সোহাগ ভাইয়ের সাথে চিতই পিঠা খাওয়ার অনুভূতি।
শুভ রাত্রি
আজ ১৩ ই
বৃহস্পতিবার , ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম সোহাগ ভাইয়ের সাথে চিতই পিঠা খাওয়ার অনুভূতি পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
গত সপ্তাহে আমি এবং আমার কলিগ সোহাগ ভাই ত্রিশাল গিয়েছিলাম অফিসের কাজে। এিশাল আমাদের মাঝেমধ্যে যাওয়া হয়। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে এিশাল বাজার ঘুরে দেখতে পারিনা। কিন্তু সেদিন আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় ছিল। আমাদের হাতের কাজ শেষ করার পর। আমার কলিগ সোহাগ ভাইকে নিয়ে বাজার ঘুরে দেখতে ছিলাম। ময়মনসিংহ সদর থেকে এিশাল থানা বেশি একটা দূরে নয়। কিন্তু ত্রিশাল বাজার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক বড় অবদান রাখে। বিশেষ করে এিশাল থানায় অধিকাংশ জায়গা মৎস্য চাষ করা হয়। আমি এবং সোহাগ ভাই হাটাঁহাটি করার সময় আমাদের চোখের সামনে একটি চিতই পিঠার দোকান দেখতে পাই।
সোহাগ ভাইকে বললাম ভাই চলেন চিতই পিঠ খাই। সোহাগ ভাই সম্পর্কে আমার কলিগ হয়। কিন্তু আমার বিপদে আপদে সব সময় বন্ধুর মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তাই আমিও সোহাগ ভাইয়ের পাশে থাকার চেষ্টা করি। যাইহোক আমি চিতই পিঠা খেতে অনেক পছন্দ করি। তাই দোকানদার বড় ভাইকে পিঠা দিতে বলি। চিতই পিঠা ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের পিঠা সেখানে বিক্রি করা হয়। দোকানদার ভাই আমাদেরকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলেন। কারণ হলো এিশাল বাজারের ভেতরে এই চিতই পিঠা অনেক নাম করা। অনেক মানুষ এখানে পিঠা খেতে আসেন। তাই আমরা কিছু সময় বসে অপেক্ষা করতে থাকি।
কিছু সময় অপেক্ষা করার পর আমাদের কাঙ্ক্ষিত চিতই পিঠা হাজির। বিভিন্ন ধরনের ভর্তার সমন্বয়ে এই পিটার খেতে অনেক সুস্বাদ লাগে। এই পিঠার দোকানে ৬ থেকে ৭ রকমের ভর্তা ছিল। কালোজিরা, সরিষা, শুটকি, শুকনা মরিচ,ধনিয়া পাতা ও আলু ভর্তা সহ আরোও বেশ কিছু রকমের ভর্তা ছিল। কিন্তু পিঠার দোকানে অতিরিক্ত ভিড় থাকার কারণে আমি সব গিলো ভর্তার ছবি তুলতে পারিনি। আমি যে ভর্তা গুলো দিয়ে খেয়েছি সে গুলোর ক্যামেরা বন্দি করি। প্রতি পিছ চিতই পিঠার মূল্য ছিল ১০ টাকা, কিন্তু আমার কাছে আকার ও সাইজ অনেক বড় মনে হয়েছে। ১০ টাকার মাঝে বেশ কয়েক রকমের ভর্তা দিয়ে আমি ও সোহাগ ভাই জমিয়ে খেয়েছিলাম। এিশাল বাজারের এই পিঠার দোকান সকলের কাছে খুবই পরিচিত। এই পিঠার দোকান সকাল ছয়টা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং পিঠা বিক্রি করা হয়। দামের তুলনায় কম থাকার কারণে সকল ক্রেতা ও পিঠা প্রেমিকরা পিঠা খেতে আসেন।
আমি এবং আমার কলিগ সোহাগ ভাই পিঠা খাওয়ার পর কিছু সময় অপেক্ষা করি এবং কিছু ফটোগ্রাফি করি। সেই ফাঁকে সোহাগ ভাইয়ের সঙ্গে কিছু সেলফি নিয়েছিলাম। যাইহোক পরিবেশ যেমন ভালো ছিল পিঠা তেমনি মজা ছিল। বিশেষ করে শীতের সময় গরম গরম চিতই পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। যাইহোক তারপর আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি। যাইহোক আজকে আমি চিতই পিঠা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছি। আমি নিজের মতো করে বলার চেষ্টা করেছি। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার অভিজ্ঞতা অনুভূতি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।
বিভাগ | লাইফ স্টাইল। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | সোহাগ ভাইয়ের সাথে চিতই পিঠা খাওয়ার অনুভূতি। |
লোকেশন | ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং অনার্সে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
আমাদের এদিকে শীতের দিনে এই ধরনের পিঠাগুলো বিক্রি করতে দেখা যায়। আর এই পিঠাগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। সোহাগ ভাইয়ের সাথে পিঠা খেতে গিয়েছেন আর অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
আপনার মতামত পেয়ে খুশি হলাম। আমার পোস্ট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
https://x.com/nazmulhasanbd01/status/1800966284101943386?t=zgYcYucN37XmOUeRCvpp_g&s=19
চিতই পিঠা বর্তমান সময়ে রাস্তার পাশে ছোট ছোট দোকান গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। এখন গরম আর শীত নেই সব সময়ই পাওয়া যায়। চিতই পিঠার সাথে বিভিন্ন ধরণের ভর্তা দিয়ে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার কলিকের সাথে চিতই পিঠা খেতে গিয়ে বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনি ঠিক বলছেন ভাই এখন গরম আর শীত নেই সব সময়ই পিঠা পাওয়া যায়। তবে আমি চিতই পিঠা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনার মতামত পেয়ে ভালো লাগলো ভাই। আশাকরি আপনি সব সময় পাশে থাকবেন।
ভাইয়া আপনি আপনার সোহাগ ভাইয়ের সাথে খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সেই সাথে দুই ভাই মিলে চিতই পিঠা খেয়েছেন । আর সেই মুহূর্তটি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এই পিঠাগুলো খেতে খুবই স্বাদ লাগে তা আমি জানি ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পিঠা খাওয়ার এত সুন্দর একটি মুহূর্তে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠা এই পিঠা কে আমি ময়দা পিঠা বলে থাকি 😃। সত্যি বলতে এই পিঠা দুটো খেলে শুধু ময়দা খাওয়া ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। আবার অনেকের কাছে এ পিঠা দুটি খুবই মজার। তবে চিতই পিঠার জন্য ছয় থেকে সাত রকমের ভর্তা এটা আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে। আর প্রতিটা পিঠার মূল্য ১০ টাকা। তবে আপনার কলিগ সোহাগ ভাইয়ের সাথে বেশ মজা করেই পিঠা খেয়েছেন। পিঠা খাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠাকে আপনি ময়দা পিঠা বলেন জেনে খুশি হলাম ভাই। তবে আমাদের এখানে চিতই পিঠা বলেন। আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই ভালো লাগলো,ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
চিতই পিঠা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি খুবই মজাদার চিতই পিঠা খেয়েছেন। আপনার খাওয়া চিতই পিঠা দেখে তো আমার খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। মসলা দিয়ে এরকম পিঠা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। শীতের সময় এই পিঠাগুলো একটু বেশি খাওয়া হয়। সব রকমের ভর্তার ফটোগ্রাফি না করতে পারলেও, যেগুলোর করেছেন এগুলো দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক মজাদার। এগুলো দিয়ে চিতই পিঠা খেতে ভালো লাগবে অনেক বেশি। আপনার কলিগ সোহাগ ভাইয়াকে নিয়ে দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
জি আপু, শীতের সময় এই পিঠাগুলো একটু বেশি খাওয়া হয় এবং ভালো লাগে। আপনার মতামত পেয়ে খুশি হলাম আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।