আমার বাগান সবজির ফটোগ্রাফি।

শুভ দুপুর 🌅
আজ ৪ই জানুয়ারি,
রোজ শনিবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।

---

---

_{^{"ছবিটি Canva অ্যাপস দিয়ে তৈরি"}}

হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার বাগান সবজির ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। চলুন তাহলে শুরু করি।

আমি প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে একটি করে ফটোগ্রাফি পোস্ট করে থাকি। শুক্রবারে ফটোগ্রাফি পোস্ট করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু গতকাল আমার ছেলে অসুস্থ থাকায় আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। বিশেষ করে অতিরিক্ত ডায়রিয়া হওয়ার কারণে আমার ছেলে খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। আমার ছেলে আনাস এর বয়স চার মাস। তাই অতিরিক্ত পায়খানা ও বমি হওয়ার কারণে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর কিছু ওষুধ লিখে সঙ্গে সঙ্গে ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। ওষুধ খেয়ে এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। সৃষ্টিকর্তা যেন আমার ছেলেকে দ্রুত সুস্থ করে দেন। অপর দিকে আমার মা হাই প্রেসার এর রোগী। সবমিলিয়ে আমি বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। অলরেডি অফিস থেকে দুই দিনের ছুটি নিয়ে নিয়েছি। যাইহোক চেষ্টা করছি কিছুটা চাপ সমলে উঠতে। সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করে ও ধৈর্য ধরে আমি এখনো আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। যাইহোক বেশ কিছুদিন আগে নার্সারি থেকে কিছু সবজি চারা এনে সবজি বাগান করেছিলাম। দেখতে দেখতে প্রতিটি গাছে খুব সুন্দর সবজি ধরেছে। সকালে আমি গাছ থেকে বেশ কিছু সবজির ফটোগ্রাফি করি। আজকে সেই বাগান সবজির ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- শাওমি রেডমি ৯
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।}}

প্রথমেই দেখতে পাচ্ছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত টমেটো ও ফুলের ফটোগ্রাফি। এ টমেটো গাছের বয়স খুব অল্প। টমেটো খেতে আমি খুব পছন্দ করি। তাই শীতের সবজি হিসেবে টমেটো চারা রোপন করেছিলাম। আজকে সকালে দেখতে পেলাম বেশ কিছু টমেটো বড় হয়েছে এবং কিছু ফুল ফুটেছে। প্রতিটি ডালে তিন-চারটি করে টমেটো হয়েছে। আশাকরা যায় আগামী সপ্তাহে অনেকগুলো টমেটো গাছ থেকে পেড়ে বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করে খেতে পারবো। নিজের গাছ থাকলে বিশুদ্ধ ও টাটকা শাকসবজি খাওয়া যায়।

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- শাওমি রেডমি ৯
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।}}

উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন কাঁচা মরিচের ফটোগ্রাফি। আমাদের দেশে কিছুদিন পর পর বাজারে আগুন লেগে যায়। এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। আকাশচুম্বী দাম ও বাজার সিন্ডিকেটের জন্য শাকসবজি কিনে শান্তি নেই। তাই আমি নিজ উদ্যোগে আমার বাগানে বেশকিছু কাঁচা মরিচ গাছ রোপন করেছি। প্রতিটি গাছে অনেকগুলো করে কাঁচামরিচ ধরেছে। খুব যত্ন করেছিলাম কাঁচামরিচ গাছ গুলোকে তাই অনেক ভালো ফলন দিয়েছে। গাছে কাঁচামরিচ গুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আমি হয়তো বেশ কিছুদিন কাঁচামরিচ কিনবো না। নিজের বাগানের গাছ থেকে তুলে সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। আশাকরি কাঁচা মরিচের ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- শাওমি রেডমি ৯
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।}}

উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন বেগুন ও বেগুন ফুলের ফটোগ্রাফি। আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সবচাইতে পছন্দের সবজির মধ্যে হতে বেগুন অন্যতম। বেগুন দিয়ে যেকোনো সবজি তৈরি করা যায়। বাজারে বেগুনের দাম সব সময় বেশি থাকে। এখন শীত মৌসুম তাই হয়তো কিছুটা কম। আমার বাগানে আমি সব চেয়ে বেশি বেগুন ও টমেটো গাছ লাগিয়েছি। প্রায় সবগুলো গাছে ফুল ধরেছে ও কিছু কিছু গাছে বেগুন মোটামুটি বড় হয়েছে। সকালে গাছে পানি দিতে গিয়ে আমি ফটোগ্রাফি করেছিলাম।

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- শাওমি রেডমি ৯
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।}}

উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন শীত লাউ এর কলির ফটোগ্রাফি। শীত চলে যাচ্ছে এখনো নিজের গাছের লাউ খেতে পারলাম না ভেবে কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু সকালে দেখতে পেলাম দুই একটি লাউ গাছে ধরেছে এবং কিছু ফুল ফুটেছে। আশাকরা যায় কিছুদিনের মধ্যে লাউ খেতে পারবো। এই লাউ গাছটি আমি অনেক দেরি করে লাগিয়ে ছিলাম। তাই এখনো লাউ বড় হয়নি। আমি যেহেতু মাচা তৈরি করে লাউ গাছ লাগিয়েছি। তাই হয়তো কিছু দিনের মাঝে লাউ গুলো খুব বড় হয়ে যাবে। নিজের গাছে লাউ দেখে খুব ভালো লাগলো। তাই সকালে ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।

_{^{ছবি তোলার যন্ত্র:- শাওমি রেডমি ৯
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।}}

উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন করলা সবজির ফটোগ্রাফি। করলা খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি,বিশেষ করে গরম ভাতের সঙ্গে করলা ভাঁজি আমার খুব প্রিয়। তাই আমার সবজি বাগানে তিনটি করলা গাছ লাগিয়ে ছিলাম। সকালে দেখতে পাই দুই একটি করলা বড় হয়েছে। দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে এবং মনে অনেক আনন্দ পাই। গাছগুলোকে নিজের সন্তানের মত বড় করেছি। সেই গাছ গুলোতে ফল আসলে কার না ভালো লাগবে। আমি আমার কাজের ফাঁকে সবটুকু সময় সবজি বাগানে ব্যয় করে থাকি। আগামী সপ্তাহে আরোও কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার তোলা বাগান সবজির ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আবারও দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।

বিভাগ	ফটোগ্রাফি।
ডিভাইস	শাওমি রেডমি ৯।
বিষয়	আমার বাগান সবজির ফটোগ্রাফি।
লোকেশন	ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
ফটোগ্রাফার	@nazmul01.