশ দারুন হয়েছে। আপনি বেশ চমৎকার ভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে ঘুড়ি বানিয়েছেন ও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।শুভকামনা রইল।