দুপুরে টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের জলপাই ভর্তা খাওয়ার অনুভূতি।
শুভ রাত্রি 🌃
আজ ৩১ ই ডিসেম্বর,
রোজ মঙ্গলবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ জেলা, বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম দুপুরে টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের জলপাই ভর্তা খাওয়ার অনুভূতি পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
শীতকাল থাকলেও শীতের তাপমাত্রা তেমন নেই। প্রতিদিন সকালে রোদ উঠে যায়। প্রচন্ড রোদের কারণে শীতের উষ্ণতা ও আবেশ বোঝা যায় না। আমি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে সকালে নাস্তা খেয়ে রোদে গিয়ে বসে থাকি। আমার বাসার পেছনে বেশ কিছু জায়গায় খালি আছে, সেখানে চাষাবাদ হয়। সকাল হতেই রোদ চলে আসে। আমি প্রায় সময় সেখানে বসে সময় কাটাই। কিছুদিন আগেও প্রচন্ড শীত অনুভব হয়েছিল। সে তুলনায় শীতের আবেশ কিছু কম খোজ পাই। তবে সকালে এবং রাতে শীত লাগে অনেক। আমার কাছে মনে হয় খাওয়া দাওয়ার পর শীতের চাপ শরীরে বেড়ে যায়। দুপুরের ঝলমলে সূর্যের আলোতে শরীর পুড়ে যাওয়ার অবস্থা এখনো বিরাজমান। যাইহোক দুপুরে হালকা রোদের মাঝে টক ঝাল মিষ্টি জলপাই ভর্তা খেয়েছিলাম। সেই অনুভূতি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
আমি আজকে অফিসের কাজে গিয়েছিলাম ময়মনসিংহ জেলা শহরে গাঙ্গিনা পাড়। সেখানে অফিসের কাজে শেষ করে আসার সময় রাস্তার পাশে একটি ভ্যান গাড়ি দেখতে পাই। সে গাড়িতে বিভিন্ন ভর্তা ও আচার বিক্রি করছিল একটি ভদ্রলোক। অনেক দিন ধরে আচার বা ভর্তা খাওয়া হয়না। গরম কালে আমি প্রচুর পরিমাণে ভর্তা রিসিপি তৈরি করে খেতে অনেক পছন্দ করি। দুপুরে যেহেতু ভালো রোদ উঠেছে। তাই জলপাই ভর্তা দেখে দোকানদার মামার জলপাই ভর্তা খেতে ইচ্ছে করছিল। আম টক খেতে অনেক পছন্দ করি। টক ভর্তা দেখলে আমার জিবে পানি চলে আসে। মামার দোকানে কাঁচা কলা, তেঁতুল, জলপাই, ও ধনিয়া পাতা দিয়ে একসঙ্গে ভর্তা তৈরি করা ছিল। শুধু তাই নয়, আমি যেভাবে চাইবো সেভাবে তৈরি করে দিবেন।
সবগুলো উপকরণের সঙ্গে দিয়ে কাঠের ছেসনি দিয়ে ভর্তা তৈরি দেখে আমিও একটি জলপাই ভর্তা মামাকে দিতে বলি। তৈরি করার পর আমি জলপাই ভর্তাটি ওয়ান টাইম বাটিতে দশ টাকা দিয়ে কিনে নিলাম। তবে মামার দোকানের পরিবেশ খুবই ভালো ছিল। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং গোছানো দোকানে খাবার খেতে আমি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। কাচের তৈরি বক্স এর ভেতরে তৈরি করে কিছু জলপাই ভর্তা রেখে দিয়েছিল অনেক রকমের ভর্তার সমন্বয়ে। মামার ভর্তা তৈরি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। ছোটবেলায় আমি বাশঁ কেটে চুঙ্গী বানিয়ে তার ভিতরে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বিভিন্ন ভর্তা তৈরি করতাম। এই ধরনের ভর্তা রেসিপিগুলো খেতে ভীষণ মজা লাগতো।
দুপুরে টক ঝাল মিষ্টি জলপাই ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। দুপুরে হালকা রোদের মাঝে জলপাই ভর্তা খেয়ে আমার শরীর ঘেমে গিয়েছিল। যেহেতু আমার হালকা ঠান্ডা ছিল তাই আমি ভর্তা খেয়েছিলাম। জলপাই ভর্তা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল এবং জলপাই ভর্তা খাওয়ার জন্য একটি ছোট চামচ দিয়ে ছিল। এখন সবকিছু আধুনিক এবং স্মার্ট হয়ে যাচ্ছে। দুপুরে টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের জলপাই ভর্তা খাওয়ার অনুভূতি বলে বোঝানোর মত নয়। তবে যারা ঝাল খেতে একটু কম পছন্দ করেন তারা আগে থেকে বলে নিবেন। কেননা এই ধরনের ভর্তাগুলো অনেক ঝাল হয়ে থাকে। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💞
বিভাগ | লাইফ স্টাইল। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | দুপুরে টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের জলপাই ভর্তা খাওয়ার অনুভূতি। |
লোকেশন | গাঙ্গিনাপার মোড়, ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
আপনার পোস্ট দেখে তো আমার রীতিমত জিভে পানি চলে এসেছে। এমন করে দুপুরের রোদে দাড়িয়ে টক ঝাল ভর্তা খেতে কিন্তু ভেশ দারুন লাগে। আপনি বেশ সুন্দর করে আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
জি আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
X-Promotion
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দুপুরে টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের জলপাই ভর্তা খাওয়ার অনুভূতি। আসলে জলপাই আচার খেতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। সব কিছু সমন্বয়ে যদি একসাথে এভাবে রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যায় বেশ ভালই লাগে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এসেছে । এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
বেশ কিছুদিন ধরে আমি এমন টক ঝাল জাতীয় জিনিস বিক্রয় করতে দেখছি রাস্তার পাশে। বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। আর জলপাইয়ের আচার অথবা এমন রেসিপি গুলো খুবই পছন্দ। বেশ দারুন একটা লোভনীয় রেসিপি নিয়ে পোস্ট করেছেন। মাঝেমধ্যে এজাতীয় খাবারগুলো রাস্তা থেকে কিনে খাওয়ার মধ্যে আনন্দ রয়েছে।
জি লোভনীয় দেখে কিনে খেয়েছিলাম। প্রশংসা মূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
শীতকালে শীতের অনেক না থাকলে সত্যিই ভালো লাগেনা। আপনি তার মধ্যেও যে রোদে বসছেন এই বিষয়টা ভালো লাগলো এছাড়াও আপনার জলপাইয়ের টক মিষ্টি ঝাল ভর্তা দেখতেই মারাত্মক লোভনীয়। না জানি খেতে কত ভালো ছিল। আমি যে জীবনে এখনো পর্যন্ত জলপাই খেয়েই উঠতে পারিনি।
খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মতামত ব্যক্ত করার জন্য।
জলপাই দেখলে জিভে পানি চলে যায়। তবে এইরকম বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে জলপাই ভর্তা করলে সেটা খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি দারুণ ভাবে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে গুছিয়ে পোস্ট উপস্থাপনা করার জন্য। আপনার উৎসাহ মূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই
এই ধরনের জলপাই ভর্তা কলেজে থাকার সময় খাওয়া হতো। এখন আর তেমন একটা খাওয়া হয়না। আসলে এখন তেমন দেখাও যায় না আমাদের এদিকে। বিভিন্ন মেলায় মাঝে মাঝে দেখা যায়। আপনার টক ঝাল মিষ্টি জলপাইয়ের ভর্তা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। এটা খেতেও নিশ্চয়ই দারুন ছিল। যে যেভাবে চাইবে সেভাবে ভর্তা করে দেওয়া হবে এটা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। যাইহোক অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু কাস্টমার যেভাবে বলছিল সে অনুপাতে তৈরি করে দেওয়া হচ্ছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার কারার জন্য।
টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের জলপাই ভর্তা দেখেই তো আর লোভ সামলানো যাচ্ছে না। অনেক মজাদার ভর্তা খাওয়ার অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। দেখেই তো এই ভর্তাটাও খেতে ইচ্ছে করছে আমার। দুপুরবেলায় এরকম ভর্তা একটু বেশি মজা করে খাওয়া যায়।
জি ভাই ভর্তা তৈরি দেখে আমিও লোভ সামলাতে পারছিলাম না। তাইতো কিনে খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।